Education Chapter 7 Question Answer । Class 12 4th Semester । দ্বাদশ শ্রেণী চতুর্থ সেমিস্টার বড় প্রশ্ন উত্তর সপ্তম অধ্যায়

Education Chapter 7 Question Answer । Class 12 4th Semester । দ্বাদশ শ্রেণী চতুর্থ সেমিস্টার বড় প্রশ্ন উত্তর সপ্তম অধ্যায়

Education Chapter 7 Question Answer

সপ্তম অধ্যায় – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা

Mark – 5

() শিক্ষাপ্রযুক্তির সংজ্ঞা দাও । শিক্ষাপ্রযুক্তির উপাদানগুলি সম্পর্কে লেখো

উত্তর শিক্ষাপ্রযুক্তি: শিক্ষাপ্রযুক্তি বা Educational Technology বলতে সাধারণত শিক্ষাক্ষেত্রে বহুমুখী প্রযুক্তি ও কৌশলের প্রয়োগকে বোঝানো হয়।

গ্যাগনে-র মতে, সমগ্র শিক্ষা প্রক্রিয়াটি হল একটি সিস্টেম। শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান শিক্ষণ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য এবং তার ফলাফল বিচার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল উদ্ভাবন করে। শিখন প্রক্রিয়াকে বিকশিত করার জন্য শিক্ষাপ্রযুক্তির প্রয়োজন।

শিক্ষাগত প্রযুক্তির উপাদান: শিক্ষাগত প্রযুক্তির 5টি উপাদান রয়েছে। যেগুলি হল-

() প্রযুক্তিগত উপাদান : যথাযথ উপকরণ, কৌশল ও প্রক্রিয়া, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষণ-শিখন সহায়ক উপকরণ, যেমন-চার্ট, মডেল, প্রোজেক্টর, কম্পিউটার ইত্যাদি। আবার কৌশলগুলির মধ্যে রয়েছে যেমন-সমস্যাসমাধান, প্রোগ্রামভিত্তিক শিখন, কম্পিউটারভিত্তিক শিক্ষণ ইত্যাদি এবং প্রক্রিয়াগুলি হল শিক্ষণ, শিখন, মূল্যায়ন, প্রশাসন ইত্যাদির সমন্বয়ে শিক্ষা প্রক্রিয়া পরিচালনা।

() বৌদ্ধিক উপাদান: বৌদ্ধিক উপাদানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-অনুভূতি, স্মৃতি ও যথাযথ বৌদ্ধিক প্রক্রিয়া, যা শিক্ষাগত প্রযুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

() যথাযথ প্রয়োগ: প্রযুক্তিগত উপাদান, বৌদ্ধিক উপাদানসমূহের যথাযথ প্রয়োগ।

() শিক্ষা প্রক্রিয়ার উন্নয়ন: শিক্ষা প্রক্রিয়ার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উন্নত প্রযুক্তিগত উপাদান, বৌদ্ধিক উপাদানের যথাযথ প্রয়োগ।

() শিখনের ফলের উন্নয়ন: শিক্ষা প্রক্রিয়ার উন্নয়ন শিখনের ফলের উন্নয়নে সাহায্য করে।

() জে ব্লুমারএর মতে, শিক্ষাপ্রযুক্তি কী ? শিক্ষাপ্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য লেখো

উত্তর জে ব্লুমার: শিক্ষাপ্রযুক্তি হল শিক্ষা সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান, যা বাস্তব শিখন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়।

শিক্ষাপ্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য: শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের সংজ্ঞাগুলি বিশ্লেষণ করলে শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের কতকগুলি বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পাওয়া যায়, যেমন –

() তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক শিক্ষা: প্রযুক্তিবিজ্ঞানে কেবল তাত্ত্বিক বিষয় নয় বা কেবল ব্যাবহারিক বিষয় নয়। তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক উভয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।

() শিক্ষা প্রক্রিয়া শিক্ষা: প্রযুক্তিবিজ্ঞান শিক্ষাবিদ ও মনোবিদ এবং প্রযুক্তিবিদদের ধারণার সমন্বয়। সাধারণত প্রযুক্তিবিদদের ধারণা শিক্ষা প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে।

() শিক্ষণ যন্ত্র: শিক্ষাক্ষেত্রে যে-কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত শিক্ষণ যন্ত্র (Teaching Machine) এবং তার যান্ত্রিক কৌশলগুলি জ্ঞানের সংরক্ষণ, সঞ্চালন, প্রসার ও উন্নয়নের সমস্ত পর্যায়ে সহায়তা করে।

() কারিগরি কৌশল: শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াতে কারিগরি শিক্ষার প্রয়োগ হয় শিক্ষা প্রযুক্তির মাধ্যমে।

() ব্যাবহারিক কৌশল: যে-কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত যন্ত্র এবং তার ব্যবহার কৌশলগুলির সক্রিয় সমন্বয়। যেমন-শিক্ষার উপযোগী বিভিন্ন শিক্ষণ সহায়ক উপকরণগুলির (Teaching Aids) উদ্ভাবন ও তার ব্যবহার।

() শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহারগুলি আলোচনা করো [WBCHSE ’19, ‘17]

উত্তর শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহার: শিক্ষাপ্রযুক্তি বর্তমানে সবক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার দ্রুত প্রসার ঘটছে। যেসব ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যাকে ব্যবহার করা হয়, সেগুলি হল –

() বহুমাধ্যম: বহুমাধ্যম বা Multimedia-র মাধ্যমে পড়ানোর ফলে শিক্ষণীয় বিষয় আকর্ষণীয় হচ্ছে এবং শিক্ষার গুণগত মানও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে।

() অনুশিক্ষণ: অণুশিক্ষণ হল শিক্ষণ-শিখনের ক্ষেত্রে একটি আধুনিক বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি। এর মাধ্যমে শিক্ষকদের উন্নতমানের শিক্ষাদান করা যায়।

() গণমাধ্যম ও এভারাহড প্রোজেক্টর: গণমাধ্যম ও ওভারহেড প্রোজেক্টরের মাধ্যমে পড়ানোর ফলে বিষয়বস্তুকে সহজে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত করা যায়।

() প্রোগ্রাম শিখল শিক্ষা: প্রযুক্তিবিজ্ঞানের প্রোগ্রাম শিখন ব্যবস্থা শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। এখানে বিষয়বস্তুকে ছোটো ছোটো উপ-এককে বিভক্ত করা সম্ভব হয়।

() তথ্যপ্রযুক্তি: তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের ফলে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারছে।

() ইনটারঅ্যাকটিভ সরঞ্জাম: ইনটারঅ্যাকটিভ হোয়াইটবোর্ড, শিক্ষামূলক অ্যাপ এবং মাল্টিমিডিয়া রিসোর্স শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং পাঠদানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

() শিক্ষায় প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অবদান বা গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো

উত্তর শিক্ষায় প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অবদান: শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যাকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো হয়। এর অবদান বা গুরুত্ব হল –

() শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে: ব্যক্তি ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

() পাঠক্রম নির্ধারণে: শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে উপযুক্ত পাঠক্রম নির্বাচনে শিক্ষাপ্রযুক্তি বিশেষ দায়িত্ব পালন করে।

() বিজ্ঞানসম্মত উপস্থাপন: শিক্ষাকে বিজ্ঞানসম্মত করতে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বহু তথ্য শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপনের দ্বারা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা সম্ভব হয়।

() ব্যক্তিভিত্তিক শিখন: শিক্ষাপ্রযুক্তির সাহায্যে প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজস্ব পছন্দ, ক্ষমতা, সামর্থ্য অনুযায়ী অগ্রসর হতে পারে।

() শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার: পঠনপাঠনের জন্য বর্তমানে যে-সমস্ত উপকরণ ব্যবহার করা হয় যেমন-চার্ট, মডেল, স্লাইড, ওভারহেড প্রোজেক্টর ইত্যাদি প্রযুক্তিবিদ্যার অবদান।

() মূল্যায়ন প্রক্রিয়া: আজকের দিনে শিক্ষাপ্রযুক্তি মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন MCQ বা বহুবিকল্পভিত্তিক  প্রশ্নের উত্তরপত্র দেখা, মার্কশিট তৈরি করা, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ প্রভৃতি।

() সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ: সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে।

() শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার সুবিধাগুলি আলোচনা করো [WBCHSE 16]

উত্তর শিক্ষাপ্রযুক্তির হাত ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসাবাণিজ্য প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রই এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার সুবিধাগুলি হল –

() সক্রিয়তা সৃষ্টি: শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষার্থীকে সক্রিয় করে যা তাদের সাফল্যলাভে সাহায্য করে।

() অনুশীলনের সুযোগ: প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পায়। ফলে শিক্ষণীয় বিষয়টি তারা যথাযথভাবে আয়ত্ত করতে পারে।

() ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান: সাধারণ পাঠদানের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান সম্ভব হয় না। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যার ও সাহায্যে এই শিক্ষাদান সম্ভব হয়।

() সমস্যাসমাধান: প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে।

() প্রেষণা সঞ্চার: প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ইতিবাচক মনোভাব গঠনের সহায়ক। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়, প্রেষণার সঞ্চার ঘটে।

() অনুশীলনের সুযোগ: প্রযুক্তিবিদ্যা তথা কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পায়। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন অনুসারে নিজস্ব সময় অনুযায়ী অনুশীলন করতে পারে, ফলে শিক্ষণীয় বিষয় অধিক ত্রুটিমুক্ত হয়।

() অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার লেখো

উত্তর প্রথাগত শিক্ষার বাইরে যা কিছু শেখা হয় সেগুলিকেই সাধারণত অপ্রথাগত শিক্ষা বলা হয়। অপ্রথাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহারগুলি হল-

() ইনটারনেট: ইনটারনেট থেকে একজন শিক্ষার্থী যে-কোনো তথ্য যে-কোনো সময়ে জানতে পারে।

() ওয়েবসাইট: বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থী বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

() ই-মেল: বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার ই-মেল রয়েছে। ই-মেলের মাধ্যমে যেমন বিভিন্ন বিষয়গত শিক্ষা সম্বন্ধে জানা যায় ঠিক তেমনই বিভিন্ন ধরনের অপ্রথাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

() অনলাইন প্ল্যাটফর্ম: বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (গুগুল, ইয়াহু ইত্যাদি) রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোনো বিশেষ ব্যক্তির কোনো বিষয়ে আলোচনা, সেমিনার থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব, যেগুলি শিক্ষার্থীর জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে পারে।

() ডিজিটাল শিখন উৎস: অনলাইন লাইব্রেরি, ডাটাবেস ইত্যাদি থেকে বর্তমানে দেশ, বিদেশের এমন অনেক তথ্য সংগ্রহ করা যায় যেগুলি অপ্রথাগত শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত।

() মিথস্ক্রিয়ামূলক যন্ত্রপাতি: বর্তমানে যে-কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের সংস্কৃতি, আচার-আচরণ ইত্যাদি আদানপ্রদান করতে পারেন।

() ভার্চুয়াল মিউজিয়াম ও ট্যুর: কম্পিউটারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মিউজিয়াম ও ভার্চুয়াল ট্যুর বিভিন্ন অপ্রথাগত শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যকরী।

() শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা কাকে বলে ? শিক্ষাক্ষেত্রে এর যে-কোনো দুটি সুবিধা উল্লেখ করো [WBCHSE 23]

উত্তর শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা: শিক্ষাপ্রযুক্তি বা Educational Technology বলতে সাধারণত শিক্ষাক্ষেত্রে বহুমুখী প্রযুক্তি ও কৌশলের প্রয়োগকে বোঝানো হয়।

গ্যাগনে-র মতে, সমগ্র শিক্ষা প্রক্রিয়াটি হল একটি সিস্টেম। শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান শিক্ষণ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য এবং তার ফলাফল বিচার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল উদ্ভাবন করে। শিখন প্রক্রিয়াকে বিকশিত করার জন্য শিক্ষাপ্রযুক্তির প্রয়োজন।

শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার সুবিধা: শিক্ষাপ্রযুক্তির হাত ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসাবাণিজ্য প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রই এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার সুবিধাগুলি হল –

() সক্রিয়তা সৃষ্টি: শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষার্থীকে সক্রিয় করে যা তাদের সাফল্যলাভে সাহায্য করে।

() অনুশীলনের সুযোগ: প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পায়। ফলে শিক্ষণীয় বিষয়টি তারা যথাযথভাবে আয়ত্ত করতে পারে।

() ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান: সাধারণ পাঠদানের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান সম্ভব হয় না। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে এই শিক্ষাদান সম্ভব হয়।

() সমস্যাসমাধান: প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে।

() প্রেষণা সঞ্চার: প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ইতিবাচক মনোভাব গঠনের সহায়ক। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়, প্রেষণার সঞ্চার ঘটে।

() অনুশীলনের সুযোগ: প্রযুক্তিবিদ্যা তথা কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পায়। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন অনুসারে নিজস্ব সময় অনুযায়ী অনুশীলন করতে পারে, ফলে শিক্ষণীয় বিষয় অধিক ত্রুটিমুক্ত হয়।

() শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের কাজে শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা কীভাবে শিক্ষকদের সাহায্য করে ?

উত্তর শিক্ষক মহাশয় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় বিভিন্নভাবে শিক্ষাপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে পাঠদান প্রক্রিয়াকে আকর্ষণীয় ও আনন্দপূর্ণ করে তুলতে পারেন। যেমন –

() শিক্ষা সহায়ক উপকরণ: দৃশ্য-শ্রাব্য উপকরণ কীভাবে তৈরি করা যায়, কীভাবে ব্যবহার করা যায় ইত্যাদি বিষয়ে একজন শিক্ষক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সহজেই জানতে পারেন।

() বোর্ড, ইন্টারঅ্যাকটিভ বোর্ড: শিক্ষক বোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লেখেন, আবার ইন্টারঅ্যাকটিভ বোর্ডের মাধ্যমে শিক্ষক যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়ান, তেমনই সেগুলিকে সংরক্ষণ করতে পারেন। তাই এগুলি শিক্ষকের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রযুক্তি।

() প্রোগ্রাম পদ্ধতি: শিক্ষক প্রোগ্রাম পদ্ধতিতে শিক্ষাবিষয়ক প্রোগ্রাম তৈরি করেন বা প্রোগ্রাম পদ্ধতিকে ভিত্তি করে শিক্ষণের পুস্তক প্রস্তুত করে সেগুলিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের শিখনে সাহায্য করেন। প্রোগ্রাম তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষক কম্পিউটারকে কাজে লাগাতে পারেন।

() বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্টর: ওভারহেড প্রোজেক্টর, ফিল্ম প্রোজেক্টর ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষক বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করে বিষয়কে অনেক সহজে শিক্ষার্থীদের কাছে বোধগম্য করে তুলতে পারেন।

() ইনটারনেট, ওয়েবসাইট: ইনটারনেট, ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন এবং সেই তথ্যগুলিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চালিত করে অনেক অজানা তথ্য জানতে সাহায্য করতে পারেন।

() AI বা কৃত্রিম বুদ্ধি: বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তিতে AI-কে শিক্ষক কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের সেই তথ্য জানাতে পারেন।

() বর্তমান ভারতে শিক্ষাপ্রযুক্তির অবস্থা আলোচনা করো

উত্তর আধুনিক শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত চিন্তা বা জ্ঞানের বিকাশ দেখতে পাই, যা শিক্ষাপ্রযুক্তির অবদান।

() UGC ও প্রযুক্তিবিদ্যা: UGC 1984 সালের 15 আগস্ট ভারতের সমগ্র অঞ্চলে এক দেশব্যাপী শ্রেণিকক্ষ অনুষ্ঠানের প্রচার শুরু করে। যার উদ্দেশ্য ছিল দূরাগত শিক্ষাকে কার্যকরী, ব্যাপক ও ফলপ্রসূ করে তোলা।

() প্রতিটি রাজ্য ও প্রযুক্তিবিদ্যা: ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই State Institutes of Technology স্থাপিত হয়েছে। 1975 সালের আগস্ট মাসে The Satellite Instructional Television Experiment বা SITE উপগ্রহের মাধ্যমে শিক্ষাবিস্তার করার জন্য প্রবর্তন করা হয়।

() মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তিবিদ্যা: Indian Space Research Organisation (ISRO) বা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সাহায্যে শিক্ষামূলক উপগ্রহ (EDUSAT) প্রকল্প রূপায়ণ করা হয়। যার মাধ্যমে দূরদর্শনের বিভিন্ন কর্মসূচির সম্প্রসারণের সাহায্যে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শিক্ষার প্রসার সম্ভব হচ্ছে।

() ভাষা পরীক্ষাগার ও প্রযুক্তিবিদ্যা: বর্তমানে বিদেশি ভাষা শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই ভারতে ভাষা পরীক্ষাগার বা Language Laboratory-র যথেষ্ট প্রয়োগ হচ্ছে। এটি একটি স্বশিখন বা আত্মশিখন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী রেকর্ড করা বক্তব্য বা ভাষ্য শোনে এবং একই কায়দায় তা উচ্চারণ করে বলার অভ্যাস করে।

(১০) শিক্ষাপ্রযুক্তিকে কি শিক্ষকের বিকল্প হিসেবে গণ্য করা যায় ব্যাখ্যা করো

উত্তর শিক্ষাপ্রযুক্তি ও শিক্ষক: যান্ত্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষণ-শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা নিলেও শিক্ষকের অবদান খুব বেশি। প্রযুক্তিবিদ্যাকে শিক্ষকের বিকল্প হিসেবে বিশ্বাস করা যায় না, কারণ –

() মানসিক উৎসাহহীন: সঠিক উত্তরদানের জন্য শিক্ষার্থী শিক্ষকের কাছ থেকে প্রশংসা পায়, যেটা প্রযুক্তিবিদ্যা থেকে অসম্ভব।

() সংবেদনশীলতার অভাব: শিক্ষক শিক্ষার্থীর পরিণমন, চাহিদা ও মানসিক অবস্থা বুঝে শিক্ষার ব্যবস্থা করেন, যা প্রযুক্তিবিদ্যা করতে পারে না।

() পরামর্শদাতা: শিক্ষাজীবনে শিক্ষার্থী নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। শিক্ষক শিক্ষার্থীর সেই সমস্যাসমাধানে পরামর্শদাতার ভূমিকা গ্রহণ করেন, যা প্রযুক্তিবিদ্যা পারে না।

() শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ: শ্রেণিশিখনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে যে মধুর সম্পর্ক থাকে, তার ফলে শিক্ষণ কাজ যথার্থভাবে সম্পাদিত হয়। গড়ে ওঠে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ, যা প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা যাচাইয়ের জন্য অভীক্ষা তৈরি, মূল্যায়ন কৌশল নির্বাচন ও সেগুলি প্রয়োগের ব্যবস্থা করেন।

() চরিত্রগঠন: শিক্ষার্থীর চরিত্রগঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষক বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেন। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যা এই দায়িত্ব পালন করতে পারে না।

সুতরাং সেদিক দিয়ে বিচার করে বলা যায়, প্রযুক্তি কখনও শিক্ষকের বিকল্প হতে পারে না।

(১১) শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যাকে কীভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করা যায় ?

উত্তর শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে থাকে। যেমন –

() দৃশ্য-শ্রাব্য উপকরণ ব্যবহার: বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য-শ্রাব্য উপকরণ যেমন- চার্ট, মডেল, বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্টর (OHP, LCD), ইনটারনেট, স্মার্ট ফোন, পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইট বোর্ড, মূর্তবস্তু ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করে পাঠদান করলে শিখন স্থায়ী হয়।

() পুস্তক ও শিক্ষণ যন্ত্র: বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে কার্যকরী রূপ দেওয়ার জন্য স্বয়ং শিক্ষণ পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে। এই ধরনের প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে প্রতিক্রিয়া করার সুযোগ করে দেয়।

() দূরাগত শিক্ষা: শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান দূরশিক্ষা কর্মসূচির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দূরাগত শিক্ষায় EDUSAT (Educational Satellite) দ্বারা শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

() কম্পিউটারভিত্তিক নির্দেশনা: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় যেগুলির জন্য পরীক্ষাগারের প্রয়োজন, অথচ স্কুল, কলেজগুলিতে এই ধরনের পরীক্ষাগারের অভাব রয়েছে, সেইসব ক্ষেত্রে বর্তমানে কম্পিউটারভিত্তিক নির্দেশনার মাধ্যমে অনেক সহজেই পরীক্ষামূলক ফলাফল পর্যবেক্ষণ ও আয়ত্ত করা যায়।

() গবেষণা: যে-কোনো তথ্যভাণ্ডার থেকে গবেষকগণ তার ল্যাবরেটরিতে বা বাড়িতে বসেই প্রযুক্তিকে (ইনটারনেট, ওয়েবসাইট ইত্যাদি) কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন যা গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

() তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ: কম্পিউটার, মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ভাণ্ডার সংগৃহীত রয়েছে। এই তথ্য ভাণ্ডার থেকে যে-কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক খুব সহজ উপায়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এর ফলে যে-কোনো স্তরের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়।

(১২) শিক্ষাপ্রযুক্তি কয়প্রকার ও কী কী ? শ্রেণিবিভাগগুলি সম্পর্কে লেখো

উত্তর শিক্ষাপ্রযুক্তিকে তিনটি রীতির ভিত্তিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা – হার্ডওয়্যার রীতি, সফটওয়‍্যার রীতি ও সিস্টেম অ্যাপ্রোচ রীতি।

হার্ডওয়্যার রীতি: এই রীতির অন্তর্ভুক্ত হল বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন প্রোজেক্টর (ওভারহেড প্রোজেক্টর, স্লাইড প্রোজেক্টর ইত্যাদি), কম্পিউটার (ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি), TV (যা হল দর্শন ও শ্রবণধর্মী প্রদীপন) ইত্যাদি। এই ধরনের প্রযুক্তিসমূহ শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে অতি সহজে কম সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়। তা ছাড়া এই প্রযুক্তিকে নির্দেশনার কাজে লাগানো যায়।

সফটওয়্যার রীতি: শিক্ষণ-শিখনের মনস্তাত্ত্বিক নীতির উপর ভিত্তি করে এই রীতি গঠিত, এটি সম্পূর্ণরূপে যন্ত্র নির্ভর নয়। এক্ষেত্রে কত সহজে শিক্ষার্থীরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং কত ভালোভাবে শিক্ষার্থীরা তথ্যসমূহকে উপস্থাপন করতে পারে, এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সিস্টেম অ্যাপ্রোচ রীতি: এই রীতির সাহায্যে শিক্ষাগত প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে শিক্ষাব্যবস্থাকে কম খরচে ও অতি সহজে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। পাঠক্রমের বিকাশ, মূল্যায়ন ব্যবস্থা ইত্যাদির সংস্কারও এই রীতির অন্তর্ভুক্ত।

এর উপর ভিত্তি করে শিক্ষণ-শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তির উপকরণগুলি হল- শিখন ব্যবস্থাপনা তন্ত্র (LMS), অনলাইন কোর্সসমূহ, মিথস্ক্রিয়ামূলক উপকরণ ইত্যাদি।

(১৩) প্রযুক্তি বলতে কী বোঝো ? এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো

প্রযুক্তি: যে-কোনো যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে জ্ঞান এবং সেগুলি দক্ষভাবে ব্যবহার করার ক্ষমতাকে প্রযুক্তি বলা হয়। সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে, প্রযুক্তি হল ব্যাবহারিক উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রয়োগ করা।

প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য: প্রযুক্তির সংজ্ঞাগুলিকে বিশ্লেষণ করলে এর কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। যেগুলি হল –

() উদ্দেশ্যমূলক: প্রযুক্তি হল মানুষের তৈরি করা একধরনের নকশা বা পদ্ধতি, যা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণে সাহায্য করে।

() ব্যাবহারিক: প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা হয় যেমন শিল্প, ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি।

() বৈজ্ঞানিক ভিত্তি: প্রযুক্তি সাধারণত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।

() পুনরুৎপাদনযোগ্য: প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা পণ্য বা প্রক্রিয়াগুলি সাধারণত সহজে এবং পুনরাবৃত্তিভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

(১৪) প্রযুক্তির কয়েকটি ব্যবহার লেখো

উত্তর প্রযুক্তির ব্যবহার: বর্তমানে প্রযুক্তি সকল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তি ছাড়া জীবন একেবারেই অচল।

() মহাকাশ গবেষণা: মহাকাশ গবেষণা, মহাশূন্যের ছবি তোলা, স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণ, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহ, মহাকাশযানকে নিয়ন্ত্রণ করা, তার মাধ্যমে তথ্যগ্রহণ সবই প্রযুক্তিবিদ্যা ছাড়া অসম্ভব।

() প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র: দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে বিভিন্ন তথ্যসংগ্রহ, সন্ত্রাসবাদীদের অবস্থান, সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন স্থানের চিত্রসহ পরিবেশন, সৈন্যদের অবস্থান কখন কীরূপ হবে, বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক পরিবেশে কোন্ স্থানে সৈন্যদল অবস্থান করবে ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য কম্পিউটার ছাড়া সম্ভব নয়।

() বিনোদনমূলক ক্ষেত্র: চিত্তবিনোদনমূলক কাজকর্ম, অ্যানিমেশন ও স্পেশাল এফেক্টের সাহায্যে চলচ্চিত্র নির্মাণ কম্পিউটার তথা প্রযুক্তি ছাড়া সম্ভব নয়।

() আবহাওয়ার পূর্বাভাস: কৃত্রিম উপগ্রহগুলি নিয়ন্ত্রিত হয় সুপার কম্পিউটার দ্বারা। এগুলির দ্বারা গৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে খুব সহজে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

() শিক্ষাক্ষেত্র: শিক্ষাদানের সময় অর্থাৎ শিখনের ক্ষেত্রে, স্বয়ংশিখনের ক্ষেত্রে, শিক্ষণের ক্ষেত্রে কম্পিউটার, টেলিভিশন, বেতার ইত্যাদি প্রযুক্তি সহায়ক উপকরণের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

() বৈজ্ঞানিক গবেষণা: বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা, জটিল গণনা, অতি দ্রুত ও নিখুঁতভাবে গবেষণার কার্যক্রম করা ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।

(১৫) প্রযুক্তিবিদ্যার সমস্যাগুলি সমাধানের উপায়গুলি কী কী ? [ অথবা ] শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত কয়েকটি প্রযুক্তির নাম লেখো

উত্তর সমস্যাসমাধানের উপায়সমূহ: প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি লক্ষ করা যায়, সেগুলি সমাধানের উপায়গুলি হল –

() দক্ষ শিক্ষক: প্রযুক্তিবিদ্যায় দক্ষ শিক্ষকের অভাব দূর করতে উপযুক্ত শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকার জোগান বাড়াতে হবে সরকারকে। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।

() আর্থিক অনুদান: আর্থিক দৈন্যতা কাটিয়ে সরকারকে প্রযুক্তিবিদ্যার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে উন্নত যন্ত্রপাতির জোগান দিতে হবে। আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর চাহিদাভিত্তিক শিখন উপযোগী উপকরণ মোতায়েন রাখতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে।

() আঞ্চলিক ভাষা: প্রযুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভের সময় ভাষাগত সমস্যা না হয়।

() কর্মসংস্থান: প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে শিক্ষালাভের পর শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে সরকারকে, যাতে বেকারত্ব কমে।

শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত কয়েকটি প্রযুক্তির নাম হল-কম্পিউটার, ওভারহেড প্রোজেক্টর ইত্যাদি।

আরও পড়ুন

এডুকেশন – ষষ্ঠ অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 2 Mark )

এডুকেশন – পঞ্চম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 5 Mark )

এডুকেশন – চতুর্থ অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 5 Mark )

এডুকেশন – তৃতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark)

এডুকেশন – দ্বিতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 2 Mark)

এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর (2 mark)

এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark )

YouTube – Samim Sir

Leave a Comment