শিখন কৌশল প্রশ্ন উত্তর // দ্বাদশ শ্রেণী এডুকেশন চতুর্থ সেমিস্টার // দ্বিতীয় অধ্যায় (2 মার্ক) // Class 12 Education Chapter 2 Question Answer // Semester 4

শিখন কৌশল প্রশ্ন উত্তর // দ্বাদশ শ্রেণী এডুকেশন চতুর্থ সেমিস্টার // দ্বিতীয় অধ্যায় (2 মার্ক) // Class 12 Education Chapter 2 Question Answer // Semester 4

উচ্চ মাধ্যমিক এডুকেশন – দ্বিতীয় অধ্যায় – শিখন কৌশল

শিখন কৌশল প্রশ্ন উত্তর

Mark – 2

(১) শিখন তত্ত্ব বা শিখন কৌশল বলতে কী বোঝো ? শিখনের যে-কোনো দুটি কৌশল উল্লেখ করো । [ WBCHSE ’09 ]

ত্তর – যে পদ্ধতিতে শিখন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে ‘শিখন তত্ত্ব’ বা শিখন কৌশল বলা হয়।

শিখনের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে মনোবিদগণ দুটি কৌশলকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন – অনুবর্তন এবং সমস্যাসমাধানমূলক কৌশল ।

(২) অনুবর্তনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো । [ WBCHSE ’11 ]

উত্তর – অনুবর্তনের উল্লেখযোগ্য দুটি বৈশিষ্ট্য হল – এই প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম উদ্দীপকের সাহায্যে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রাণীর আচরণের প্রকৃতি অনুশীলন করা হয়।

(৩)  অনুবর্তন প্রক্রিয়ায় পুনঃসংযোজন কী ? প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক কে ?

ত্তর – পুনঃসংযোজন: অনুবর্তন প্রক্রিয়াকে সচল রাখার জন্য মাঝে মাঝে পূর্ব পরীক্ষা মতো তার পুনরাবৃত্তি করতে হয়। একেই পুনঃসংযোজন বলে।

প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক হলেন রাশিয়ান শারীরতত্ত্ববিদ আইভান প্যাভলভ।

(৪) শিক্ষাক্ষেত্রে অনুবর্তন নীতির তিনটি প্রয়োগ বা শিক্ষামূলক তাৎপর্য লেখো । [ WBCHSE 12, 11 ]

উত্তর – শিক্ষাক্ষেত্রে অনুবর্তন নীতির প্রয়োগের মাধ্যমে – (ক) শিশুর কু-অভ্যাস দূর করা যায় এবং সু-অভ্যাস গঠন করা যায়, (খ) শিশু বিভিন্ন শব্দ ও শব্দের সাহায্যে বস্তুর নাম শিখতে পারে । (গ) ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে অনুবর্তন প্রক্রিয়াকে কাজে লাগানো যায় ।

(৫) প্রাচীন অনুবর্তন কী ?

ত্তর – প্যাভলভের মতে, যদি কোনো স্বাভাবিক উদ্দীপকের সঙ্গে কৃত্রিম উদ্দীপক বারবার উপস্থিত করা যায়, তাহলে ওই কৃত্রিম উদ্দীপক এক সময় স্বাভাবিকের মতো প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারবে।

(৬) প্যাভলভের পরীক্ষাটি কেমন ছিল-তা সংক্ষেপে লেখো

ত্তর – প্যাভলভ কুকুরকে ঘণ্টাধ্বনি ও খাদ্য দিয়ে পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন, বারবার একসঙ্গে ঘণ্টাধ্বনি ও খাদ্য দিলে কুকুরের যে লালাক্ষরণ হচ্ছে, তা একসময় খাদ্য ছাড়া শুধু ঘণ্টাধ্বনি দিলেই লালাক্ষরণ হচ্ছে। এখানে ঘণ্টাধ্বনি কৃত্রিম উদ্দীপক এবং খাদ্য স্বাভাবিক উদ্দীপকের মতো কাজ করছে।

(৭) অনাবর্তিত উদ্দীপক কাকে বলে ? অনুবর্তিত উদ্দীপক কী ?

ত্তর – অনাবর্তিত উদ্দীপক: স্বাভাবিক উদ্দীপকের সঙ্গে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সম্বন্ধকেই অনাবর্তিত উদ্দীপক বলা হয়। প্যাভলভের পরীক্ষার খাদ্যবস্তু হল অনাবর্তিত উদ্দীপক।

অনুবর্তিত উদ্দীপক: কৃত্রিম উদ্দীপকের (ঘণ্টাধ্বনি) সঙ্গে যখন স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াটি (লালা নিঃসরণ) অনুবর্তিত হয়, তখন ওই কৃত্রিম উদ্দীপকটিকে অনুবর্তিত উদ্দীপক বলা হয়।

শিখন কৌশল প্রশ্ন উত্তর
শিখন কৌশল প্রশ্ন উত্তর

(৮) অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া বা Conditioned Response কী ? প্যাভলভের প্রাচীন অনুবর্তনে CS বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

ত্তর – অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া: প্রাণীর শিখনের ক্ষেত্রে বিকল্প উদ্দীপকের সাহায্যে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে, তাকে অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া বলে। প্যাভলভের প্রাচীন অনুবর্তনে সাপেক্ষ ও বিকল্প উদ্দীপককে CS বা Conditioned Stimulus বলা হয়েছে। এখানে CS হল ঘণ্টাধ্বনি।

(৯) অপানুবর্তন  কী ? প্যাভলভের অনুবর্তনে UR বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? [ WBCHSE 25, ’23, 15, ’07 ]

ত্তর – অপানুবর্তন: অনুবর্তনের পর অনুবর্তিত উদ্দীপকের (ঘণ্টাধ্বনি) পরই যদি স্বাভাবিক উদ্দীপক (খাদ্য) উপস্থাপন না করা হয়, তাহলে অনুবর্তন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। একেই ‘অপানুবর্তন’ বলে।

প্যাভলভের অনুবর্তনে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে UR বা Unconditioned Response বলা হয়েছে। এখানে UR হল সজাগভাব।

(০) প্রাচীন অনুবর্তন কৌশলের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো

ত্তর – প্রাচীন অনুবর্তনের কৌশলের দুটি বৈশিষ্ট্য হল –

(ক) উদ্দীপকের প্রকৃতি ও প্রতিক্রিয়া: অনুবর্তন হল কোনো অস্বাভাবিক উদ্দীপকের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি। এখানে উদ্দীপকের প্রকৃতির ওপর প্রতিক্রিয়া নির্ভরশীল। যেমন- উদ্দীপক শক্তিশালী হলে প্রতিক্রিয়াও শক্তিশালী হবে।

(খ) অধিক শক্তিশালী স্বাভাবিক উদ্দীপক: প্যাভলভের অনুবর্তনে অনুবর্তিত উদ্দীপকের থেকে স্বাভাবিক উদ্দীপক অধিক শক্তিশালী ছিল। এখানে খাদ্যবস্তু, ঘণ্টাধ্বনি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী।

(১) শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের দুটি গুরুত্ব লেখো

ত্তর – (ক) শিশুর ভাষার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে (খ) প্রাক্ষোভিক কু-অভ্যাস দূর করে ও সু-অভ্যাস গঠন করে।

(২) প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বটি কোন্ ব্যাখ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ? কুকুরের উপর পরীক্ষাটি কে করেছিলেন ?

উত্তর – প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শারীরবৃত্তীয় ব্যাখ্যার উপর। কুকুরের উপর পরীক্ষাটি করেছিলেন প্যাভলভ।

(৩) মনোবিদ ড্রেভার (Drever)-এর মতে, সাপেক্ষীকরণ বা অনুবর্তন কী ?

ত্তর – মনোবিদ ড্রেভার-এর মতে, সাপেক্ষীকরণ বা অনুবর্তন হল সাধারণ বা স্বাভাবিক উদ্দীপকের পরিবর্তে অন্য কোনো বস্তু কিংবা অবস্থাকে উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির ধারা।

(৪) অপারেন্ট কী ? অপারেন্ট অনুবর্তন কীসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ?

অপারেন্ট: যে প্রকার আচরণ কোনো নির্দিষ্ট বস্তুধর্মী উদ্দীপকের সাহায্যে ঘটে না, প্রত্যাশামূলক উদ্দীপকের পরিপ্রেক্ষিতেই হয়, তাকেই বলা হয় অপারেন্ট।

অপারেন্ট অনুবর্তন প্রাণীর সক্রিয়তার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

(৫) অপারেন্ট অনুবর্তন কী ? [ WBCHSE 24, 22, ’17 ]

উত্তর – যে অনুবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রাণীর প্রতিক্রিয়ার নির্দিষ্ট কোনো উদ্দীপক থাকে না, যে-কোনো উদ্দীপকের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার সংযোগ ঘটানো যায়, তাকে সক্রিয় অনুবর্তন বলে। এই অনুবর্তন প্রক্রিয়ায় শক্তিদায়ক উদ্দীপকের বিশেষ প্রভাব লক্ষ করা যায়। এই অনুবর্তনের প্রবক্তা হলেন বিখ্যাত মনোবিদ বি এফ স্কিনার। এই অনুবর্তন প্রক্রিয়া টাইপ । প্রকৃতির বাR type অনুবর্তন প্রকৃতির শিখন।

(৬) স্ক্রিনার বক্স কী ? R-Type আচরণ কাকে বলে ?

ত্তর – স্কিনার বক্স: স্কিনার সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষার জন্য নিজের তৈরি যন্ত্রপাতির ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে তিনি একটি বিশেষ ধরনের বাক্স ব্যবহার করেন, যা স্কিনার বক্স (Skinner Box) নামে পরিচিত।

R-Type আচরণ: এখানে R-Type বলতে প্রতিক্রিয়াকে বোঝানো হয়েছে। এই ধরনের অনুবর্তনে কোনো প্রতিক্রিয়া বা আচরণ নির্দিষ্ট উদ্দীপকের প্রভাবে সৃষ্টি হয় না, এটি সক্রিয় অনুবর্তনের অন্তর্গত।

(৭) স্কিনারের মতে, আচরণ কত প্রকার ও কী কী ? [WBCHSE ‘15]

ত্তর – স্কিনারের মতে, আচরণ সাধারণত দুই ধরনের। যথা-

(ক) রেসপনডেন্ট আচরণ : এই আচরণে নির্দিষ্ট উদ্দীপক আছে। যেমন-লালা নিঃসরণের জন্য খাদ্য, চোখের সংকোচনের জন্য উজ্জ্বল আলো ইত্যাদি।

(খ) অপারেন্ট আচরণ : এই আচরণে কোনো নির্দিষ্ট উদ্দীপক নেই। যেমন-কোনো শিক্ষার্থী যদি বানান ভুল কমাতে পারে, তাহলে তাকে পুরস্কার দেওয়া।

(৮) স্কিনারের মতে, প্রবলক (Reinforcer) কী ? স্কিনার তাঁর অপারেন্ট অনুবর্তন সংক্রান্ত রিপোর্ট কত সালে প্রকাশ করেন ?

ত্তর – প্রবলক: যখন কোনো উদ্দীপক কোনো এক আচরণের সম্ভাব্যতাকে বাড়িয়ে তোলে, তখন সেই উদ্দীপককে বলে প্রবলক। যেমন- পুরস্কার, প্রশংসা ইত্যাদি।

স্কিনার তাঁর অপারেন্ট অনুবর্তন সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেন 1931 সালে।

(৯) প্রবলককে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?

ত্তর – প্রবলককে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা –

(ক) ধনাত্মক প্রবলক (Positive Reinforcement) : এটি হল একধরনের সুখদায়ক উদ্দীপক, যার উপস্থাপন কোনো আচরণকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যেমন-পুরস্কার, প্রশংসা ধনাত্মক প্রবলকের উদাহরণ।

(খ) ঋণাত্মক প্রবলক (Negative Reinforcement): এটি হল একধরনের অসুখকর প্রবলক, যার বিলোপ কোনো আচরণকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

(০) শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তনের তত্ত্বের দুটি উপযোগিতা উল্লেখ করো

তর –  শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বের দুটি উপযোগিতা হল –

(ক) পূর্ব প্রস্তুতি: পাঠদানের পূর্বে শিক্ষক মহাশয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাঞ্ছিত আচরণ আনার জন্য তাদের মধ্যে প্রস্তুতি আনবেন।

(খ) শক্তিদায়ক উদ্দীপকের উপস্থাপন: শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঠিক আচরণের জন্য তাদের শিক্ষক পুরস্কৃত করবেন, যা পরে সঠিক আচরণ করতে শক্তি জোগাবে। এই পুরস্কার শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শক্তিদায়ক উদ্দীপক হিসেবে কাজ করবে।

(১)  শেপিং (Shaping) বা আচরণের রূপদান কী ?

উত্তর – কোনো আচরণ যদি প্রাণীর কাছে দীর্ঘ বা জটিল হয়, সেক্ষেত্রে সমগ্র আচরণকে ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত করে প্রতিটি অংশের সঠিক আচরণের জন্য প্রবলক দেওয়া হয়, তবে দেখা যাবে ধীরে ধীরে সমগ্র আচরণটি করা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় শেপিং।

(২) রেসপনডেন্ট বলতে কী বোঝানো হয় ? [ WBCHSE ’16 ]

ত্তর – যে-সমস্ত আচরণের উদ্দীপক পরিস্থিতির সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে বা যে-সমস্ত আচরণকে আমরা নির্দিষ্ট বস্তুধর্মী উদ্দীপকের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারি, সেগুলিকে স্কিনার রেসপনডেন্ট বলেছেন।

স্কিনারের পরীক্ষায় ইঁদুরটি যে আচরণসমূহ সম্পাদন করেছিল, সেগুলি বিশেষ বস্তুধর্মী উদ্দীপক (খাদ্য) দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তাই ওই আচরণগুলি হল রেসপনডেন্ট আচরণ।

(৩) অপারেন্ট অনুবর্তন কীসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ? স্কিনার কত সালে সক্রিয় অনুবর্তনের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা করেছিলেন ?

ত্তর – অপারেন্ট অনুবর্তন প্রাণীর সক্রিয়তার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ।

স্কিনার 1932 সালে সক্রিয় অনুবর্তনের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা করেছিলেন।

(৪) স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বে কী ধরনের উদ্দীপকের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ? সক্রিয় আচরণ বলতে কী বোঝো ? [ WBCHSE ’17 ]

ত্তর – মনোবিদ স্কিনার তাঁর সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বে ফলপ্রাপ্তি বা পুরস্কার এবং শাস্তিদায়ক উদ্দীপক-এর উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।

যে আচরণের ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দীপক থাকে না, যে-কোনো উদ্দীপকের প্রভাবেই প্রাণী আচরণ করে, তাকে সক্রিয় আচরণ বলা হয়। যেমন- স্কিনার বক্সের পরীক্ষায় ইঁদুরের খাদ্যগ্রহণ।

(৫) প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ কাকে বলে ? S-type অনুবর্তনের প্রবর্তক কে ?

ত্তর – প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ: যে-সমস্ত আচরণের উদ্দীপক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে, সেগুলিকে স্কিনার বলেছেন প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ।

মনোবিদ প্যাভলভ প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ এবং স্বতঃক্রিয়ামূলক আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে S-type অনুবর্তনের প্রবর্তন করেন।

(৬) কোন প্রকার শিখনকে Type-II শিখন বলা হয় ? স্কিনার প্রস্তাবিত সিডিউল কী ?

ত্তর – সক্রিয় অনুবর্তনের তত্ত্বকে Type-II শিখন বলা হয়।

সিডিউল: মনোবিদ স্কিনার শক্তিদায়ক উদ্দীপককে উপস্থাপন করার জন্য যে চার ধরনের সময় নির্ধারণ করেছেন, সেগুলিকেই সিডিউল বলা হয়।

(৭) স্কিনারের উল্লিখিত সিডিউলগুলির মধ্যে যে-কোনো দুটি সিডিউলের উল্লেখ করো ।[ WBCHSE ‘1 6]

আনুপাতিক সিডিউল কী?

উত্তর নোবিদ স্কিনার উল্লিখিত সিডিউলগুলি হল  – সিডিউল এবং সময় অন্তর সিডিউল।

আনুপাতিক সিডিউল: পাঠদানকালে সবসময় সঠিক প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শক্তিদায়ক সত্তা প্রয়োগ না করে কখনো তাড়াতাড়ি বা কখনো কিছুটা সময় নিয়ে শক্তিদায়ক উদ্দীপক প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়া যায়। এটিই হল আনুপাতিক সিডিউল।

(৮) শৃঙ্খল প্রক্রিয়া কী ?প্রত্যাশামূলক উদ্দীপকের জন্য যে আচরণ ঘটে, তাকে কী ধরনের আচরণ বলে ?

ত্তর – শৃঙ্খল প্রক্রিয়া: অপারেন্ট প্রক্রিয়ার পূর্বে প্রতিক্রিয়া পরবর্তী পর্যায়ের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির জন্য উদ্দীপক সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়াকেই শৃঙ্খল প্রক্রিয়া বলা হয়।

প্রত্যাশামূলক উদ্দীপকের জন্য যে আচরণ ঘটে, তাকে অপারেন্ট আচরণ বলে।

(৯) সমস্যামূলক পরিস্থিতি বলতে কী বোঝো  ? সমস্যাসমাধানমূলক শিখন কাকে বলে ?

ত্তর – সমস্যামূলক পরিস্থিতি: যেসকল শিখন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীর লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর চাহিদা এবং লক্ষ্যের মাঝে বাধা সৃষ্টি হয়, তাকেই বলে সমস্যামূলক পরিস্থিতি।

সমস্যাসমাধানমূলক শিখন প্রত্যক্ষভাবে সমস্যাসমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আচরণধারার যে পরিবর্তন প্রক্রিয়া সংগঠিত হয়, তাকেই বলে সমস্যাসমাধানমূলক শিখন।

(০) থর্নডাইকের প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশল কী ? পাজল বক্স কী ? [ WBCHSE 18, ’15 ]

ত্তর – প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন: নিজের প্রচেষ্টায় ভুল প্রতিক্রিয়াগুলিকে বর্জন করে নির্ভুল প্রতিক্রিয়াগুলিকে গ্রহণ করার মাধ্যমে যে শিখন হয়, তাকে থর্নডাইক প্রচেষ্টা ও ভুলের মাধ্যমে শিখন কৌশল বলেছেন।

পাজল বক্স: থর্নডাইক শিখনের সঠিক কৌশল নির্ণয়ের জন্য বিড়াল ও মাছ নিয়ে পরীক্ষা করার সময় বিশেষ একধরনের বক্স ব্যবহার করেছিলেন, ওই বক্সের নাম পাজল বক্স।

(১) “টাইম কার্ভ” কাকে বলে ? সংযোজনবাদ কোন ধারণার দ্বারা গড়ে উঠেছে ?

উত্তর – টাইম কার্ভ থর্নডাইক প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশল পরীক্ষার ফলাফল লেখচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। পুনরাবৃত্তির সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই লেখ ক্রমশ নীচের দিকে নামতে থাকে। একে ‘টাইম কার্ভ’ বলে।

সংযোজনবাদ অনুষঙ্গবাদের ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত। সংবেদন, প্রত্যক্ষণ, প্রতিরূপ ইত্যাদি বিভিন্ন মানসিক এককের সংযোগের ফলে অনুষঙ্গবাদ গড়ে ওঠে।

(২) ফললাভের সূত্রটি ব্যাখ্যা করো । [ WBCHSE 22, ’19, ’11 ]

ত্তর – ফললাভের সূত্র: এই সূত্রে বলা হয়েছে, একটি উদ্দীপক ও তার প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংশোধনযোগ্য বন্ধন স্থাপিত হলে, সেই সংযোগের ফল যদি প্রাণীর কাছে তৃপ্তিদায়ক হয়, তবে সেই সংযোগ দৃঢ় হবে, আর সেই সংযোগ স্থাপনের ফল প্রাণীর কাছে বিরক্তিকর হলে, সেই সংযোগ শিথিল হবে।

(৩) শিখনের ক্ষেত্রে অনুশীলনের সূত্রটি ব্যাখ্যা করো

ত্তর – মনোবিদ থর্নডাইক তাঁর প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন তত্ত্বে বলেছেন, উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার বন্ধনকে সুসংহত করতে অনুশীলনের গুরুত্ব আছে। উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে স্থাপিত হওয়া বন্ধন দৃঢ় হয় অনুশীলন বা অভ্যাসের মাধ্যমে। আবার অন্যদিকে অনভ্যাসের জন্য বন্ধন দুর্বল হয়ে যায়। এটিই হল শিখনের ক্ষেত্রে অনুশীলনের সূত্র।

(৪) অনুষঙ্গ কী ? এর তিনটি সূত্র কী কী ?

ত্তর – অনুষঙ্গ: আমাদের অতীত অভিজ্ঞতার বিষয়বস্তুগুলো বিচ্ছিন্ন নয়। এই কারণে পূর্ব অভিজ্ঞতার কোনো একটি বিষয় মনে করতে গেলে, তার সঙ্গে সুসম্পর্কযুক্ত অন্য একটি বিষয় মনে পড়ে যায়। যে যোগসূত্রটি – এই বিষয়ের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে থাকে, তাকে অনুষঙ্গ বলে।

প্রধানত অনুষঙ্গের তিনটি সূত্র সাদৃশ্যের সূত্র (Law of – similarity), বৈসাদৃশ্যের সূত্র (Law of Contrast), সান্নিধ্যের সূত্র (Law of Contiguity)।

(৫) প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের অর্থ কী ? [ WBCHSE ’12, ’10 ]

ত্তর – প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের অর্থ হল উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযোগস্থাপনের মাধ্যমে শিখন সম্পন্ন হয়। আর এই সংযোগ বা বন্ধন সৃষ্টি হয় প্রচেষ্টা ও ভুল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে বারবার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে প্রাণীর ভুল প্রচেষ্টাগুলি হ্রাস পেতে থাকে এবং সঠিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ফলপ্রাপ্তি ঘটে ও শিখন সম্ভব হয়।

(৬) থর্নডাইক কোন কোন প্রাণীর উপর তাঁর প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্বের প্রয়োগ করেছিলেন ? মনোবিদ থর্নডাইক কোন্ দেশের মানুষ ছিলেন ?

ত্তর – মনোবিদ থর্নডাইক কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, বাঁদর, মাছ, মুরগি প্রভৃতি প্রাণীর উপর তাঁর প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্বের প্রয়োগ করেছিলেন।

মনোবিদ থর্নডাইক আমেরিকার মানুষ ছিলেন।

(৭) থর্নডাইকের দেওয়া প্রধান তিনটি সূত্র কী কী ? থর্নডাইকের অনুশীলনের সূত্রকে ক-টি অংশে বিভক্ত করা যায় ? ( WBCHSE 22 )

ত্তর – থর্নডাইকের শিখন তত্ত্বের মুখ্য তিনটি সূত্র হল -প্রস্তুতির সূত্র, অনুশীলনের সূত্র, ফললাভের সূত্র।

থর্নডাইকের অনুশীলন সূত্রকে দুটি অংশে বিভক্ত করা যায়। যথা- অভ্যাসের সূত্র এবং অনভ্যাসের সূত্র ।

(৮) থর্নডাইকের শিখনে গৌণ সূত্রের সংখ্যা কটি ও কী কী ? থর্নডাইকের শিখনে ‘S’ ও ‘R’ কী ?

ত্তর – থর্নডাইকের শিখনে গৌণ সূত্রের সংখ্যা 5 টি। এগুলি হল -মানসিক প্রস্তুতির সূত্র, বহুমুখী প্রতিক্রিয়ার সূত্র, আংশিক প্রতিক্রিয়ার সূত্র, উপমানের সূত্র এবং অনুষঙ্গমূলক সঞ্চালনের সূত্র।

থর্নডাইকের শিখনে ‘S’ হল Stimulus অর্থাৎ উদ্দীপক এবং ‘R’ হল Response অর্থাৎ প্রতিক্রিয়া।

(৯) শিখনের মানসিক প্রস্তুতির সূত্রটি লেখো

উত্তর – মনোবিদ থর্নডাইক তাঁর শিখনের সূত্রে বলেছেন, উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সার্থক সম্বন্ধ স্থাপন করতে হলে ব্যক্তির মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন। এই প্রস্তুতি বলতে থর্নডাইক দৈহিক প্রস্তুতির কথা বলেননি।

(০) শ্রেণিকক্ষে থর্নডাইকের ফললাভের সূত্রের প্রয়োগ লেখো । [ WBCHSE 13 ]

ত্তর – উপযুক্ত ফললাভ ছাড়া শিখন বাধাপ্রাপ্ত হয়। দেখা যায় যে, তৃপ্তিদায়ক অনুভূতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্জনে সহায়তা করে এবং তারা তুলনামূলকভাবে সহজে শিক্ষার্জন করতে সমর্থ হয়। সেইজন্য শ্রেণিকক্ষকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে পাঠ্যবস্তু শিক্ষণ পদ্ধতি এবং পরিস্থিতি শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা অনুযায়ী আনন্দদায়ক হয়।

(১) থর্নডাইকের দেওয়া ব্যবহারের সূত্রটি  লেখো  ।  [ WBCHSE ’19 ]

ত্তর – ব্যবহারের সূত্র: থর্নডাইকের দেওয়া ব্যবহারের সূত্রে বলা হয়েছে, যখন সবকিছুই ঠিক থাকে, তখন উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার সংযোগস্থাপনের পর যদি বারবার অনুশীলন করা হয়, তখন সংযোগের শক্তি বাড়বে এবং শিখন শক্তিশালী হবে।

(২) শিখনের ক্ষেত্রে অনুশীলনের অব্যবহারের সূত্রটি লেখো ।[ WBCHSE ’19 ]

ত্তর – অব্যবহারের সূত্র: শিখনের ক্ষেত্রে অনুশীলনের অব্যবহারের সূত্রটি হল- যখন উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংশোধনযোগ্য বন্ধন দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি করা হয় না, তখন বন্ধনের শক্তি হ্রাস পায়।

(৩) প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের যে-কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো

ত্তর – প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের বৈশিষ্ট্যগুলি হল —

(ক) শিক্ষার্থীর আত্মসক্রিয়তা: কোনো সমস্যাসমাধান করতে হলে সর্বপ্রথম প্রয়োজন শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা। সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে সমাধান খুঁজে পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থী নিজে প্রচেষ্টা করবে এবং এই প্রচেষ্টালব্ধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভুল প্রচেষ্টাগুলিকে ত্যাগ করে সঠিক প্রচেষ্টা বেছে নেবে।

(খ) পুনরাবৃত্তি: সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বারবার সংযোগ করা প্রয়োজন। এই পুনরাবৃত্তি হল প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

(৪) শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচেষ্টা ও ভুলের তত্ত্বের যে-কোনো দুটি গুরুত্ব লেখো

ত্তর – শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচেষ্টা ও ভুলের তত্ত্বের গুরুত্বগুলি হল –

(ক) শিক্ষার্থীর প্রস্তুতি: পাঠ্যবিষয় আয়ত্ত করার জন্য শিক্ষার্থীর দৈহিক, মানসিক ও প্রাক্ষোভিক প্রস্তুতির উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

অনুবন্ধের নীতি অনুসরণ: শিক্ষার্থীর পাঠের বিষয়টি উদ্ভূত জ্ঞানের ভিত্তিতে বিন্যাস করতে হবে। যাতে শিখন প্রক্রিয়া সাবলীল গতিতে এগিয়ে যেতে পারে।

(৫) সুপ্ত শিখন বা Latent Learning বলতে কী বোঝো ?

উত্তর – Talman এর মতে, শিখন প্রক্রিয়ায় অনেকক্ষেত্রেই কোনোরকম পুরস্কার ছাড়াই শিখন ঘটে। এ প্রসঙ্গে তাঁর Maze Learning-এর পরীক্ষা উল্লেখযোগ্য। তিনি এগুলিকেই সুপ্ত শিখন বা Latent Learning বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক দুঃখজনক ঘটনাকে আমরা ভুলতে পারি না।

(৪৬) গেস্টান্ট মতবাদ বা সমগ্রতাবাদ কাকে বলে ?

ত্তর – গেস্টান্ট একটি জার্মান শব্দ। এর অর্থ হল অবয়ব বা সামগ্রিক আকার, প্যাটার্ন, সংগঠন, সমগ্রতা ইত্যাদি। প্রাণী কীভাবে শেখে, তা নিয়ে বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী বিভিন্ন শিখন তত্ত্বের উদ্ভাবন করেছেন। শিখনের যে তত্ত্বের মাধ্যমে আমরা অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন কৌশল ও শিখনে সমগ্রতার তত্ত্ব জানতে পারি, তাকে বলা হয় গেস্টাল্ট মতবাদ।

(৭) অন্তর্দৃষ্টি (Insight) কাকে বলে ?

ত্তর – সমস্যামূলক পরিস্থিতির সামগ্রিক রূপ উপলব্ধি হওয়ার ফলেই প্রাণীরা সমস্যাসমাধান করতে পারে। এই উপলব্ধি হঠাৎ শিক্ষার্থীর মধ্যে আসে। সমস্যামূলক পরিস্থিতির সামগ্রিকতার হঠাৎ এই প্রত্যক্ষণকে গেস্টাল্ট মনোবিদগণ বলেছেন অন্তর্দৃষ্টি (Insight) |

(৮) গেস্টাল্ট মতবাদে বিশ্বাসী মনোবিজ্ঞানীদের নাম লেখো।

ত্তর – গেস্টাল্ট মতবাদে বিশ্বাসী মনোবিজ্ঞানীরা হলেন কোহলার (Kohler), কঙ্কা (Koffka) এবং ওয়ারদাইমার (Wertheimer)। KKW School: গেস্টাল্ট মতবাদের প্রবর্তক হলেন মনোবিজ্ঞানী কোহলার, কক্কা ও ওয়ারদাইমার। যাঁদের একসঙ্গে KKW বলেও উল্লেখ করা হয়। তাই এই মনোবিজ্ঞানীদের প্রদত্ত মতবাদকে KKW School-ও বলা হয়ে থাকে।

(৯) অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন কী ?

ত্তর – গেস্টাল্টবাদীদের মতে, শিখনের ক্ষেত্রে পৃথক্করণ এবং সামান্যীকরণ-এই দুটি মানসিক বৈশিষ্ট্যের দ্বারা যে-কোনো শিখন ঘটে। সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে প্রাণী হঠাৎ করে যে উপলব্ধির মাধ্যমে সমস্যার সামগ্রিক রূপ প্রত্যক্ষণ করে তাকে বলে অন্তর্দৃষ্টি। এই অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে সমস্যার সামগ্রিক রূপ প্রত্যক্ষণ করেও শিখন সম্ভব হয়। একেই বলে অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন।

(০) গেস্টাল্ট মতবাদে ‘অন্তর্দৃষ্টি শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয় ?

ত্তর – শিক্ষার্থী শিখন সমস্যার সমগ্র রূপটি যখন পূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং তৎক্ষণাৎ তার কাছে অংশগুলির মধ্যে সমগ্র সমস্যাটি সম্বন্ধে পরিপূর্ণভাবে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে, তখন তাকে অন্তর্দৃষ্টি বলে।

(১) অর্থপূর্ণ শিখনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো

ত্তর – অর্থপূর্ণ শিখনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (ক) অর্থপূর্ণ ভাষাভিত্তিক শিখনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা সংরক্ষণে সাহায্য করা হয়। (খ) পূর্ব অভিজ্ঞতার সঙ্গে ধারণার সংযুক্তিকরণ ঘটে।

(২) অর্থপূর্ণ শিখনে শিক্ষকের দুটি ভূমিকা লেখো

ত্তর – অর্থপূর্ণ শিখনে শিক্ষকের দুটি ভূমিকা হল – এর সাহায্যে শিক্ষক যতটা সম্ভব বেশি পরিমাণ তথ্য শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।

শিক্ষক পাঠের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করবেন ও শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোযোগী করে তুলবেন।

(৩) অর্থপূর্ণ শিখনে শিক্ষার্থীর দুটি ভূমিকা লেখো

ত্তর – অর্থপূর্ণ শিখনে শিক্ষার্থীর দুটি ভূমিকা হল – বোঝার ক্ষেত্রে অসুবিধা হলে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করবে। পাঠগ্রহণের সময় সক্রিয় থাকবে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা

(৪) ZPD বলতে কী বোঝো ?

উত্তর – ZPD বলতে ভাইগটস্কি বুঝিয়েছেন-একজন শিক্ষার্থী স্বাধীনভাবে নিজে নিজে কী জ্ঞান অর্জন করেছে এবং নির্দেশনা পাওয়ার পর কী জ্ঞান অর্জন করেছে তার পার্থক্য। অর্থাৎ যে ব্যক্তি একা একা যা শেখে এবং অন্যের সহযোগিতার মাধ্যমে যা শিখতে পারে তার অন্তর বা ব্যবধান হল ZPD বা Zone of Proximal Development !

আরও পড়ুন

এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর (2 mark)

এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark )

YouTube – Samim Sir

Leave a Comment