বাংলা ব্যাকরণ: সমাসের প্রকারভেদ, সংজ্ঞা ও ব্যবহার | সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা
সমাস শেখার সহজ নিয়ম
(১) সমাস কাকে বলে ?
উত্তর : পরষ্পর অর্থ সম্বন্ধযুক্ত দুই বা তার বেশি পদ মিলে একপদে পরিণত হলে , তাকে সমাস বলে ।
(২) সমাস কথাটির সাধারণ অর্থ কী ?
উত্তর : সংক্ষেপ
(৩) ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য কাকে বলে ?
উত্তর : সমাসবদ্ধ পদকে ভাঙলে বা ব্যাখ্যা করলে যে বাক্য বা বাক্যাংশটি পাওয়া যায় , তাকে ব্যাসবাক্য বলে । যেমন – দিনরাত – দিন ও রাত
(৪) ব্যাসবাক্যের অপর নাম কী ?
উত্তর : বিগ্রহবাক্য
(৫) সমাসবদ্ধ পদ বা সমস্তপদ কাকে বলে ?
উত্তর : দুই বা তার বেশি পদ মিলিত হয়ে যে পদ গঠিত হয় , তাকে সমাসবদ্ধ পদ বলে । যেমন –দিনরাত – দিন ও রাত
(৬) পূর্বপদ ও পরপদ কাকে বলে ?
উত্তর : ব্যাসবাক্যের প্রথম অংশের পদটিকে পূর্বপদ বলে এবং ব্যাসবাক্যের শেষের অংশের পদটিকে পরপদ বলে । যেমন – দিনরাত – দিন ও রাত
(৭) সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য লেখো ।
সন্ধি | সমাস |
(১) সন্ধি হল ধ্বনিগত মিলন | (১) সমাস হল দুই বা ততোধিক শব্দের অর্থগত মিলন |
(২) সন্ধিতে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ হয় না | (২) সমাসে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পূর্বপদের বিভক্তি লুপ্ত হয় |
(৮) সমাস কত প্রকার ও কী কী ?
উত্তর : সমাস নয় (৯) প্রকার । যেমন – (১) দ্বন্দ্ব সমাস (২) কর্মধারয় সমাস (৩) তৎপুরুষ সমাস (৪) বহুব্রীহি সমাস (৫) দ্বিগু সমাস (৬) অব্যয়ীভাব সমাস (৭) নিত্য সমাস (৮) অলোপ সমাস (৩) বাক্যাশ্রয়ী সমাস ।
নিয়ম অনুযায়ী সমাস রূপান্তর / চেনার সহজ পদ্ধতি
১. দ্বন্দ্ব সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ + ও/এবং/আর + পরপদ
যেমন – হাটবাজার – হাট ও বাজার , সকালসন্ধ্যা – সকাল ও সন্ধ্যা
একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে ? :
উত্তর : – যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদগুলির মধ্যে বহুবচনান্ত একটিমাত্র পদ অবশিষ্ট থাকে , তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস বলে । যেমন – আমরা – আমি , তুমি ও সে , তোমরা – তুমি ও সে
২. কর্মধারয় সমাস –
ব্যাসবাক্যে যিনি…..তিনিই, যা…তাই, যেই….. সেই, যেটা…..সেটাই ইত্যাদি থাকে । কর্মধারয় সমাসকে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় , যেমন –
(ক) সাধারণ কর্মধারয় সমাস :
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম –
(১) ………+ পূর্বপদ +……… + পরপদ
(২) পূর্বপদ + যে + পরপদ
যেমন- মাষ্টারমশাই – যিনি মাষ্টার তিনিই মশাই
কাঁচামিঠা – যা কাঁচা তাই মিঠা
সত্যকথা – সত্য যে কথা
দেবর্ষি – যিনি দেব তিনিই ঋষি
সাদাসিধা – যেমন সাদা তেমন সিধা
সহজসরল – যা সহজ তাই সরল
গণ্যমান্য – যিনিই গণ্য তিনিই মান্য
(খ) উপমান কর্মধারয় সমাস –
[ জেনে রেখো : যার সঙ্গে তুলনা করা হয় তাকে বলে উপমান ]
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ + এর + ন্যায়/মতো + পরপদ
যেমন – কাজলকালো – কাজলের ন্যায় কালো
রক্তরাঙা – রক্তের মতো রাঙা
(গ) উপমিত কর্মধারয় সমাস –
[ জেনে রেখো : যার তুলনা করা হয় , তাকে বলে উপমিত বা উপমেয় ]
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ + পরপদ + এর + ন্যায়/মতো
যেমন – নয়নকমল – নয়ন কমলের ন্যায়
আঁখিপদ্ম – আঁখি পদ্মের ন্যায়
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই সমাসে পূর্বপদটি হয় উপমান এবং পরপদটি হয় উপমেয় । যেমন –
সিংহশিশু – সিংহের ন্যায় শিশু
ফুলবড়ি – ফুলের ন্যায় বড়ি
ওলকপি – ওলের ন্যায় কপি
বাংলা ব্যাকরণ: সমাসের প্রকারভেদ, সংজ্ঞা ও ব্যবহার | সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা
(ঘ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ + লোপযুক্ত পদ + পরপদ
যেমন – সিংহাসন – সিংহ চিহ্নিত আসন
ঘরজামাই – ঘরে আশ্রিত জামাই
মৌমাছি – মৌ সঞ্চয়কারী মাছি
অর্থমন্ত্রী – অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী
জয়ধ্বনি – জয় সূচক ধ্বনি
হাতঘড়ি – হাতে বাঁধার ঘড়ি
ঘিভাত – ঘি মেশানো ভাত
দাবানল – দাব জাত অনল
বটবৃক্ষ – বট নামক বৃক্ষ
ছায়াতরু – ছায়া প্রদানকারী তরু
(ঙ) রূপক কর্মধারয় সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম -পূর্বপদ + রূপ + পরপদ
যেমন – মনমাঝি – মন রূপ মাঝি
কালবৈশাখী – কাল রূপ বৈশাখী
৩. তৎপুরুষ সমাস –
তৎপুরুষ সমাসকে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন –
(ক) কর্ম তৎপুরুষ সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ+(কে)+ পরপদ
যেমন – রথদেখা – রথকে দেখা
লোকদেখানো – লোককে দেখানো
(খ) করণ তৎপুরুষ সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ + দ্বারা/দিয়ে + পরপদ
যেমন – জ্ঞানশূন্য – জ্ঞান দ্বারা শূন্
পিতৃহীন – পিতৃ(র) দ্বারা হীন
(গ) নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ+(এর)+ জন্য/নিমিত্ত + পরপদ
যেমন – সংবাদপত্র – সংবাদের জন্য পত্র
রান্নাঘর – রান্নার নিমিত্ত ঘর
(ঘ) অপাদান তৎপুরুষ সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ + হতে/থেকে + পরপদ
যেমন – অগ্নিভয়- অগ্নি থেকে ভয়
জলাতঙ্ক- জল থেকে আতঙ্ক
(ঙ) সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ +(এর) + পরপদ
যেমন – গঙ্গাজল- গঙ্গার জল
কালিদাস – কালীর দাস
রাজপথ – পথের রাজা
রাজহংস – হংসের রাজা
ছাগদুগ্ধ – ছাগীর দুগ্ধ
মাতৃভাষা – মাতার ভাষা
(চ) না-তৎপুরুষ সমাস –
এই সমাসের রূপান্তর/চেনার নিয়মগুলি হল –
‘অ’ এর স্থানে ‘নয়’ দিয়ে
যেমন – অচেনা – নয় চেনা , অমানুষ – নয় মানুষ
‘অন’ এর স্থানে ‘নয়’ দিয়ে
যেমন – অনুচিত – নয় উচিত, অনেক – নয় এক
‘না’ এর স্থানে ‘নয়’ দিয়ে
যেমন – নাবালক – নয় বালক , না-জানা – নয় জানা
‘আ’ এর স্থানে ‘নয়’ দিয়ে
যেমন – আগাছা – নয় গাছা, আছোলা – নয় ছোলা
‘গর’ এর স্থানে’নয়’ দিয়ে
যেমন – গরমিল – নয় মিল , গরহাজির – নয় হাজির
‘বে’ এর স্থানে’নয়’ দিয়ে
যেমন – বেরসিক –নয় রসিক , বেসরকারি- ……..
‘বি’ এর স্থানে ’নয়’ দিয়ে
যেমন – বিদেশ- নয় দেশ , বিসদৃশ – নয় সদৃশ
‘নি’ এর স্থানে ’নেই’ দিয়ে
যেমন – নিখুঁত – নেই খুঁত , নিখরচা – নেই খরচা
(ছ) উপপদ তৎপুরুষ সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – …………………… + যে/যিনি/ যা
যেমন – ইন্দ্রজিৎ- ইন্দ্রকে জয় করেছেন যিনি
সত্যবাদী – সত্য কথা বলে যে
পকেটমার – পকেট মারে যে
জলজ – জলে চলে যে
দুঃস্থ – দুঃখে থাকে যে
বাংলা ব্যাকরণ: সমাসের প্রকারভেদ, সংজ্ঞা ও ব্যবহার | সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা
(জ) ব্যাপ্তি তৎপুরুষ সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – এই সমাসে ব্যাপ্তি অর্থ প্রকাশিত হয় ।
যেমন – চিরসুখী- চিরকাল ব্যাপী সুখী
আপাদমস্তক – পা থেকে মাথা পর্যন্ত
আজীবন – জীবন পর্যন্ত
আকন্ঠ – কন্ঠ পর্যন্ত
চিরশত্রু – চিরকাল ব্যাপী শত্রু
(ঝ) উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস –
যেমন – অনুচর- চরের অনু (পশ্চাৎ)
প্রতিপক্ষ – পক্ষের প্রতি
অতিবৃষ্টি – বৃষ্টির অতি
অনুদান – দানের অনু
প্রতিধ্বনি – প্রতি রূপ ধ্বনি
রামদা – রাম ( বড়ো ) যে দা
(ঞ) অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদটি সর্বদা অধিকরণ কারক হয় ।
যেমন – রাতকানা – রাতে কানা
গাছপাকা – গাছে পাকা
গঙ্গাস্নান – গঙ্গায় স্নান
(৪) বহুব্রীহি সমাস –
ব্যাসবাক্যের শেষে ‘যার’ থাকে । যেমন – নীলকন্ঠ – নীল কন্ঠ যার । এই সমাসকে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন –
(ক) সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস –
এই সমাসে দুটি পদেই ‘শূন্য’ বিভক্তি হয় ।
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ + পরপদ + যার
যেমন – গোরাঙ্গ – গৌর অঙ্গ যার
বিশালাকার – বিশাল আকার যার
(খ) ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস –
এই সমাসে পূর্বপদে ‘শূন্য’ বিভক্তি ও পরপদে ‘এ বা তে ‘ বিভক্তি হয় ।
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ + পরপদ + যার
যেমন – বীণাপাণি – বীণা পাণিতে যার
শশাঙ্ক – শশ অঙ্কে যার
(গ) না / নঞর্থক বহুব্রীহি সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – নেই + পদ + যার
যেমন – অজ্ঞান – নেই জ্ঞান যার
নির্ভুল – নেই ভুল যার
অনন্ত – নেই অন্ত যার
(ঘ) মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ+(এর) + …………………………+ যার
যেমন – বিধুমুখী – বিধুর (চন্দ্র) মতো মুখ যার
কুম্ভকর্ণ – কুম্ভের আকৃতিযুক্ত কর্ণ যার
(ঙ) ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস –
যেমন – হাতাহাতি – হাতে হাতে যে যুদ্ধ
হাসাহাসি – হাসিতে হাসিতে যে কাজ
কোলাকুলি – কোলে কোলে যে আলিঙ্গন
কানাকানি – কানে কানে যে কথা
লাঠালাঠি – লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ
(চ) সংখ্যাপূর্বক বহুব্রীহি সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – সংখ্যাবাচক শব্দ + পদ + যার
যেমন – দশানন – দশ আনন যার
চতুর্ভুজ – চতুঃ ভুজ যার
ত্রিলোচন – ত্রি লোচন যার
বাংলা ব্যাকরণ: সমাসের প্রকারভেদ, সংজ্ঞা ও ব্যবহার | সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা
(ছ) সহার্থক বহুব্রীহি সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ + (এর) + সহিত বর্তমান
যেমন – সক্রিয় – ক্রিয়ার সহিত বর্তমান
সপরিবার – পরিবারের সহিত বর্তমান
(৫) দ্বিগু সমাস –
চেনার/রূপান্তর করার নিয়ম – পূর্বপদ + পরপদ +(এর) + সমাহার
যেমন – নবরত্ন – নব রত্নের সমাহার
শতাব্দী – শত অব্দের সমাহার
সপ্তাহ – সপ্ত অহের সমাহার
সপ্তর্ষি – সপ্ত ঋষির সমাহার
ত্রিফলা – ত্রি ফলের সমাহার
(৬) অব্যয়ীভাব সমাস –
অব্যয়ীভাব সমাস বিভিন্ন অর্থ অনুযায়ী হয় । যেমন –
নৈকট্য অর্থে ———
যেমন – উপকূল – কূলের সমীপে
উপনগরী – নগরের সমীপে
অভাব অর্থে ——–
যেমন – দুর্ভিক্ষ – ভিক্ষার অভাব
গরমিল – মিলের অভাব
বীস্পা অর্থে ——–
যেমন – প্রত্যহ – অহে অহে
অনুক্ষণ – ক্ষণে ক্ষণে
প্রতিঘর – ঘরে ঘরে
সাদৃশ্য অর্থে ——–
যেমন – প্রতিমূর্তি – মূর্তির সদৃশ
উপনদী -নদীর সদৃশ
উপদ্বীপ – ……….
বিপরীত অর্থে ——–
যেমন – প্রতিকূল – কূলের বিপরীত
প্রতিদান – দানের বিপরীত
প্রতিহিংসা – ………………
পশ্চাৎ/পক্ষে অর্থে ——–
যেমন – অনুতাপ – তাপের পশ্চাৎ
অনুকূল – কূলের পক্ষে
অনুগমন – গমনের পশ্চাৎ
ক্ষুদ্রতা অর্থে ——–
যেমন – উপনদী – ক্ষুদ্র নদী
প্রত্যঙ্গ – ক্ষুদ্র অঙ্গ
উপগ্রহ – ক্ষুদ্র গ্রহ
সীমা/ব্যাপ্তি অর্থে ——–
যেমন – আজীবন – জীবন পর্যন্ত
আকন্ঠ – কন্ঠ পর্যন্ত
আজম্ন – …………
(৭) নিত্য সমাস –
(ক) সর্বদাই সমাসবদ্ধ , ব্যাসবাক্য হয় না এমন নিত্য সমাস –
যেমন – দাঁড়কাক – দাঁড়কাক (দাঁড়ে বসা কাক – হয় না)
কালসাপ – কালসাপ (কালো যে সাপ – হয় না)
(খ) অন্যপদের সাহায্যে গঠিত ব্যাসবাক্যসহ নিত্য সমাস –
‘অন্য’ যোগে ——–
যেমন – দেশান্তর – অন্য দেশ
গ্রামান্তর – অন্য গ্রাম
দ্বীপান্তর –
‘কেবল’ বা ‘শুধু’ যোগে ——–
যেমন – দেখামাত্র – কেবল দেখা
শোনামাত্র – কেবল শোনা
কিছুমাত্র – শুধু কিছু ,
কেবলমাত্র – কেবল একটি
‘কেবল’ বা ‘শুধু’ যোগে ——–
যেমন – মাতৃসম – মায়ের তুল্য
পিতৃসম – পিতার তুল্য
(৮) অলোপ সমাস –
অলোপ সমাসের কয়েকটি ভাগ হল –
(ক) অলোপ বহুব্রীহি সমাস –
যেমন – : গায়ে-হলুদ – গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে
মুখেভাত – মুখে ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে
হাতে-খড়ি- হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে।