Class 12 Education 4th Semester Chapter 11 Question Answer // দ্বাদশ শ্রেণী ( চতুর্থ সেমিস্টার ) এডুকেশন একাদশ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

Class 12 Education 4th Semester Chapter 11 Question Answer // দ্বাদশ শ্রেণী ( চতুর্থ সেমিস্টার ) এডুকেশন একাদশ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

Class 12 Education 4th Semester

একাদশ অধ্যায় – কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ এবং আদর্শ বিচ্যুতি

Mark – 2

(১) কেন্দ্রীয় প্রবণতা  বলতে কী বোঝো ? কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপকে কটি ভাগে প্রকাশ করা যায় ?

ত্তর – কেন্দ্রীয় প্রবণতা: কেন্দ্রীয় প্রবণতা হল এমন একটি বিষয়, যা সাংখ্যমানের প্রতিনিধি হিসেবে অবস্থান করে। এক্ষেত্রে সমগ্র স্কোরগুলির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও তাদের কেন্দ্রের দিকে বা মাঝামাঝি জায়গাতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, তাকে বলে কেন্দ্রীয় প্রবণতা।

কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপকে ওটি ভাগে প্রকাশ করা যায়।

(২) কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের পদ্ধতিগুলি কী কী ? সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ কোনটি ?

ত্তর – কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের তিনটি পদ্ধতি বর্তমানে রয়েছে। যেগুলি হল- গড় বা Mean, মধ্যমমান বা Median, ভূয়িষ্ঠকবা Mode ।

সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ হল গড়।

(৩) গড় কী ? গড়ের মাধ্যমে কী জানা যায় ?

উত্তর – গড়: কেন্দ্রীয় প্রবণতার একটি বিশেষ পরিমাপ হল গড়, যেখানে স্কোরের মোট যোগফলকে মোট স্কোরসংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়।

কেন্দ্রীয় প্রবণতার তিন ধরনের পরিমাপের মধ্যে সবথেকে সহজ ও ব্যবহারযোগ্য পরিমাপ, গড়ের মাধ্যমে কোনো একটি রাশিতথ্যমালার বণ্টনের এমন একটি মান সম্পর্কে আমাদের ধারণা হয়, যেটি একইসঙ্গে অনেক মান বা সংখ্যার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

(৪) কল্পিত গড় কী ? চ্যুতি কাকে বলে ? [WBCHSE 23, 15]

ত্তর – কল্পিত গড়: অবিন্যস্ত স্কোরগুচ্ছ যখন বৃহৎ আয়তনের হয় অর্থাৎ যখন কোনো বণ্টনে স্কোরের সংখ্যা অনেক হয়, তখন স্কোরগুলির মধ্যে একটিকে কল্পিত গড় ধরে নিয়ে সেই গড়মান প্রত্যেক স্কোর থেকে বিয়োগ করা হয়। অর্থাৎ যখন কোনো বণ্টনে স্কোরের সংখ্যা অনেক, তখন এই স্কোরগুলির মধ্যে যে স্কোরটিকে অনুমেয় গড়মান ধরে, সেই গড়মানকে প্রত্যেক স্কোর থেকে বিয়োগ করা হয়, তাকে কল্পিত গড় বলা হয়।

চ্যুতি: প্রত্যেক স্কোর থেকে কল্পিত গড়ের বিয়োগফলকে চ্যুতি বলা হয় ।

(৫) গড়-এর দুটি অসুবিধা লেখো

ত্তর – গড়-এর দুটি অসুবিধা হল- (ক) রাশিমালার সর্বোচ্চ মানের দ্বারা গড়ের মান প্রভাবিত হয়। (খ) কোনো একটি স্কোর অনুপস্থিত থাকলে গড় নির্ণয়ে অসুবিধার সৃষ্টি হয়।

(৬) গড় (Mean)-এর দুটি ব্যবহার লেখো

ত্তর – গড় (Mean)-এর দুটি ব্যবহার হল- (ক) যখন কেন্দ্রীয় মানের চারিদিকে স্কোরগুলি প্রতিসমভাবে বিন্যস্ত অবস্থায় থাকে, তখন গড় – ব্যবহার করা হয়। (খ) যখন অন্যান্য পরিসংখ্যান, যথা SD, Coefficient of correlation নির্ণয় করার প্রয়োজন হয়।

(৭) মধ্যমান বা মধ্যক বা মধ্যমা বা মিডিয়ান কাকে বলে ?[WBCHSE 23,09]

ত্তর – মধ্যমমান: কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ পদ্ধতি হল মিডিয়ান বা মধ্যমান বা মধ্যক। একে মধ্যমমানও বলা হয়। মধ্যমমান হল এমন একটি সাংখ্যমান, যা মানের ঊর্ধ্বক্রম বা নিম্নক্রম অনুসারে সাজালে বণ্টনের স্কোরগুলিকে দুই ভাগে ভাগ করে। তার ফলে এই মানের একটি অংশের রাশিসমূহের মান মধ্যমমান – অপেক্ষায় বেশি এবং অপর অংশের মান মধ্যমমান অপেক্ষায় কম হয়।

(৮) Median-এর দুটি ব্যবহার লেখো

উত্তর – ‘মিডিয়ান’ (Median)-এর দুটি ব্যবহার হল-

(ক) অসম্পূর্ণ বণ্টনের ক্ষেত্রে: যখন বণ্টনটি অসম্পূর্ণ থাকে, তখন গড় নির্ণয় সম্ভব হয় না। সেইসময় Median ব্যবহৃত হয়।

(খ) প্রান্তীয় রাশির বিষমতা: প্রান্তীয় রাশিগুলির মধ্যে বিষমতা বেশি থাকলে Median ব্যবহৃত হয়।

(৯) মধ্যমমান-এর দুটি সুবিধা লেখো

ত্তর – মধ্যমমান-এর দুটি সুবিধা হল –

(ক) চরম ও প্রান্তিক প্ৰভা: কোনো মধ্যমমান অবস্থানভিত্তিক পরিমাপ হওয়ায় প্রান্তিক ও চরম মান দ্বারা এটি প্রভাবিত হয় না।

(খ) অসম শ্রেণি: মধ্যমা নির্ণয়ে শুধুমাত্র মধ্যম শ্রেণি ব্যবহার করা হয় এবং অন্যান্য শ্রেণি অসম হলেও নির্ণয় করা হয়।

(০) মধ্যমমান-এর দুটি অসুবিধা লেখো

উত্তর – মধ্যমমান-এর দুটি অসুবিধা হল –

(ক) সময়সাপেক্ষ: প্রতিটি মানকে ক্রমানুসারে সাজাতে হয়, তাই এটি নির্ণয়ে সময় লাগে।

(খ) ভ্রান্তির সম্ভাবনা: মধ্যমা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সকল তথ্য বিবেচিত হয় না, তাই এতে ভ্রান্তির সম্ভাবনা বেশি হতে পারে।

(১) মোড (Mode) কাকে বলে ? অবিন্যস্ত স্কোরের ক্ষেত্রে মোড নির্ণয়ের সূত্রটি কী ?

ত্তর – মোড (Mode): রাশিবিজ্ঞানে কোনো পরিসংখ্যা বণ্টনে যে সংখ্যাটি সবথেকে বেশিবার থাকে, তাকে সেই পরিসংখ্যাটির মোড বা ভূয়িষ্ঠক বলা হয়।

অবিন্যস্ত রাশিমালার (Ungrouped data) ক্ষেত্রে রাশিগুলিকে ক্রমানুযায়ী সাজিয়ে নিতে হয়। এদের মধ্যে যে রাশির পুনরাবৃত্তি বেশি, তাকে Mode হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

(১২) 2, 5, 3, 2, 5, 7, 4, 5 এবং ৪ স্কোরগুলির মোড নির্ণয় করো । [WBCHSE 19]

ত্তর – 2, 5, 3, 2, 5, 7, 4, 5, 8 এই স্কোরগুলির রাশিতথ্যমালায় সর্বাপেক্ষা অধিকবার আছে যে মানটি, সেটি হল 5। তাই উপরোক্ত স্কোরগুলির মোড হল 5।

 খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

(১) রাশিবিজ্ঞান বা পরিসংখ্যানবিদ্যা বা স্ট্যাটিসটিক্স কাকে বলে ?

উত্তর : রাশিবিজ্ঞানে ইংরেজি প্রতিশব্দ Statistics । এটি লাতিন শব্দ ‘Status’ , ইতালীয় শব্দ ‘Statista’ বা জাপান শব্দ ‘Statistik’ থেকে নেওয়া হয়েছে ।

যে বিজ্ঞানভিত্তিক গাণিতিক পদ্ধতির মাধ্যমে পরিমাণযোগ্য ডেটাগুলির সংগ্রহ , উপস্থাপন , বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয় , তাকে রাশিবিজ্ঞান বা স্ট্যাটিসটিক্স বলে ।

(২) রাশিবিজ্ঞানের দুটি প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব লেখো ।

উত্তর : রাশিবিজ্ঞানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের মূল্যবান কাজ করা হয় , যেমন – (i) ঘটনা বা প্রমাণ সংগ্রহ (ii) সংখ্যাগত ঘটনার সংক্ষিপ্তকরণ , সংগঠন , শ্রণিকরণ এবং (iii) কোনো বিষয় , ঘটনা ও প্রমাণের ভিত্তিতে সাধারণ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব ।

(৩) চল ও চলক কাকে বলে ?

উত্তর : যে রাশির মান পরিবর্তিত হয় , তাকে চল বলে । অর্থাৎ , দুটি চলের মধ্যে যখন আমরা পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখা করতে চাই , তখন একটিকে বলা হয় চল এবং ওপরটিকে বলা হয় চলক ।

চল আবার দুই প্রকার । যেমন – (i) বিচ্ছিন্ন চল : যে ধরণের চলের স্কেলে ফাঁক থাকে , তাকে বিচ্ছিন্ন চল বলে । যেমন – ছাত্র সংখ্যা (ii) অবিচ্ছিন্ন চল : যে চলের স্কেলে ফাঁক থাকে না , তাকে অবিচ্ছিন্ন চল বলে । যেমন – ছাত্রের উচ্চতা , ওজোন , বয়স ইত্যাদি

(৪) কেন্দ্রীয় প্রবণতা কাকে বলে ? কেন্দ্রীয় প্রবণতা কয় প্রকার ও কী কী  ?

উত্তর : কেন্দ্রীয় প্রবণতা এমন একটি বিষয় , যা সাংখ্যমানের প্রতিনিধি হিসেবে অবস্থান করে । এক্ষেত্রে সমগ্র স্কোরগুলির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও তাদের কেন্দ্রের দিকে বা মাঝামাঝি জায়গাতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় , তাকে বলে কেন্দ্রীয় প্রবণতা ।

কেন্দ্রীয় প্রবণতা তিন প্রকার । যেমন – (i) গড় বা Mean (ii) মধ্যমমান বা Median (iii) ভূয়িষ্ঠক বা Mode

(৫) ‘গড়’ (Mean) কী ?

উত্তর : কেন্দ্রীয় প্রবণতার একটি বিশেষ পরিমাপ হল গড় , যেখানে স্কোরের মোট যোগফলকে মোট স্কোরসংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয় ।

ড়ের সুবিধা বা ব্যবহার : (i) খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় । এক্ষেত্রে রাশিমালাকে ক্রমানুযায়ী সাজানোর প্রয়োজন হয় না । (ii) এটি নির্ণয় করার সময় যেহেতু রাশিমালার সমগ্র রাশিগুলিকে ব্যবহার করা হয় , তাই এটি অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার মান অপেক্ষা বেশি নির্ভরযোগ্য ।

(৬) মধ্যমমান বা মধ্যক বা মিডিয়ান(Median) কাকে বলে ?

উত্তর : কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ পদ্ধতি হল মিডিয়ান বা মধ্যমমান বা মধ্যক । মধ্যমমান হল এমন একটি সাংখ্যমান , যা মানের ঊর্ধ্বক্রম বা নিম্নক্রম অনুসারে সাজালে বন্টনের স্কোরগুলিকে দুই ভাগে ভাগ করে ।

অসম্পূর্ণ বন্টনের ক্ষেত্রে : যখন বন্টনটি অসম্পূর্ণ থাকে , তখন গড় নির্ণয় সম্ভব হয় না । সেই সময় মধ্যমমান ব্যবহৃত হয় । (ii) প্রান্তীয় রাশির বিষমতা : প্রান্তীয় রাশিগুলির মধ্যে বিষমতা বেশি থাকলে মধ্যমমান ব্যবহৃত হয় ।

অসুবিধা : (i) মধ্যমমান নির্ণয়ে কোনো বন্টনের সকল তথ্য গণনায় অংশগ্রহণ করে না । তাই এতে ভ্রান্তির সম্ভাবনা বেশি হতে পারে । (ii) মধ্যমমান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সকল স্কোরমানকে ক্রমানুসারে সাজাতে হয় । তাই এটি নির্ণয়ে সময় ব্যয় বেশি হয় ।

(৭) মোড বা ভূয়িষ্ঠক (Mode) কাকে বলে ?

উত্তর : রাশিবিজ্ঞানে কোনো পরিসংখ্যা বন্টনে যে সংখ্যাটি সবথেকে বেশিবার থাকে , তাকে মোম বা ভূয়িষ্ঠক বলে ।

সুবিধা বা ব্যবহার : (i) সর্বাপেক্ষা দ্রুত কেন্দ্রীয় প্রবণতা জানার জন্য মোড ব্যবহার করা হয় । (ii) রাশিমালার মধ্যে কোন স্কোরটি বেশিবার আছে , তার জানতে মোড ব্যবহার করা হয় ।

অসুবিধা : (i) বন্টনের সব তথ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয় না বলে ভ্রান্তির সম্ভাবনা থাকে । (ii) ভবিষ্যত গাণিতিক প্রক্রিয়ায় মোড ব্যবহারের অযোগ্য ।

(৮) পরিসংখ্যা বহুভুজ (Frequency Polygon) কাকে বলে ?

উত্তর : পরিসংখ্যা বহুভুজ এক ধরণের রৈখিক লেখচিত্র , যেখানে পরিসংখ্যা বিভাজনের প্রত্যেক শ্রেণি ব্যবধানের মধ্যবিন্দুকে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিসূচক বিন্দু ধরে নিয়ে ছক কাগজে স্থাপন করতে হয় । এইভাবে বিন্দুগুলি যোগ করলে যে বহুভুজ পাওয়া যায় , তাকে পরিসংখ্যা বহুভুজ বা ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন বলে ।

ি: ্র: পরিসংখ্যা বহুভুজ অঙ্কনে ছক কাগজের ‘X’ অক্ষে প্রতিটি শ্রেণির মধ্যবিন্দু ও ‘Y’ অক্ষে শ্রেণির পরিসংখ্যা বসাতে হয় ।

রিসংখ্যা বহুভুজের সুবিধা বা ব্যবহার : (i) পরিসংখ্যা বহুভুজের দ্বারা সহজে তথ্য পরিবেশন করা যায় । (ii) পরিসংখ্যা বহুভুজের সঙ্গে তথ্যের বিভিন্ন অংশের মধ্যে তুলনা করা যায় ।

অসুবিধা : (i) আয়ত লেখচিত্রের চেয়ে এই লেখচিত্র অঙ্কনে অনেক বেশি সময় লাগে । (ii) পরিসংখ্যা বিভাজন যদি অনেক বেশি বিক্ষিপ্ত হয় , তবে লেখচিত্র আকর্ষণহীন হয় ।

(৯) আয়ত লেখচিত্র (Histogram) কাকে বলে ?

উত্তর : আয়ত লেখচিত্র হল স্তম্ভলেখচিত্র , স্তম্ভলেখচিত্র অঙ্কনের সময় X – অক্ষরে বরাবর বিভাগের সীমা এবং Y-অক্ষে পরিসংখ্যাকে স্থাপন করা হয় । প্রতিটি বিভাগের সীমার মধ্যে পরিসংখ্যা অনুযায়ী উচ্চতাসম্পন্ন এক-একটি আয়তক্ষেত্র অঙ্কন করা হয় । প্রতিটি বিভাগের পরিসংখ্যা অনুযায়ী স্তম্ভের মাধ্যমে অঙ্কিত লেখচিত্রকে আয়ত লেখচিত্র বা হিস্টোগ্রাম বলে ।

য়ত েখচিত্র বা হিস্টোগ্রামের সুবিধা বা ব্যবহার : (i) আয়ত লেখচিত্রের সাহায্যে তথ্যগুলিকে অপেক্ষাকৃত সহজে পরিবেশন করা যায় । (ii) আয়ত লেখচিত্রের মাধ্যমে পরিবেশিত তথ্য শিশু , নিরক্ষর ব্যক্তিরা সহজে বুঝতে পারে ।

অসুবিধা : (i) আয়ত লেখচিত্রের সাহায্যে তথ্যের তাৎপর্য নির্ণয় করা অসুবিধাজনক । (ii) আয়ত লেখচিত্রের মাধ্যমে তথ্য পরিবেশন অনেকটাই ত্রুটিপূর্ণ ।

(১০) কল্পিত গড় কাকে বলে ?

উত্তর – বন্টনের মধ্যে অবস্থিত যে-কোনো রাশিকে যখন ইচ্ছামতো গড় হিসেবে ধরা হয় , সেই অনুমিত গড়কে কল্পিত গড় বলে ।

(১১) তথ্য পরিবেশক লেখচিত্র কাকে বলে ?

উত্তর – যে লেখচিত্রের সাহায্যে তথ্যকে পরিবেশন করা হয় , সেই লেখচিত্রকে তথ্য পরিবেশক লেখচিত্র বলে ।

(১২) স্কোর কাকে বলে ?

উত্তর – সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত যে-কোনো ধরণের পরিমাপকে রাশিবিজ্ঞানে স্কোর বলে ।

(১৩) রাশিবিজ্ঞানে ‘ পরিসংখ্যান ‘ বলতে কী বোঝো ?

উত্তর – রাশিবিজ্ঞানে পরিসংখ্যান হল একটি বিজ্ঞান , যেখানে বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা ও বর্ণনার উপর ভিত্তি করে সংখ্যামূলক তথ্যাবলির সংগ্রহ , শ্রেণিবিন্যাস , সারণিকরণ করা হয় ।

(১৪) রাশিবিজ্ঞানে ‘ স্কেল ‘ কী ?

উত্তর – ব্যক্তির বা বস্তুর বৈশিষ্ট্য বা ধর্মগুলির ভিত্তিতে প্রাপ্ত স্কোরগুলি যখন সমদূরত্বসম্পন্ন সংখ্যার দ্বারা প্রকাশ করে পরষ্পর বিন্যস্ত করা হয় , তখন তাকে ‘ স্কেল ‘ বলা হয় ।

(১৫) রাশিবিজ্ঞানে শ্রেণি ব্যবধান ( Class Interval ) বা শ্রেণি প্রসার ( Class Expersion )  বলতে কী বোঝো ?

উত্তর – কোনো অবিচ্ছিন্ন শ্রেণির ঊর্ধ্বসীমানা ও নিম্নসীমানার বিয়োগফলকে শ্রেণি ব্যবধান বা শ্রেণি প্রসার বলে ।

শ্রেণি প্রসার বা ব্যবধানকে ইংরেজি ‘ i ‘ অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।

(১৬) শ্রেণিসীমা ( Class Limit ) কী ?

উত্তর – অবিচ্ছিন্ন পরিসংখ্যান স্কোরের ক্ষেত্রে প্রতিটি শ্রেণিব্যাপ্তির সীমা প্রকাশ করার জন্য যে দুটি সাংখ্যমানের প্রয়োজন হয় , তাকে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির শ্রেণিসীমা বলে ।

(১৭) পরিসংখ্যা বহুভুজ ( Frequency Polygon ) ও আয়তলেখ ( Histogram ) – এর একটি পার্থক্য উল্লেখ করো ।

উত্তর – আয়তলেখচিত্রে ‘ X ‘ অক্ষে প্রতিটি শ্রেণির নিম্নসীমা বসানো হয় । অন্যদিকে , পরিসংখ্যা বহুভুজের ক্ষেত্রে ‘ X ‘ অক্ষে প্রতিটি শ্রেণির মধ্যবিন্দু বসানো হয় ।

(১৮) রাশিবিজ্ঞানে ‘ লেখচিত্র ‘ কাকে বলে ?

উত্তর – রাশিবিজ্ঞানে বিন্যস্ত স্কোরগুলিকে সহজবোধ্য করে তোলার জন্য যে বিশেষ ধরনের চিত্রের সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হয় , তাকে লেখচিত্র বলে ।

(১৯) বিস্তৃতি ( Range ) বা প্রসার কাকে বলে ?

উত্তর – কোনো রাশিমালার সর্বোচ্চ স্কোর ও সর্বনিম্ন স্কোরের মধ্যে যে পার্থক্য বা ব্যবধান  পাওয়া যায , তাকে বিস্তৃতি বা প্রসার বলে ।

(২০) সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ কোনটি ?

উত্তর – গড় বা মিন

(২১) কেন্দ্রীয় প্রবণতার সবচেয়ে দ্রুতগতি পদ্ধতি কোনটি ?

উত্তর – মিন বা মধ্যমমান

(২২) ট্যালি চিহ্ন কাকে বলে ?

উত্তর – স্কোর গণনার দাগকে ট্যালি চিহ্ন বলে ।

(২৩) পরিসংখ্যা বন্টন গঠনের সময় ট্যালি চিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয় ?

উত্তর – পরিসংখ্যা বন্টনের সময় মূলত স্কোরবন্টন নির্ভুল এবং সহজে মোট পরিসংখ্যা নির্ণয় করার জন্য ট্যালি চিহ্ন ব্যবহার করা হয় ।

(২৪) পরিসংখ্যা বিভাজন বা বন্টন কাকে বলে ?

উত্তর – যে তালিকার মাধ্যমে স্কোরমানগুলিকে ক্রমানুসারে সাজিয়ে সেগুলিকে পরিসংখ্যার সাথে যুক্ত করা হয় , তাকে পরিসংখ্যা বিভাজন বলে ।

(২৯) রাশিবিজ্ঞানে ‘ পরিসংখ্যা ‘ বলতে কী বোঝো ?

উত্তর – কোনো রাশিবিন্যাসে কোনো স্কোর যতবার পুনরাবৃত্ত হচ্ছে , সেই সংখ্যাকে পরিসংখ্যা বলে ।

(৩০) অ্যাট্রিবিউট বা বৈশিষ্ট্য কী ?

উত্তর – কোনো ব্যক্তি বা বস্তু সংক্রান্ত গুণগত সমস্ত রকম তথ্য যেমন সেই ব্যাক্তির স্বভাব , প্রকৃতি , ধর্ম , জাতি , রুচি , শিক্ষা ইত্যাদিকে অ্যাট্রিবিউট বলে ।

(৩১) পরিসংখ্যানের প্রধান কাজ কী ?

উত্তর – পরিসংখ্যানের প্রধান কাজ হল চালকের মান সম্পর্কে ধারণা দান ।

(৩২) গড় নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা কী ?

উত্তর – দ্রুত কেন্দ্রীয় প্রবণতার মান জানার জন্য , কোনো শিক্ষার্থীর যোগ্যতার বিচার করতে হলে গড়ের প্রয়োজন হয় ।

(৩৩) গড়ের মাধ্যমে কী জানা যায় ?

উত্তর – গড়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় প্রবণতার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরিমাপ জানা যায় ।

(৩৪) রাশিবিজ্ঞানে তথ্যবিন্যাস কয়প্রকার ও কী কী ?

উত্তর – দুই প্রকার । যেমন – (i) বিন্যস্ত তথ্য (ii) অবিন্যস্ত তথ্য

(৩৫) উৎস অনুসারে তথ্যসমূহকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী ?

উত্তর – দুটি । যেমন – (i) প্রাথমিক তথ্য  : যেসব তথ্য মূল উৎস থেকে অর্থাৎ সরাসরি শিক্ষাক্ষেত্র বা কার্যক্ষেত্র থেকে সংগ্রহ করা হয় , তাকে প্রাথমিক তথ্য বলে । (ii) গৌণ তথ্য : coming soon

(৩৬) অবিন্যস্ত তথ্য বা কাঁচা স্কোর কী ?

উত্তর – কোনো নমুনা দল বা ব্যক্তি সম্পর্কে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয় , সেগুলি প্রথম অবস্থায় সাজানো থাকে না । তাই এই স্কোরগুলিকে কাঁচা স্কোর বা অবিন্যস্ত স্কোর বলে ।

আরও দেখুন –

এডুকেশন – দশম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর

এডুকেশন – নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

এডুকেশন – অষ্টম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর

এডুকেশন – সপ্তম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 5 Mark )

এডুকেশন – ষষ্ঠ অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 2 Mark )

এডুকেশন – পঞ্চম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 5 Mark )

এডুকেশন – চতুর্থ অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 5 Mark )

এডুকেশন – তৃতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark)

এডুকেশন – দ্বিতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 2 Mark)

এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর (2 mark)

এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark )

YouTube – Samim Sir

Leave a Comment