জীবনীমূলক প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম (ছক বা কৌশল) // jibonimulok probondho rochona Lekhar niyom
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি তোমরা ভালোই আছো এই পোষ্টটিতে আমি তোমাদের দেখাবো জীবনী মূলক প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম ছক বা কৌশল। এই নিয়মটি ভালোভাবে অনুসরণ করলেই পরীক্ষায় যে কোন জীবনই মূলক প্রবন্ধ রচনা আসুক না কেন তোমরা লিখতে পারবে তোমাদের শুধু মনে রাখতে হবে এই ছকটি কিভাবে আমি লিখতে বলেছি, সেই ভাবেই কিন্তু লিখতে হবে।
জীবনীমূলক প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম
———————( ব্যাক্তির নাম )
ভূমিকা :- মানবজীবনের মূল্য তার আয়ুর পরিধিতে বিচার্য নয়, মানুষের কাজ ও কৃতিত্বের জন্যই তার চিরজীবিতা নির্ভর করে । তার ব্যক্তিত্ব, চিন্তা-ভাবনা ও কাজের অনন্যতাই সেই ব্যক্তিকে অবিস্মরণীয় এবং শ্রাদ্ধেয় করে তোলে । শত বছর ধরে মানুষের মণে জাগ্রত, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যার অবদান উল্লেখ্য তিনি হলেন আমাদের অতি প্রিয়, শ্রদ্ধেয় ___________( ব্যাক্তির নাম ) ।
জম্ন-পরিচয় : দশ মাস দশ দিন পর তাঁর জননী ________ ( মা-এর নাম ) ও পিতা ________( বাবার নাম ) তাকে পৃথিবীর আলো দেখান । তিনি _________ খ্রিস্টাব্দের _________মাসের ________তারিখে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর শৈশব জীবন থেকে শুরু করে সমাজে বিশিষ্ট খ্যাতি অর্জন পর্যন্ত তার পিতা-মাতা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সমাজে তাঁর আবির্ভাব বাংলার বুকে এক সুনামধন্য প্রতিভা এনে দিয়েছে।
বংশ-পরিচয় : _______ ( ব্যাক্তির নাম ) আলোর ধারার বেগে চমকিত করেছেন সমগ্র বাংলা তথা ভারতবাসীকে । প্রাচীনকাল থেকে খ্যাতনামা সুবংশে আধুনিক ( হিন্দু / মুসলমান ) পরিবারে বাবার মুখ আলোড়িত করে এবং মায়ের কোল আলোকিত করে তিনি এই পৃথিবীর বুকে আসেন । পরবর্তীতে তিনি তাঁর কঠোর শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনের মাধ্যমে বংশের মুখ উজ্জ্বল করেন ।
শিক্ষাজীবন :- জ্ঞানের অসীম ভান্ডারে প্রদীপ শিক্ষার আলোয় _________(ব্যক্তির নাম) নিজেকে আলোকিত করেছিলেন বাল্যকাল থেকেই । এরপর সে কোথায় কোথায় কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়েছিল সাল-সহ তা পয়েন্ট দেখে লিখতে হবে । এইভাবে তিনি একের পর এক শিক্ষার জ্ঞানের আলো সূচিত করেছেন ।
কর্মজীবন :– যে সকল ব্যক্তি তাদের কাজে ও চিন্তায় আমাদের দেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন তাদের মধ্যে _______(ব্যাক্তির নাম) ছিলেন অন্যতম । তাঁর কর্মজীবনেই ছিল জীবনের বহিঃপ্রকাশ । অর্থের মূল্যায়নকে প্রাধান্য না দিয়ে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে মানুষকে সাহায্যের জন্য তিনি নিজেকে নিয়োগ করেছেন । তিনি কোন কোন কাজ করেছেন তা সাল-সহ পয়েন্ট দেখে লিখতে হবে । তাঁর এই অক্লান্ত পরিশ্রমের মূল্যায়ন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়।
বিশেষত্ব / অন্যান্য কৃতিত্ব : মহামানব-মহাপুরুষদের প্রতিভার বিকাশ, জ্ঞান, ধারণা সবই যেন অমূল্য । বাস্তব জীবনে তাঁর অবদান সুমহান । গঠন, প্রতিষ্ঠা, নির্মান—এগুলি পয়েন্ট দেখে লিখতে হবে । এইভাবে তিনি তাঁর প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়েছেন ।
পুরষ্কার ও সম্মাননা : মহান কাজকে মর্যাদা দানে বিরত রাখা সম্ভব নয় । ক্ষণিকের আনন্দ, মর্যাদা জীবনের স্বরূপ উপলব্ধির মন্ত্র হিসাবে ঘোষিত হয় পুরষ্কার । জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি তাঁর নিজস্ব প্রতিভায় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার অর্জন করেছেন । এরপরে পয়েন্ট দেখে লিখতে হবে ।
মৃত্যু :- মানবজীবন চিরস্থায়ী নয় । পৃথিবীর বাস্তব নিয়মে বন্দি হয়ে সকলের মনে ব্যাথার বান ছুড়ে পরলোকের পথে অমরত্ব লাভ করেন ______ খ্রিষ্টাব্দের ______ ( স্থান, তারিখ, মাস ) । তাঁর দৈহিক অনুপস্থিতি সকলের মণে রেখাপাত করেছে । তাঁর মৃত্যুতে যেন এক অনির্বান দ্বীপশিখা নিভে যায় ।
উপসংহার : উপসংহারে বলা যায় যে, বাংলা তথা ভারতীয়দের মনে ______ ( ব্যাক্তির নাম ) এক চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন । আজও তাঁর জনপ্রিয়তা অম্লান । তাঁর নাম আজও অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় । তিনি আমাদের কাছে বর্তমানে হয়ে আছেন আকাশের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র । সত্যিই আমরা আজ তাঁর জন্য খুব গর্বিত ।
তোমাদের বোঝানোর সুবিধার্থে নিচে একটি প্রশ্ন আমি তোমাদের দিলাম এই নিয়মটির সাহায্যে নিচের প্রশ্নটির উত্তর আমরা এখন করবো । নিচে তোমরা ভালোভাবে দেখো একেবারেই এই প্রশ্নটির উত্তর আমি শক্তির বা ওই যে তোমাদের আমি নিয়মটি দেখালাম এই নিয়মটির সাহায্যে আমি উত্তর কোটা করে দিয়েছি সুন্দরভাবে তোমরা দেখে নাও ।
প্রশ্ন – প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ করো :
শঙ্খ ঘোষ
জম্ন – ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ, চাঁদপুর (বাংলাদেশ)
পিতা ও মাতা – মণীন্দ্রকুমার ঘোষ , অমলাবালা ঘোষ
শিক্ষাজীবন – প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবন – তিনি বঙ্গবাসী কলেজ, সিটি কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন । ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহন করেন ।
সাহিত্যেসম্ভার – প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দিনগুলি রাতগুলি’ (১৯৫৬) । উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : বাবরের প্রার্থনা , নিহিত পাতালছায়া, মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে, জলই পাষাণ হয়ে আছে, মিনিবুক, পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ ইত্যাদি । গদ্যগ্রন্থ : ছন্দের বারান্দা, কবিতার মুহূর্তে, উর্বশীর হাসি, ছন্দময় জীবন, নিঃশব্দের তর্জনী, নির্মাণ আর সৃষ্টি ইত্যাদি ।
পুরষ্কার – ‘সাহিত্য অ্যাকাডেমি’ (১৯৭৭), ‘রবীন্দ্র পুরষ্কার’ (১৯৮৯), ‘পদ্মভূষন’ (২০১১), জ্ঞানপীঠ’ (২০১৬) ।
মৃত্যু – ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ২১ এপ্রিল ।
উত্তর –
শঙ্খ ঘোষ
ভূমিকা :- মানবজীবনের মূল্য তার আয়ুর পরিধিতে বিচার্য নয়, মানুষের কাজ ও কৃতিত্বের জন্যই তার চিরজীবিতা নির্ভর করে । তার ব্যক্তিত্ব, চিন্তা-ভাবনা ও কাজের অনন্যতাই সেই ব্যক্তিকে অবিস্মরণীয় এবং শ্রাদ্ধেয় করে তোলে । শত বছর ধরে মানুষের মণে জাগ্রত, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যার অবদান উল্লেখ্য তিনি হলেন আমাদের অতি প্রিয়, শ্রদ্ধেয় শঙ্খ ঘোষ ।
জম্ন-পরিচয় : দশ মাস দশ দিন পর তাঁর জননী অমলাবালা ঘোষ ও পিতা মণীন্দ্রকুমার ঘোষ তাকে পৃথিবীর আলো দেখান । তিনি ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর শৈশব জীবন থেকে শুরু করে সমাজে বিশিষ্ট খ্যাতি অর্জন পর্যন্ত তার পিতা-মাতা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সমাজে তাঁর আবির্ভাব বাংলার বুকে এক সুনামধন্য প্রতিভা এনে দিয়েছে।
বংশ-পরিচয় : শঙ্খ ঘোষ আলোর ধারার বেগে চমকিত করেছেন সমগ্র বাংলা তথা ভারতবাসীকে । প্রাচীনকাল থেকে খ্যাতনামা সুবংশে আধুনিক হিন্দু পরিবারে বাবার মুখ আলোড়িত করে এবং মায়ের কোল আলোকিত করে তিনি এই পৃথিবীর বুকে আসেন । পরবর্তীতে তিনি তাঁর কঠোর শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনের মাধ্যমে বংশের মুখ উজ্জ্বল করেন ।
শিক্ষাজীবন :- জ্ঞানের অসীম ভান্ডারে প্রদীপ শিক্ষার আলোয় শঙ্খ ঘোষ নিজেকে আলোকিত করেছিলেন বাল্যকাল থেকেই । এরপর সে কোথায় কোথায় কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়েছিল সাল-সহ তা পয়েন্ট দেখে লিখতে হবে । এইভাবে তিনি একের পর এক শিক্ষার জ্ঞানের আলো সূচিত করেছেন ।
কর্মজীবন :– যে সকল ব্যক্তি তাদের কাজে ও চিন্তায় আমাদের দেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন তাদের মধ্যে শঙ্খ ঘোষ ছিলেন অন্যতম । তাঁর কর্মজীবনেই ছিল জীবনের বহিঃপ্রকাশ । অর্থের মূল্যায়নকে প্রাধান্য না দিয়ে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে মানুষকে সাহায্যের জন্য তিনি নিজেকে নিয়োগ করেছেন । তিনি কোন কোন কাজ করেছেন তা সাল-সহ পয়েন্ট দেখে লিখতে হবে । তাঁর এই অক্লান্ত পরিশ্রমের মূল্যায়ন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়।
বিশেষত্ব / অন্যান্য কৃতিত্ব : মহামানব-মহাপুরুষদের প্রতিভার বিকাশ, জ্ঞান, ধারণা সবই যেন অমূল্য । বাস্তব জীবনে তাঁর অবদান সুমহান । প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দিনগুলি রাতগুলি’ (১৯৫৬) । উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : বাবরের প্রার্থনা , নিহিত পাতালছায়া, মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে, জলই পাষাণ হয়ে আছে, মিনিবুক, পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ ইত্যাদি । গদ্যগ্রন্থ : ছন্দের বারান্দা, কবিতার মুহূর্তে, উর্বশীর হাসি, ছন্দময় জীবন, নিঃশব্দের তর্জনী, নির্মাণ আর সৃষ্টি ইত্যাদি ।
পুরষ্কার ও সম্মাননা : মহান কাজকে মর্যাদা দানে বিরত রাখা সম্ভব নয় । ক্ষণিকের আনন্দ, মর্যাদা জীবনের স্বরূপ উপলব্ধির মন্ত্র হিসাবে ঘোষিত হয় পুরষ্কার । জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি তাঁর নিজস্ব প্রতিভায় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার অর্জন করেছেন । ‘সাহিত্য অ্যাকাডেমি’ (১৯৭৭), ‘রবীন্দ্র পুরষ্কার’ (১৯৮৯), ‘পদ্মভূষন’ (২০১১), জ্ঞানপীঠ’ (২০১৬) পুরষ্কার তিনি
মৃত্যু :- মানবজীবন চিরস্থায়ী নয় । পৃথিবীর বাস্তব নিয়মে বন্দি হয়ে সকলের মনে ব্যাথার বান ছুড়ে পরলোকের পথে অমরত্ব লাভ করেন ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের২১ এপ্রিল । তাঁর দৈহিক অনুপস্থিতি সকলের মণে রেখাপাত করেছে । তাঁর মৃত্যুতে যেন এক অনির্বান দ্বীপশিখা নিভে যায় ।
উপসংহার : উপসংহারে বলা যায় যে, বাংলা তথা ভারতীয়দের মনে শঙ্খ ঘোষ এক চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন । আজও তাঁর জনপ্রিয়তা অম্লান । তাঁর নাম আজও অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় । তিনি আমাদের কাছে বর্তমানে হয়ে আছেন আকাশের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র । সত্যিই আমরা আজ তাঁর জন্য খুব গর্বিত ।
আরও পড়ুন –
Article and Preposition – করার নিয়ম
আদরিনী গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণী ইতিহাস প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণী ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প প্রশ্ন উত্তর
ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর
লালন শাহ ফকিরের গান প্রশ্ন উত্তর
YouTube – Samim Sir