এডুকেশন পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ সেমিস্টার । দ্বাদশ শ্রেণী । Class 12 Education Chapter 5 Long Question Answer Suggestion

এডুকেশন পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ সেমিস্টার । দ্বাদশ শ্রেণী । Class 12 Education Chapter 5 Long Question Answer Suggestion

প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক এডুকেশন চতুর্থ সেমিস্টারের জন্য পঞ্চম অধ্যায় থেকে 5 মার্কের প্রশ্ন উত্তর পরীক্ষায় আসে, তোমরা সকলেই জানো ।এই পোস্টটিতে আমি এডুকেশন উচ্চ মাধ্যমিক বা দ্বাদশ শ্রেণীর এডুকেশন পঞ্চম অধ্যায় থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং পরীক্ষায় কমন পাওয়ার মতো 5 মার্কের প্রশ্ন উত্তর সাজেশন দেখিয়েছি । আশা করি এই প্রশ্ন উত্তর সাজেশন মধ্যেই তোমরা প্রশ্ন কমন পেয়ে যাবে ।

এডুকেশন পঞ্চম অধ্যায়

পঞ্চম অধ্যায় – মানব কল্যাণ

Mark – 5

() ানসিক সুস্থতা রক্ষার বিভিন্ন কৌশলগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো

ত্তর মানসিক সুস্থতার বিভিন্ন কৌশলগুলি হল  –

() মননশীলতার অনুশীলন: মননশীলতা মানসিক সুস্থতা রক্ষার একটি শক্তিশালী কৌশল। নিয়মিত মননশীলতার অনুশীলন মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশা দূর করতে এবং মানসিক সুস্থতা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

() নিয়মিত শারীরিক কার্যাবলির (ব্যায়াম) অনুশীলন :  নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত ব্যায়াম এন্ডোরফিন নামে একধরনের হরমোন নিঃসরণ করে, যা মেজাজ উন্নত করে এবং স্ট্রেস হরমোন উৎপাদন কমায়। ফলে মানসিক সুস্থতা রক্ষিত হয়।

() নিয়ম অনুযায়ী বিভ্রান: কম ঘুমের ফলে খিটখিটে মেজাজ মানসিক চাপ বৃদ্ধি, স্মৃতি লোপ, অবসাদ প্রভৃতি বৃদ্ধি পায়। তাই বিশ্রাম বা পর্যাপ্ত ঘুম মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

() সামাজিক সংযোগ রক্ষা : বন্ধু-বান্ধব এবং প্রিয়জনের সঙ্গে সুখের সময় কাটানো মানসিক সুস্থতায় ঔষধের বিকল্প রূপে কাজ করে। তাই মানসিক সুস্থতার জন্য শক্তিশালী সামাজিক সংযোগ রাখা অপরিহার্য।

() আত্ম অনুশীলন: আত্ম সমালোচনা করে নিজের ভুল-ত্রুটি সংশোধন এবং নেতিবাচক মনোভাব এড়িয়ে চলা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। সেই সঙ্গে নিজের প্রতি সদয় এবং সহানুভূতিশীল হওয়া খুব জরুরি।

() পেশাদারী পরামর্শ গ্রহণ: গভীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগলে পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুব প্রয়োজন। যেমন- মনোবিজ্ঞানী, মনোচিকিৎসক, থেরাপিস্ট, মানসিক স্বাস্থ্যসম্পন্ন নার্স এদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন, এ ছাড়া মানসিক সুস্থতার অন্যান্য কৌশলগুলি হল—সৃজনশীল চিন্তাভাবনা, চাপ মোকাবিলা করা, আবেগ মোকাবিলা করা, সহানুভূতিশীল মনোভাব ইত্যাদি।

এডুকেশন পঞ্চম অধ্যায়
এডুকেশন পঞ্চম অধ্যায়

() মানসিক সুস্থতা বা মানসিক কল্যাণ কাকে বলে ? মানসিক সুস্থতার বিভিন্ন প্রকার বা ধরনগুলি লেখো

ত্তর মানসিক সুস্থতা: মানসিক সুস্থতা হল ব্যক্তির মানসিক ও আবেগগত সুস্থতার একটি অবস্থা, যেখানে তিনি মানসিক চাপ সামলাতে, ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে, জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হন।

মানসিক সুস্থতার ধরন: মানসিক সুস্থতার বিভিন্ন ধরন হল –

() আত্মস্বীকৃতি : নিজের ক্ষমতা, দুর্বলতা ও জীবনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা।

() ব্যক্তিগত উন্নতি: নিজেকে উন্নত করার প্রবণতা ও নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের ইচ্ছা।

() জীবনের উদ্দেশ্য : জীবনের একটি স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ ও তা অর্জনের চেষ্টা।

() পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ : নিজের জীবন ও পরিবেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার দক্ষতা।

() স্বাধীনতা: অন্যের মতামতের চাপে না পড়ে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার ক্ষমতা।

() সার্থক সম্পর্ক: পরিবার, বন্ধু ও সমাজের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখা।

() মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার স্বরূপ বা প্রকৃতি আলোচনা করো

ত্তর মানসিক স্বাস্থ্য হল ব্যক্তির চিন্তা, অনুভূতি, আচরণ, আবেগ প্রভৃতির একটি ইতিবাচক সমন্বয়, যা তাকে প্রাত্যহিক জীবনে সামগ্রিকভাবে ভালো থাকতে সাহায্য করে এবং জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। নীচে মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার স্বরূপ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল-

() মানসিক স্বাস্থ্য : এটি চিন্তা, আবেগ, অনুভূতি, আচরণ প্রভৃতির সুসমন্বিত রূপ।

() প্রক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ : ব্যক্তির আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রকাশ করার ক্ষমতা হল প্রাক্ষোভিক স্বাস্থ্য বা আবেগিক স্বাস্থ্য। এই আবেগিক স্বাস্থ্য আবেগিক অস্থিরতাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রক্ষোভগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনে।

() সামাজিক স্বাস্থ্য : ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে এবং ব্যক্তিতে-সমাজে ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষমতা হল সামাজিক স্বাস্থ্য। সামাজিক স্বাস্থ্যসম্পন্ন ব্যক্তি সামাজিক সহযোগিতা এবং সমর্থন দুই-ই পেতে পারে। অর্থাৎ মানসিক সুস্থতা হল ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষমতা।

() উদ্দেশ্যপুরাণর ক্ষমতা : মানসিক সুস্থতা হল ব্যক্তিগত, পেশাগত ও শিক্ষাগত লক্ষ্যপূরণের সক্ষমতা।

() সচেতনতা : মানসিক সুস্থতা হল নিজের চিন্তা, আবেগ, আচরণ, অনুভূতি, নিজের শক্তি এবং দুর্বলতা বোঝার ক্ষমতা।

() শারীরিক স্বাস্থ্য: সুস্থতার মনোভাব শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হতে সাহায্য করে।

() স্ব-ক্ষমতা : মানসিক সুস্থতা নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে।

() মানসিক কল্যাণের উপাদানগুলি লেখো।

ত্তর মনস্তত্ত্বগত মানসিক সুস্থতা বা মঙ্গলের উপাদানগুলি হল –

() জীবানর সন্তুষ্টি : একজন ব্যক্তির জীবনের সামগ্রিক মূল্যায়নের ফলে যদি দেখা যায়, ওই ব্যক্তি জীবনকে আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করে, তবে বলা হবে ওই ব্যক্তির জীবনে সন্তুষ্টি রয়েছে। এই সন্তুষ্টি নিজের জীবনের সঙ্গে যেমন জড়িত, তেমনই অপর ব্যক্তিকেও প্রভাবিত করে। প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই জীবনে সন্তুষ্টি অতি গুরুত্বপূর্ণ।

() ধনাত্মক প্রক্ষোভ : একজন ব্যক্তির ধনাত্মক প্রক্ষোভ বলতে বোঝানো হয় আনন্দ, উল্লাস ইত্যাদিকে, যেগুলি সুষম শান্তি ও পরিতৃপ্তির সঙ্গে যুক্ত। ধনাত্মক প্রক্ষোভমূলক আচরণ ঋণাত্মক প্রক্ষোভকে দূর করে। তাই ধনাত্মক প্রক্ষোভ মানসিক সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

() ঋণাত্মক প্রাক্ষাভের নিম্নগামিতা: রাগ, হতাশা, উদ্বেগ, ঈর্ষা ইত্যাদি হল ঋণাত্মক প্রক্ষোভ। ঋণাত্মক প্রক্ষোভ দূরীকরণ বা নিম্নগামী করতে হলে ধনাত্মক প্রক্ষোভের ঊর্ধ্বগামিতা প্রয়োজন। নিম্নগামী ঋণাত্মক প্রক্ষোভব্যক্তির মধ্যে আনন্দ, সুখ ও শান্তি সঞ্চার করে।

() স্বাধীনতা : স্বাধীনতা ব্যক্তিকে আত্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে সিদ্ধান্তগ্রহণে অনুপ্রাণিত করে। ব্যক্তির মধ্যে যদি আত্মসচেতনতা ও আত্মশ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করা সম্ভব হয় এবং ব্যক্তিকে যদি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আগ্রহ সঞ্চার করা হয়, তবে সেই কাজে সে স্বাধীনতা পায়। কাজে সাফল্য পেলে সে তৃপ্ত হয় এবং তার মানসিক সুখ ও শান্তি আসে।

() ধনাত্মক সম্পর্ক : মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা বা মঙ্গলের জন্য এই উপাদানটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয়জনের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদি ব্যক্তির সুস্থ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। এই সম্পর্ক ব্যক্তির মধ্যে আনন্দ ও সুখের সঞ্চার করে। এর ফলে ব্যক্তির মধ্যে হতাশা, রাগ, দুঃখ ইত্যাদি ঋণাত্মক প্রক্ষোভগুলিকে কমানো সম্ভব হয়।

এডুকেশন পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

() মানসিক কল্যাণের উদ্দেশ্যগুলি আলোচনা করো।

ত্তর মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণের উদ্দেশ্যগুলি হল –

() সুখী জীবনযাপন : আনন্দপূর্ণ জীবনযাপন, মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন, মনের মধ্যে কলুষতা দূরীকরণের মাধ্যমে জীবনযাপন করা সম্ভব।

() আয়ুবৃদ্ধি: আনন্দের সঙ্গে সুখী জীবনযাপন সমস্যাহীনভাবে বাঁচতে পারলে মন থেকে বিভিন্ন দ্বন্দ্ব, মানসিক রোগ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক রোগমুক্ত হওয়া যায়, যা মানুষকে দীর্ঘায়ু হতে সাহায্য করে।

() সামাজিক সমস্যা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার হ্রাস: বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা, ব্যক্তির মধ্যে মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা মানসিক সুস্থতার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তবে, অনেক সহজে সামাজিক সমস্যা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতাকে দূর করা যায় বা হ্রাস করা সম্ভব, যা মানসিক শান্তির জন্য প্রয়োজন।

() উন্নত জীবনযাপন উপাভাগ: একজন ব্যক্তি যদি নিঃস্বার্থভাবে, অপরের কোনো ক্ষতির কথা না ভেবে, সহানুভূতি, দয়া, মায়া, ভালোবাসা, ন্যায়-নীতি, শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে জীবনযাপন করেন এবং এই উন্নত জীবনযাপন উপভোগ করতে পারেন, তবে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে সুখী থাকতে পারেন।

() কম রোগে আক্রান্ত হওয়া: কম রোগ-ভোগ ব্যক্তিকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে। মনের মধ্যে আনন্দ ও স্ফূর্তি থাকে, যা ব্যক্তির মধ্যে মানসিক সুস্থতা আনতে সাহায্য করে।

() স্বাস্থ্যসম্মত আচরণ : বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসম্মত আচরণ, চোখ, দাঁত, নখ, দেহ ইত্যাদির পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, কোনো ধরনের তামাক জাতীয় দ্রব্য বা মাদক জাতীয় দ্রব্য পান না করা, সুস্থ যৌন আচরণ, যোগব্যায়াম, খেলাধুলা, গান-বাজনা ইত্যাদি সংস্কৃতিমূলক বিষয়গুলি দৈহিক ও মানসিক সুস্থতার সহায়ক।

() মানসিক চাপ মুক্তকরণ: বিভিন্ন কারণে ব্যক্তির মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। ব্যক্তিকে মানসিক চাপমুক্ত রাখতে হলে সদা হাস্যময় জীবনযাপন করতে হবে, বিভিন্ন ধরনের অপসংস্কৃতিমূলক আচরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে, রাগ-হতাশা-উদ্বেগ-দ্বন্দ্ব ইত্যাদি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে এবং এর ফলে ব্যক্তির মধ্যে সুখ ও মানসিক শান্তি আসবে।

() শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে মানসিক কল্যাণের ভূমিকা লেখো

ত্তর শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে মানসিক কল্যাণের ভূমিকা:

() শিক্ষাগত পারদর্শিতা : শিক্ষাগত পারদর্শিতা মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত পারদর্শিতার ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ।

() সামঞ্জস্যবিধান : মনস্তত্ত্বগত কল্যাণ শিক্ষার্থীদের নতুন শিখন পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যবিধানে সাহায্য করে এবং শিক্ষার চাপ কমাতে পারে।

() কল্যাণমুখী নিযুক্তিকরণ : মনস্তত্ত্বগত কল্যাণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেষণা সঞ্চার করে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে কল্যাণমুখী নিযুক্তিকরণের সহায়ক।

() প্রাক্ষোভিক উৎস: মনস্তত্ত্বগত কল্যাণমুখী চিন্তাভাবনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাক্ষোভিক উৎস হিসেবে কাজ করে, যা তাদের নতুন ধারণা অনুসন্ধানে সাহায্য করে।

() ধনাত্মক চিন্তার বিকাশ: মনস্তত্ত্বগত কল্যাণমুখী চিন্তাভাবনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধনাত্মক চিন্তার বিকাশ ঘটায়।

() সাফল্য অভিমুখী মনস্তত্ত্বগত কল্যাণ : সাফল্য অভিমুখী মনস্তত্ত্বগত কল্যাণ শিক্ষার্থীদের সাফল্যের প্রেষণা সঞ্চার করে, যা তাদের মধ্যে তৃপ্তি দান করে এবং মানসিক শান্তি আনে।

() সামাজিক বিকাশ : মনস্তত্ত্বগত কল্যাণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতা, সহানুভূতি, স্নেহ, দয়া-মায়া ইত্যাদির মতো সামাজিক বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে এবং এর ফলে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতিবিধান ঘটে।

এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে অপরাধপ্রবণতা, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ হ্রাস করে তাদের আত্মবিশ্বাসী এবং বৃহত্তর লক্ষ্যাভিমুখী করে তাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারে।

() মননশীল ধ্যান কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো

ত্তর মননশীল ধ্যান: মননশীল ধ্যান হল এমন একটি শান্তিপূর্ণ মানসিক অবস্থা, যা শ্বাস, শরীরের সংবেদন ও অনুভূতির উপর মনোযোগ দিয়ে বর্তমান মুহূর্তের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে, যার ফলে মানসিক প্রশান্তি আনা সম্ভব হয়। মননশীল ধ্যান ব্যক্তির মনোযোগের উন্নয়ন যেমন ঘটায়, তেমনই এটি সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধির সহায়ক।

মননশীল ধ্যানের বৈশিষ্ট্য: মননশীল ধ্যানের বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

() মানাযোগ দান: মননশীল ধ্যান হল কোনো বিষয় বা বস্তু বা ঘটনার প্রতি যথাযথ মনোযোগ দান করা। যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হল শ্বাস, শারীরিক সংবেদন, চিন্তাভাবনা ও আবেগ।

() বিচার-বহির্ভূত পর্যবেক্ষণ : চিন্তাভাবনা, অনুভূতিগুলির ভালো দিক বা মন্দ দিক বিচার না করে যথাযথ পর্যবেক্ষণ করা অর্থাৎ মননশীল ধ্যান বিচার-বহির্ভূত পর্যবেক্ষণের সহায়ক।

() বর্তমালের উপর গুরুত্ব আরোপ: অতীত বা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে বর্তমান অবস্থার উপর গুরুত্ব প্রদান করা প্রয়োজন। কারণ অতীতের এমন বিষয় থাকতে পারে, যা মনকে অশান্ত করে তুলতে পারে, আবার ভবিষ্যতের অহেতুক চিন্তাও মনকে অশান্ত করে তুলতে পারে। সেক্ষেত্রে বর্তমান বিষয়ের প্রতি যথাযথ মনোনিবেশ বা বিষয়কে কেন্দ্র করে ধ্যান সম্ভব নয়।

() সাচতনতা বৃদ্ধি : নিয়মিত মননশীল ধ্যানের অনুশীলনের ফলে ব্যক্তি তার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক জগত সম্বন্ধে সচেতন হয়, যা তার মধ্যে অস্থির বা অশান্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

() শান্ত পরিবেশ : মননশীল ধ্যানের জন্য প্রয়োজন শান্ত পরিবেশ কারণ পরিবেশের বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অশান্তি মানসিক স্থিরতা নষ্ট করে দেয়, যা মননশীল ধ্যানের অন্তরায়।

() আরামদায়ক অবস্থা: মননশীল ধ্যানের সঙ্গে ধ্যানের প্রত্যক্ষ সংযোগ রয়েছে। তাই ব্যক্তির বসা, শোওয়া ইত্যাদি বিষয়েও ধ্যানের মতোই মননশীল ধ্যানের ক্ষেত্রেও ব্যক্তির আরামদায়ক অবস্থান প্রয়োজন, যা শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি আনে।

() মননশীল ধ্যান কীভাবে মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে ?

[অথবা], মানব কল্যাণে ধ্যানের ভূমিকা কী ?

ত্তর মননশীল ধ্যান হল শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার একটি কৌশল। এটি মনকে শান্ত রাখতে এবং বিভিন্ন প্রকার মানসিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতায় মননশীল ধ্যানের গুরুত্ব হল-

() মনাক শান্ত করা : মননশীল ধ্যান মনকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিবিষ্ট করতে সাহায্য করে। এই ধ্যান মনকে শান্ত করে এবং মানসিক অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করে।

() চাপ লাঘব করতে সাহায্য কার: মননশীল ধ্যান শরীরের শিথিলতাকে দূর করে। এর ফলে স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন হ্রাস পায় এবং মনে শান্তির অনুভূতি তৈরি হয়।

() দৃষ্টিভঙ্গির উন্নতি: মননশীল ধ্যান দৈহিক ও মানসিক সমস্যাগুলিকে বাইরে থেকে দেখতে সাহায্য করে এবং সেগুলির প্রতি ইতিবাচক চিন্তা করতে সাহায্য করে।

() মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি: মননশীল ধ্যান মানসিক স্থিরতা তৈরি করতে বা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সঠিক পরিস্থিতিতে ও কর্তব্যে অনড় থাকতে সাহায্য করে এবং জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও বিপত্তিগুলির সঙ্গে ভালোভাবে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।

() আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি: মননশীলতাকে উন্নীত এবং উৎসাহিত করার একটি প্রকৃষ্ট পন্থা হল মননশীল ধ্যান। এর ফলে ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং আবেগগুলির প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি পায়; সেই সঙ্গে অন্যের আবেগগুলিকে ব্যক্তি গুরুত্ব দিতে শেখে।

() সম্পর্কের উন্নতি: এই ধ্যান যেহেতু আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং অন্যের আবেগ অনুভূতিকে গুরুত্ব দিতে শেখায়, তার ফলে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের সম্পর্ক বৃদ্ধি পায় এবং পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।

() উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত ধ্যান করলে মানসিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে মানসিক চাপ কমে যায় বা নিয়ন্ত্রণে থাকে।।

এডুকেশন পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

() শিক্ষাক্ষেত্রে মননশীল ধ্যানের গুরুত্ব লেখো

উত্তর শিক্ষাক্ষেত্রে মননশীল ধ্যানের গুরুত্ব: শিক্ষাক্ষেত্রে মননশীল ধ্যানের গুরুত্বগুলি হল –

() শিক্ষার্থীদের মনকে শান্ত করা : মননশীল ধ্যান মনের সঙ্গেও যুক্ত। তাই শিক্ষার্থীর মনকে শান্ত করতে এই ধ্যান কাজে লাগে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ কমানো, মানসিক চাপ কমানো এবং চঞ্চলতা কমানোর ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী।

() কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি : মননশীল ধ্যান কাজের স্মৃতিকে উন্নত করে, যা সমস্যাসমাধান ও ধরে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মনের বিক্ষিপ্ততা কমিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

() অ্যাকাডেমিক দক্ষতার বিকাশ: মননশীল ধ্যানের অনুশীলনের ফলে সামগ্রিক অ্যাকাডেমিক দক্ষতা বাড়ে, কারণ বেশকিছু বিষয় যেমন-গণিত, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয়ে অনেকের ভীতি থাকে। এই ভীতি দূরীকরণে মননশীল ধ্যান কার্যকরী।

() ্রেনের উন্নতকরণ: মননশীল ধ্যান ব্রেনের কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীল চিন্তা, ব্যাবহারিক বুদ্ধি ইত্যাদি উন্নতকরণে এই ধ্যান উপযোগী।

() অ্যাকাডেমিক চাপ হ্রাস: শিক্ষার্থীরা যদি নিয়মিত মননশীল ধ্যান অনুশীলন করে, তবে তাদের মধ্য থেকে পরীক্ষার ভীতি কমে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অধিক মনোযোগী হতে পারে এবং বাইরের পরিবেশ থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।

() ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি: ব্রেনে যে বিভিন্ন ধরনের তন্তু রয়েছে, যেগুলি মানুষের বিভিন্ন প্রক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করে, সেগুলিকে পরিবর্তন করে বৌদ্ধিক ও আচরণগত পরিবর্তনে সাহায্য করে নিয়মিত মননশীল ধ্যান।

এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথাযথ ঘুমের অভ্যাস তৈরিতে, পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও মননশীল ধ্যান সাহায্য করে।

() মননশীল ধ্যানের অনুশীলনে বিদ্যালয়ের ভূমিকা লেখো

ত্তর মননশীল ধ্যানের অনুশীলনে বিদ্যালয়ের ভূমিকা : শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে মননশীল ধ্যানের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য বিদ্যালয়ে পাঠক্রমে একে যুক্ত করা দরকার। কারণ এর দ্বারা শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ কমানো যায়, প্রক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় এবং শিক্ষাকে কল্যাণমুখী করে তোলা যায়। এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ভূমিকা হল-

() যাথাপযুক্ত পরিবেশ শান্ত, আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করা দরকার মননশীল ধ্যানের অনুশীলনের জন্য। ধ্যানরত শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোরকমের বিরক্তবোধ না করে, সেদিকে নজরদান প্রয়োজন।

() সময়তালিকায় যুক্তকরণ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির সময়তালিকায় মননশীল ধ্যান অনুশীলনকে যুক্ত করা উচিত। সপ্তাহে অন্তত দুদিন প্রতিটি ক্লাসের জন্য এই ধ্যানের ব্যবস্থা থাকা দরকার।

() প্রতিটি বিদ্যালয়ে অন্তত একজন শিক্ষক থাকবেন, যাঁর মননশীল ধ্যানের কৌশলগুলি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান থাকবে।

() শারীরশিক্ষা, স্বাস্থ্যশিক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলির পাঠক্রমে মননশীল ধ্যানকে অন্তর্ভুক্তি করা প্রয়োজন।

() মননশীল ধ্যানের কার্যকারিতা বিষয়ক আলোচনার ব্যবস্থা বিদ্যালয়ে করা দরকার। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ধ্যান অনুশীলন সম্পর্কে ধনাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

() অভিভাবকদের সচেতনতা অভিভাবকদের মধ্যে মননশীল ধ্যান সম্পর্কে সচেতনতা প্রয়োজন এবং তারা যাতে সন্তানদের এই ধ্যানের অনুশীলনে উৎসাহিত করেন, সে ব্যাপারে অভিভাবকদের ধারণা দেওয়া বিদ্যালয়ের কাজ।

() মননশীল ধ্যানের প্রশিক্ষণে শিক্ষকের ভূমিকা লেখো

ত্তর মননশীল ধ্যানের প্রশিক্ষণে শিক্ষকের ভূমিকা: মননশীল ধ্যানের প্রশিক্ষণে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষক শিক্ষার্থীদের এই ধ্যানের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেবেন, সেগুলি হল –

() মননশীল ধ্যান সংক্রান্ত ধারণা : শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মননশীল ধ্যান সংক্রান্ত যথাযথ ধারণা দেবেন। মননশীল ধ্যানের উপকারিতা, মননশীল – ধ্যানের বিভিন্ন কৌশল ও প্রাত্যহিক জীবনে এই ধ্যানের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝাবেন।

() মননশীল ধ্যান সংক্রান্ত নির্দেশনা দান: বিভিন্ন ধরনের মননশীল ধ্যানের অনুশীলন যেমন- শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন, বডি স্ক্যান, ভিসুয়ালাইজেশন ও মন্ত্রের পুনরাবৃত্তি ইত্যাদি যেগুলি যে বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী শিক্ষক নির্দেশনা দান করবেন। এ ছাড়া এই ধ্যানের ভঙ্গিমাগুলি যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝাবেন।

() শান্ত পরিবেশ: শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মননশীল ধ্যানের জন্য শান্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন শুদ্ধ ভাষার ব্যবহার, মন শান্ত করার মতো গান, ধ্যানে বসবার জন্য যথাযথ স্থান ইত্যাদির ব্যবস্থা করবেন।

() শিক্ষার্থীদের অনুশীলাল উৎসাহিতকরণ: শিক্ষার্থীদের মননশীল ধ্যান সম্পর্কীয় বিভিন্ন ধরনের চিন্তা, অনুভূতি ইত্যাদি যথাযথ পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষক তাদের মননশীল ধ্যান অনুশীলনে উৎসাহিত করবেন।

() মননশীল ধ্যানের উপকারিতা : ব্যাখ্যাকরণ শিক্ষক মননশীল ধ্যানের উপকারিতা শিক্ষার্থীদের বোঝাবেন। মননশীল ধ্যানের অনুশীলন মানসিক চাপ, প্রাক্ষোভিক নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষাগত পারদর্শিতার ক্ষেত্রে কতটা প্রয়োজনীয়, সেই সম্পর্কে ব্যাখ্যা করবেন।

() ননশীল ধ্যানের ভঙ্গিমা সংক্রান্ত নির্দেশনা: শিক্ষার্থীদের মননশীল ধ্যানের ভঙ্গিমা সংক্রান্ত যথাযথ নির্দেশনা দেবেন শিক্ষক।

() মানসিক সুস্থতার বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো

ত্তর মানসিক সুস্থতার বৈশিষ্ট্য : মানসিক সুস্থতার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

() অভিযোজনক্ষমতা: মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তি তার পরিবেশ সব সময় অনুকূল না হলেও মানসিক ভারসাম্য হারায় না।

() অটুট আত্মবিশ্বাস: মানসিক স্বাস্থ্যসম্পন্ন ব্যক্তি কখনোই তার আত্ম-বিশ্বাস হারায় না। পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রতিকূল পরিবেশে সংগ্রাম চালিয়ে যায়।

() পরিপূর্ণ আত্মতুষ্টি: মানসিক স্বাস্থ্যসম্পন্ন ব্যক্তি সর্বপ্রকার আচরণে আত্মতৃপ্তির পরিচয় দেয়।

() সম্যক দৈহিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ: মানসিক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে অবশ্যই দৈহিক স্বাস্থ্যটি ভালো থাকা যেমন দরকার, তেমনই যথাযথ বৌদ্ধিক বিকাশের প্রয়োজন।

() সম্যক প্রাচ্চোভিক বিকাশ: যে ব্যক্তি মানসিক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, তার প্রাক্ষোভিক বিকাশ ও প্রকাশ স্বাভাবিক হয়ে থাকে।

() উপযুক্ত অনুরাগ ও মনোভাবের বিকাশ: মানসিক সুস্বাস্থ্যসম্পন্ন ব্যক্তির উপযুক্ত কাজে যথাযথ অনুরাগ ও অনুকূল মনোভাব দেখা যায়।

() চাহিদা সম্পার্ক সচেতনতা: চাহিদার মাত্রা সম্পর্কে সচেতনতা মানসিক স্বাস্থ্যের অন্যতম লক্ষণ।

আরও পড়ুন

এডুকেশন – চতুর্থ অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 5 Mark )

এডুকেশন – তৃতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark)

এডুকেশন – দ্বিতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 2 Mark)

এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর (2 mark)

এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark )

YouTube – Samim Sir

Leave a Comment