Class 12 Education Chapter 5 Short Question Answer। 4th Semester। এডুকেশন পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ সেমিস্টার । দ্বাদশ শ্রেণী
প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক এডুকেশন চতুর্থ সেমিস্টারের জন্য পঞ্চম অধ্যায় থেকে 2 মার্কের প্রশ্ন উত্তর পরীক্ষায় আসে, তোমরা সকলেই জানো । এই পোস্টটিতে আমি এডুকেশন উচ্চ মাধ্যমিক বা দ্বাদশ শ্রেণীর এডুকেশন পঞ্চম অধ্যায় থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং পরীক্ষায় কমন পাওয়ার মতো 2 মার্কের প্রশ্ন উত্তর সাজেশন দেখিয়েছি । আশা করি এই প্রশ্ন উত্তর সাজেশন মধ্যেই তোমরা প্রশ্ন কমন পেয়ে যাবে ।
Class 12 Education Chapter 5
পঞ্চম অধ্যায় – মানব কল্যাণ
Mark – 2
(১) মানসিক সুস্থতা কী ?
উত্তর – মানসিক সুস্থতা বলতে বোঝায় একজন ব্যক্তির মানসিক, আবেগিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের সামগ্রিক সুস্থতা। এটি চাপ মোকাবিলা, সম্পর্ক বজায় রাখা এবং জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়ার ক্ষমতাকে অন্তর্ভুক্ত করে।
(২) সুস্থতার ছয়টি মাত্রা কী কী ?
উত্তর – ন্যাশনাল ওয়েলনেস ইন্সটিটিউট সুস্থতার ছয়টি মাত্রা প্রচার করে। যথা-আবেগগত, পেশাগত, শারীরিক, সামাজিক, বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিক। আমাদের জীবনের সুস্থতার ছয়টি মাত্রার সমাধানের মাধ্যমে সুস্থতার এবং পরিপূর্ণতার একটি সামগ্রিক অনুভূতি তৈরি হয়।
(৩) মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বা Mental-Wellbeing বলতে কী বোঝো ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বা Mental Well-being বলতে বোঝায় মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখা। অর্থাৎ মানসিক ও প্রাক্ষোভিক স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখা, যা ব্যক্তিকে জীবনে স্বাভাবিক চাপ মোকাবিলা করতে, উৎপাদনশীল কাজ করতে এবং সামাজিক উন্নয়নে সামিল হতে সাহায্য করে।
(৪) মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব লেখো ।
উত্তর – মানসিক সুস্থতার গুরুত্বগুলি হল –
(ক) ইতিবাচক চিন্তা করতে সাহায্য করা মানসিক সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
(খ) মানসিক সুস্থতা নানারকম চাপ মোকাবিলা এবং সমস্যাসমাধান করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে ।
(গ) মানসিক সুস্থতা চিন্তা, অনুভূতি, আদর্শ এবং আচরণের উপরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
(৫) মানসিক সুস্থতার উপাদানগুলি কী কী ?
উত্তর – মানসিক সুস্থতার উপাদানগুলি হল – শারীরিক সুস্থতা, মানসিক সুস্থতা, সামাজিক সুস্থতা, প্রাক্ষোভিক সুস্থতা ইত্যাদি। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এগুলির সুসমন্বয় প্রয়োজন।
(৬) মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা বলতে কী বোঝো ?
উত্তর – মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা বলতে বোঝায় মানসিক এবং প্রাক্ষোভিক দিক থেকে সামগ্রিকভাবে ভালো থাকা। মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা ব্যক্তির জীবনের স্বাভাবিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ব্যক্তিগত স্বাভাবিক বিকাশলাভ করতে সাহায্য করে।
(৭) প্রাক্ষোভিক সুস্থতা কী ?
উত্তর – প্রাক্ষোভিক সুস্থতা হল ইতিবাচক আবেগ। যেমন-আনন্দ, শাস্তি, ভালোবাসা, ভালোলাগা, আত্মতুষ্টি অনুভব ক্ষমতা ইত্যাদি। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
(৮) মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি কী কী ?
উত্তর – মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি হল –
(ক) আত্ম গ্রহণযোগ্যতা : নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব গঠন।
(খ) জীবনের উদ্দেশ্য: জীবনের উদ্দেশ্য এবং অর্থ আছে এমন অনুভূতি রাখা।
(গ) স্বায়ত্তশাসন: সামাজিক চাপ থেকে মুক্তি এবং স্বাধীনতার অনুভূতি রাখা।
এ ছাড়া রয়েছে পরিবেশগত দক্ষতা এবং ব্যক্তিগত বৃদ্ধি ইত্যাদি।
(৯) রবার্টসন কুপার – এর মতে, মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা কী ?
উত্তর – রবার্টসন কুপারের মতে, মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতা বলতে বোঝায় কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের সুস্থ মানসিক অবস্থা ও কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করার উপর জোর দেওয়া। যা কোম্পানির সামগ্রিক সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
(১০) মনস্তাত্ত্বিক স্থিতিশীলতা বলতে কী বোঝো ?
উত্তর – মনস্তাত্ত্বিক স্থিতিশীলতা বলতে এমন এক অবস্থাকে বোঝায়, যার দ্বারা একজন ব্যক্তি জীবনের চ্যালেঞ্জগুলির সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির সংস্পর্শে থাকা সত্ত্বেও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়।
Class 12 Education Chapter 5
(১১) মানসিক স্থিতিশীলতা কীভাবে বজায় রাখা যায় ?
উত্তর – মনস্তাত্ত্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত খেলাধুলা, ব্যায়াম, সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোর বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা উচিত।। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা, সৎ-সংসর্গ, ধ্যান প্রভৃতি মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ওষুধের মতো কাজ করে।
(১২) মননশীলতা বলতে কী বোঝো ?
উত্তর – মননশীলতা বলতে এমন এক শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল মানসিক অবস্থাকে বোঝায়, যার দ্বারা ব্যক্তি অন্যের মতামতের প্রতি সচেতন এবং সহনশীল মনোভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। মননশীলতা অন্য কিছুর উপর সচেতন থাকার ক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
(১৩) অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুযায়ী, Mindfulness ( মননশীলতা ) বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর – অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুযায়ী, Mindfulness হল এক মানসিক ক্ষমতা, যা বর্তমান অবস্থার উপর সচেতন মনোযোগ প্রদানের মাধ্যমে অর্জিত হয়ে থাকে। মানসিক স্থিরতা বজায় রেখে কারও অনুভূতি, চিন্তাধারা এবং শারীরিক অভিব্যক্তিকে মেনে নেওয়া এই ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত, যা ‘Therapy’-র মতো কাজ করে।
(১৪) মননশীলতার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো ।
উত্তর – মননশীলতার দুটি বৈশিষ্ট্য হল –
(ক) মননশীলতা স্মৃতি থেকে উদ্ভূত হয়। এটি তিব্বতি ধ্যান কৌশলের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
(খ) জ্ঞানতৃষ্ণা ব্যক্তির মননশীলতা বিকাশের একমাত্র মাধ্যম।
(১৫) Meditation বা ধ্যান কী ?
উত্তর – Meditation বা ধ্যান হল এমন একটি দৈহিক কার্যকলাপ, যার দ্বারা মনের স্থিরতা এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি করা যায়, মনকে শান্ত করা যায়। ধ্যান কোনো কাজে সচেতনতা এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি করে। মানসিক চাপ কমাতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বাড়াতে ধ্যান বিশেষভাবে সাহায্য করে।
(১৬) মননশীল ধ্যান বা Mindfulness Meditation বলতে কী বোঝো ?
উত্তর – মননশীল ধ্যান হল এমন একটি শান্তিপূর্ণ মানসিক অবস্থা, যা শ্বাস, শরীরের সংবেদন ও অনুভূতির উপর মনোযোগ দিয়ে বর্তমান মুহূর্তের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে, যার ফলে মানসিক প্রশান্তি আনা সম্ভব হয়। মননশীল ধ্যান ব্যক্তির মনোযোগের উন্নতিসাধনের পাশাপাশি সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধির সহায়ক।
(১৭) মননশীল ধ্যানের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো ।
উত্তর – মননশীল ধ্যানের দুটি বৈশিষ্ট্য হল –
(ক) বিচার-বহির্ভূত পর্যবেক্ষণ: চিন্তাভাবনা, অনুভূতিগুলির ভালো দিক বা মন্দ দিক বিচার না করে যথাযথ পর্যবেক্ষণ করা অর্থাৎ মননশীল ধ্যান বিচার-বহির্ভূত পর্যবেক্ষণের সহায়ক।
(খ) মনের স্বচ্ছতা: মননশীল ধ্যানের প্রতি যথাযথ মনোনিবেশ করতে হলে মনের স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন অর্থাৎ অযথা কোনো চিন্তাভাবনা দ্বারা মনকে ভারাক্রান্ত করা উচিত নয়।
(১৮) শিক্ষাক্ষেত্রে মননশীল ধ্যানের গুরুত্ব লেখো ।
উত্তর – শিক্ষাক্ষেত্রে মননশীল ধ্যানের গুরুত্বগুলি হল –
(ক) মননশীল ধ্যান শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ কমানো, মানসিক চাপ ও চঞ্চলতা কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী।
(খ) এই ধ্যান শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের আবেগ সম্পর্কে সচেতন করে এবং সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে সহায়তা করে।
(গ) শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক উন্নতকরণে এই ধ্যান সহায়তা করে।
(ঘ) মননশীল ধ্যান ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(১৯) মননশীল ধ্যানের অনুশীলনে বিদ্যালয়ের যে-কোনো দুটি ভূমিকা লেখো ।
উত্তর – মননশীল ধ্যানের অনুশীলনে বিদ্যালয়ের ভূমিকাগুলি হল –
(ক) সময়তালিকায় যুক্তকরণ: বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির সময়তালিকায় মননশীল ধ্যান অনুশীলনকে যুক্ত করা উচিত। সপ্তাহে অন্তত দুদিন প্রতিটি ক্লাসের জন্য এই ধ্যানের ব্যবস্থা রাখা দরকার।
(খ) বক্তব্যদান: বিদ্যালয়ে মননশীল ধ্যানের কার্যকারিতা বিষয়ক আলোচনার ব্যবস্থা করা দরকার। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ধ্যান অনুশীলন সম্পর্কে ধনাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
(২০) মননশীল ধ্যানের প্রশিক্ষণে শিক্ষকের দুটি ভূমিকা লেখো ।
উত্তর – মননশীল ধ্যানের প্রশিক্ষণে শিক্ষকের দুটি ভূমিকা হল –
(ক) মননশীল ধ্যান সংক্রান্ত নির্দেশনা দান : বিভিন্ন ধরনের মননশীল ধ্যানের অনুশীলন, যেমন-শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন, বডি স্ক্যান, ভিসুয়ালাইজেশন ও মন্ত্রের পুনরাবৃত্তি ইত্যাদি যেগুলি যে বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী শিক্ষক নির্দেশনা দান করবেন।
(খ) শিক্ষার্থীদের অনুশীলনে উৎসাহিতকরণ : শিক্ষার্থীদের মননশীল ধ্যান সম্পর্কীয় বিভিন্ন ধরনের চিন্তা, অনুভূতি ইত্যাদি যথাযথ পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষক তাদের মননশীল ধ্যান অনুশীলনে উৎসাহিত করবেন।
Class 12 Education Chapter 5
(২১) মননশীল ধ্যান সম্পর্কিত শিক্ষাগ্রহণে শিক্ষার্থীর দুটি ভূমিকা আলোচনা করো ।
উত্তর – মননশীল ধ্যান সম্পর্কিত শিক্ষাগ্রহণে শিক্ষার্থীর দুটি ভূমিকা হল –
(ক) সক্রিয় অংশগ্রহণ: শিক্ষার্থী মননশীল ধ্যানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে এবং শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুশীলন করবে। নিয়মিত এই ধ্যান অনুশীলনের জন্য তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবে।
(খ) যথাযথ জ্ঞান: মননশীল ধ্যানের উপযোগিতাগুলি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের যথাযথ জ্ঞান থাকবে, যা তাদের ধ্যানে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করবে।
(২২) মানব কল্যাণের ক্ষেত্রে মননশীল ধ্যানের যে-কোনো দুটি গুরুত্ব লেখো ।
উত্তর – মানব কল্যাণে মননশীল ধ্যান গুরুত্বপূর্ণ, কারণ –
(ক) শিক্ষাগত দক্ষতা বৃদ্ধি : শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষাগত দক্ষতা বৃদ্ধি। মননশীল ধ্যানের সঙ্গে মনোযোগ, মানসিক স্বাস্থ্য, শারীরিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি যুক্ত। আবার শিক্ষার সঙ্গে এই বিষয়গুলির সম্পর্ক অধিক। তাই মননশীল ধ্যান শিক্ষাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সহায়ক।
(খ) মানসিক চাপ হ্রাস ও শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য : শিক্ষায় মানসিক চাপ কমলে বিভিন্ন বিষয়ে ভীতি দূর করা যায়, যা শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য কার্যকরী।
(২৩) মননশীল ধ্যান কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ? কতক্ষণ এই ধ্যান করলে মানসিক স্বাস্থ্যের উপকার হয় ?
উত্তর – মননশীল ধ্যান মানসিক চাপ কমায়, মনকে শান্ত রাখে এবং নেতিবাচক চিন্তাধারা দূর করে মানসিক শান্তি প্রদান করে।
প্রতিদিন মাত্র 10-15 মিনিট মননশীল ধ্যান করলে মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
(২৪) মননশীল ধ্যান শুরু করার জন্য কি বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ? এই ধ্যান কি সকল বয়সের মানুষের জন্য উপযোগী ?
উত্তর – না, মননশীল ধ্যান শুরু করতে কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। একটি শান্ত জায়গায় বসে শ্বাস-প্রশ্বাসে মনোযোগ দিয়েই এটি শুরু করা যায়।
হ্যাঁ, মননশীল ধ্যান সকল বয়সের মানুষের জন্য উপযোগী এবং তা যে কেউ করতে পারে।
(২৫) মননশীল ধ্যান করার উপকারিতা কী ?
উত্তর – মননশীল ধ্যান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন- এই ধ্যান মানসিক চাপ কমায়, মনোযোগ বৃদ্ধি করে, মানসিক শান্তি আনে, ঘুমের গুণমান উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
(২৬) মননশীল ধ্যান কীভাবে করা হয় ?
উত্তর – মননশীল ধ্যান করার কিছু সাধারণ ধাপ রয়েছে। যেমন – (ক) প্রথমেই একটি শান্ত জায়গা বেছে নিতে হবে। (খ) আরামদায়কভাবে বসতে হবে। (গ) এরপর চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে। (ঘ) নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। (ঙ) কোনো চিন্তা আসলে সেটিকে ছেড়ে দিয়ে আবার শ্বাসের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
(২৭) মননশীল ধ্যানযোগের সুবিধা কী ?
উত্তর – মননশীল ধ্যান অভ্যাস করলে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি পাওয়া যায়। যেমন –
(ক) এই ধ্যানের জন্য নির্দিষ্ট জায়গার প্রয়োজন হয় না। এই ধ্যান যে-কোনো জায়গায় করা যেতে পারে।
(খ) মননশীল ধ্যান হৃৎপিন্ডের চাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
(গ) মননশীল ধ্যান উত্তেজনা কমিয়ে শরীর শিথিল করতে সাহায্য করে।
(২৮) মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক কী ?
উত্তর – পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব বা অনিদ্রা মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থ শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য অপরিহার্য। অনিদ্রা বা পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া একজন ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি।
(২৯) পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে ?
উত্তর – যখন একজন ব্যক্তির পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হয়, তাহলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। যেমন- দৈহিক ওজন বৃদ্ধি, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, অকাল মৃত্যু, বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি, ডায়াবেটিস প্রভৃতি।
(৩০) সুষম খাদ্য কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে ?
উত্তর – সুষম খাদ্য দৈহিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। পরবর্তীকালে তা মানসিক স্বাস্থ্যে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ সুস্থ খাদ্যাভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির কারণ। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, মেজাজ এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রিত হয়।
Class 12 Education Chapter 5
(৩১) মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক সুস্থতার মধ্যে সম্পর্ক কী ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা পরস্পর বিরোধী কোনো বিষয় নয়, বরং উভয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা একই বিষয়ের নামান্তর মাত্র। মানসিক স্বাস্থ্য বজায় থাকলে মানসিক সুস্থতা এমনিতেই আসবে। আবার মানসিক সুস্থতা বজায় আছে মানে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক আছে।
(৩২) মানসিক অস্থিরতা কী ?
উত্তর – মানসিক অস্থিরতা মানসিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপন করে, যা পরিস্থিতির তুলনায় অতিরিক্ত বলে মনে হতে পারে। মানসিক অস্থিরতা বলতে বোঝায়, কোনো ব্যক্তির আবেগ, চিন্তাভাবনা বা আচরণ পরিচালনা করতে সমস্যা হওয়া।
(৩৩) বিশ্রাম (Relaxation) কাকে বলে ? বিশ্রাম নেওয়ার মাধ্যমে কি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্ভব ?
উত্তর – বিশ্রাম (Relaxation): বিশ্রাম বা শিথিলতা এমন একটি অবস্থা, যেখানে শরীর ও মন ক্লান্তি থেকে মুক্তি পায় এবং স্বস্তি অনুভব করে। এটি মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং ব্যক্তি পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়।
হ্যাঁ, নিয়মিত বিশ্রাম মানসিক ক্লান্তি দূর করে এবং মনকে পুনরুজ্জীবিত করে।
(৩৪) ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব ফেলে ? সংগীত কীভাবে মানসিক প্রশান্তি দেয় ?
উত্তর – পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখে এবং উদ্বেগ ও ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।
শান্ত এবং মধুর সংগীত শুনলে মানসিক চাপ কমে এবং মন শান্ত হয়।
(৩৫) প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর বিষয়টি কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ? কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
উত্তর – প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালে মন সতেজ হয় এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিলে মন সতেজ থাকে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
(৩৬) মানসিক চাপ কমানোর সহজ উপায় কী ? Deep Breathing বা গভীর শ্বাসগ্রহণ কীভাবে সাহায্য করে ?
উত্তর – বিশ্রামের মধ্যে থেকে ধ্যান ও গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া মানসিক চাপ কমানোর সহজ এবং কার্যকর উপায়।
Deep Breathing বা গভীর শ্বাসগ্রহণ শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
(৩৭) মিউজিক থেরাপি কী ? মিউজিক থেরাপি কীভাবে কাজ করে ?
উত্তর – মিউজিক থেরাপি: মিউজিক থেরাপি মিউজিক থেরাপি হল একটি থেরাপিউটিক পদ্ধতি যেখানে সুর, তাল এবং সংগীতের মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা উন্নত করা হয়। এটি মনকে শান্ত করে, চাপ কমায় এবং মানসিক স্বস্তি আনে।
সুরের মাধ্যমে এটি মস্তিষ্ককে শিথিল করে এবং মানসিক চাপ হ্রাস করে। বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে মিউজিক থেরাপি খুবই কার্যকর।
(৩৮) উন্নত মানসিক কল্যাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি কী কী ?
উত্তর – উন্নত মানসিক কল্যাণের জন্য প্রয়োজন –
(ক) সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য।
(খ) প্রয়োজনমতো ঘুম দরকার যা প্রতিটি ব্যক্তির বৌদ্ধিক ও অনুভূতিমূলক কাজের জন্য প্রয়োজন।
(গ) সামাজিক কাজে নিজেকে যুক্ত করতে হবে।
(ঘ) ধনাত্মক মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষার্থীদের কল্যাণমুখী চিন্তায় সাহায্য করে।
(৩৯) জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি ও মনোবৈজ্ঞানিক থেরাপি কী ?
উত্তর – জানীয় আচরণগত থেরাপি: এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি বর্তমান সমস্যা এবং আচরণের উপর বিশেষ নজর দেয়। এর সাহায্যে নেতিবাচক চিন্তা এবং আচরণের ধরন চিহ্ণিত করে সেগুলির ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়।।।
মনোবৈজ্ঞানিক থেরাপি: এই পদ্ধতি শৈশবকালীন অভিজ্ঞতা ও সম্পর্কগত সমস্যাগুলি চিহ্ণিত করে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
(৪০) ধ্যানের দুটি প্রকারভেদ লেখো ।
উত্তর – (ক) অতীন্দ্রিয় ধ্যান: এটি একটি ধ্যানের কৌশল, যেখানে একজন ব্যক্তি একটি বিশেষ শব্দ বা বাক্যাংশ মানসিকভাবে পুনরাবৃত্তি করে, যার লক্ষ্য অভ্যন্তরীণ শক্তি ও মানসিক প্রশান্তি অর্জন করা।
(খ) প্রগতিমূলক ধ্যান: এটি এমন একটি ধ্যানের কৌশল, যার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো সম্ভব এবং এর ফলে দৈহিক স্থিতিশীলতা আসে।
আরও পড়ুন –
এডুকেশন – ষষ্ঠ অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 5 Mark )
এডুকেশন – চতুর্থ অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 5 Mark )
এডুকেশন – তৃতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark)
এডুকেশন – দ্বিতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 2 Mark)
এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর (2 mark)
এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark )
YouTube – Samim Sir