লৌকিক সাহিত্যের নানা দিক প্রশ্ন উত্তর // একাদশ শ্রেণী বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার // class 11 2nd semester bangla sahityer itihas question answer
লৌকিক সাহিত্যের নানা দিক
5 মার্ক প্রশ্ন উত্তর
(১) ‘লোককথা’ কাকে বলে ? দুটি লোককথার নাম লেখো এবং যে-কোনো একটি লোককথা সম্পর্কে তোমার মত লিপিবদ্ধ করো । ২+৩
উত্তর – লোককথা : মুখে মুখে প্রচলিত নানাধরনের গল্পকেই সাধারণভাবে বলা হয় ‘কথা’। যেসব গল্প মৌখিক এবং যেগুলির প্রচলন নিরক্ষর কিংবা স্বল্পশিক্ষিত জনসাধারণের মধ্যে সীমাবদ্ধ সেগুলিকেই লোককথা বলা হয়।
শ্রেণীবিভাগ : লোককথা বা কথাকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।যেমন – (ক) উপকথা (খ) পশুকথা (গ) ব্রতকথা (ঘ) রূপকথা ।
রূপকথা : রূপকথা হল এমন গল্প, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো সম্পর্কই নেই। যে-গল্প গড়ে উঠেছে অপ্রাকৃত ও প্রাকৃত প্রাণী এবং মানুষের ও অলৌকিক এবং অতিলৌকিক চরিত্রে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াজাত ঘটনার বিবরণ থেকে তাকেই বলা হয় রূপকথা। রূপকের গল্প হবে অবশ্যই মিলনান্তক। দেখানো হবে সৎ পক্ষের জয় এবং অসৎ পক্ষের পরাজয়। রূপকথাও উপকথার মতো চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যেই রচিত। কিন্তু মনের গভীরে যেমন অপূর্ণ ইচ্ছা সুপ্ত থাকে রূপকথার গল্পে সেইসব ইচ্ছাপূরণেরও বিবরণ থাকে।
(২) ছড়া কাকে বলে ? ছড়ার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো । ২+৩
উত্তর – ছড়া : মুখে মুখে রচিত অন্ত্যমিলযুক্ত ছোটো আকারের পদ্যকে সাধারণত বলা হয় ছড়া। এগুলি মূলত দুই, চার, ছয় ও আট চরণে নির্মিত। উদাহরণ –
(ক) ঘুমপাড়ানি মাসি পিসি মোদের বাড়ি এসো
(খ) সোনা সোনা ডাক ছাড়ি, সোনা নেইকো বাড়ি,
বাংলা লোকসাহিত্যের এক বিশিষ্ট সম্পদ হল ছড়া। এটি বাং-লাদেশের লোকসাধারণের তথা নরনারীর সমস্ত রকম প্রকাশরীতির সর্বস্বীকৃত মাধ্যম। এই ছড়ার বেশকিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। সেগুলি হল –
(ক) ছড়া মূলত মুখেমুখে রচিত একধরনের গ্রাম্য কবিতা।
(খ) ছড়ার অর্থগত সংগতি নেই, ছড়া অসংলগ্ন, ছড়া হেঁয়ালিতে ভরা।
(গ) ছড়ার চাল অত্যন্ত দ্রুত।
(ঘ) ছড়া যেন এক-একটি পর্বে সম্পূর্ণ, আবার এক-একটি পর্বে খণ্ডচিত্রও থাকে।
(ঙ) ছড়ার মধ্যে কোনো গুরুগম্ভীর ব্যাপার থাকে না।
(চ) ছড়ার মধ্যে জীবনের সহজতা ও সরলতা ধরা দেয়।
(ছ) ছড়ার বাক্যগুলি কাটা কাটা সংযোগ শূন্য ও ক্ষুদ্র অবয়ব সমন্বিত।
(জ) ছড়ার পঙ্ক্তিগুলি পারম্পর্যহীন নয়, মিলের একটি বন্ধন অন্তত আছে।
(ঝ) ছড়ার ভাষা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
(ঞ) ছড়ার মধ্যে একটি নিরুদ্দিষ্ট ভাবনা আছে।
(ট) প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত কোনো একটি নিটোলভাব ছড়ার মধ্যে খোঁজা অর্থহীন।
(ঠ) ছড়ার মধ্যে একটি সহজ স্বাভাবিক কাব্যরস আছে। তাই ছড়া লাবণ্যময়।
(ড) বাংলা ছড়ায় ছন্দই মুখ্য বিষয়।
(৩) ধাঁধা কাকে বলে ? উদাহরণ-সহ ধাঁধার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। ১+৪
উত্তর – ধাঁধা : যে-বাক্যের সাহায্যে একটিমাত্র ভাব প্রকাশ করা হয় রূপকের সাহায্যে জিজ্ঞাসার আকারে, তাকে ‘ধাঁধা’ বলে।
বৈশিষ্ট্য : এই ধাঁধার বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়- (ক) কতকগুলি দুর্বোধ্য বা অর্থহীন শব্দ কিংবা শব্দগুচ্ছের ব্যবহার করা হয় বহু ধাঁধার মধ্যেই। (খ) তথ্যানুসন্ধিৎসা হল ধাঁধার অপর একটি বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ ধাঁধা হল একটি জিজ্ঞাসা, সব সময়ে মীমাংসা কামনা করে এই জিজ্ঞাসা। (গ) এমন কতকগুলি শব্দ কিংবা বিশিষ্টার্থক শব্দগুচ্ছের ব্যবহার করা হয় ধাঁধার মধ্যে যে-ধাঁধাটি না-ভাঙানো পর্যন্ত ধাঁধাটির অর্থ বোঝা যায় না। তবে ধাঁধাটির অর্থ সহজেই ধরা পড়ে ধাঁধাটি ভাঙানোর পরেই। (ঘ) সংক্ষিপ্ততা ধাঁধার একটি প্রধান গুণ। (ঙ) আকারে ছোটো হলেও ধাঁধার মধ্যে জাতির বুদ্ধি এবং বিচারশক্তির যে-পরিচয় পাওয়া যায় তা সমগ্র জাতির একাধারে যেমন মননশীলতার, ঠিক তেমনি আর একদিক দিয়ে প্রত্যক্ষ হয়ে ওঠে তার জীবনচর্যার পরিচয়।
সর্বোপরি, ধাঁধার অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলি হল-নির্মল হাস্যরস সৃষ্টি, তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ শক্তি, পরিণত শিল্পমন, বুদ্ধির অনুশীলন, মানসিক ক্রীড়া সম্পাদন, রসবোধ, স্মৃতিচর্চা ও লৌকিক জ্ঞান।
উদাহরণ: ধাঁধার উদাহরণ হল –
‘হিড়িং বিড়িং তিড়িং ভাই/চোখ দুটো তার মাথা নাই।‘
এই ধাঁধাটির উত্তর কাঁকড়া। হিড়িং বিড়িং তিড়িং শব্দ দিয়ে তার সরু সরু পা এবং দেহের উপরে দুটি চোখের অবস্থান বোঝানো হয়েছে।
(৪) প্রবাদ ও প্রবচন বলতে কী বোঝো ? অন্তত চারটি বাংলা প্রবাদের উদাহরণ দাও । ৩+২
উত্তর – প্রবাদ : জাতির সুদীর্ঘ ব্যাবহারিক অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ততম ও সুন্দর ভাষাগত রূপের অভিব্যক্তিই হল প্রবাদ। প্রবাদকে ইংরেজিতে বলা হয় Proverb। এই প্রবাদ সম্পর্কেই একটি প্রবাদ আছে স্প্যানিশ ভাষায়। যাকে ইংরেজি করলে দাঁড়ায়- “A Proverb is a short sentence based on a long experience”। বাংলায় যার অর্থ-প্রবাদ হল এমন একটি ছোটোবাক্য যার ভিত্তিতে আছে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। প্রবাদ একদিক দিয়ে যেমন প্রাচীন, অন্যদিক দিয়ে তেমনি আধুনিক। প্রবাদ মানুষের পরিবেশ ও জীবন পর্যবেক্ষণের এবং প্রকাশের এক সংক্ষিপ্ত অথচ অর্থপূর্ণ অভিব্যক্তি।
এই প্রবাদের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় –
প্রথমত, প্রবাদ হল একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু পূর্ণাঙ্গ বাক্য।
দ্বিতীয়ত, প্রবাদের উদ্ভবে লোকের বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে।
তৃতীয়ত, বাচ্যার্থ নয়, ব্যঞ্জনার্থই প্রবাদের অর্থ। এই অর্থেই প্রবাদ রূপকধর্মী রচনা।
চতুর্থত, প্রবাদে বুদ্ধির ও চিন্তার ছাপ থাকে প্রবল।
পঞ্চমত, প্রবাদের শিকড় ঐতিহ্যে গ্রথিত ঐতিহ্য থেকে রসসঞ্চার করে প্রবাদ অর্থপূর্ণ হয় ও ভাষার মধ্যে বহমান থেকে তাকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
প্রবচন : ‘প্রবচন’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘প্রকৃষ্ট বচন’ বা ‘সদালাপ’। ‘কঠোপনিষদে’ প্রবচন বিষয়ে বলা হয়েছে – “নায়মাত্ম প্রবচনেন লভ্যঃ”। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় প্রবাদ ও প্রবচনের পার্থক্য বিষয়ে বলেছেন যে, প্রবাদের মধ্যে একটি গল্পের ভাব আছে, কিন্তু প্রবচন ছাঁটা-কাটা কথামাত্র। আনন্দ প্রবচনের দুঃখ বা অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞানই তার সম্বল। কিন্তু, বাংলায় ‘বচন’ বিষয়টির বহুল প্রকাশ দেখা গেলেও স্বতন্ত্র উপস্থিতি দেখা যায় না। প্রবাদের সঙ্গে সমার্থক এবং পরিপূরক হিসেবেই এর ব্যবহার ঘটে।
(৫) ‘ব্রতকথা’ কী ? কোন কোন বিষয়কে অবলম্বন করে ব্রতকথা গড়ে ওঠে ? ২+৩
উত্তর – ব্রতকথা : বাংলা লোককথার একটি অন্যতম অঙ্গ হল ব্রতকথা। এটি বাংলা লোকসংস্কৃতিরও এক অনন্য উপকরণ। এ জাতীয় গল্প অন্যত্র খুব বেশি পাওয়া যায় না। এ গল্পের সঙ্গে বিশ্বাস এবং সংস্কারের যোগ খুবই গভীর। এ গল্প শ্রবণে পুণ্য হয়; গল্পটি শ্রবণও একটি ধর্মীয় আচার বলে গণ্য হয়ে থাকে।
ব্রতকথা হচ্ছে দেবদেবীর মাহাত্ম্য বিষয়ক গল্প। এ গল্পে থাকে মানুষ (পুরুষ প্রথমে দেবদ্বেষী পরে বিশ্বাসী, স্ত্রীলোক প্রথম থেকেই দেব-বিশ্বাসী), তারপর পশু (সাধারণ এবং অসাধারণ) আর দেবতা (প্রথমে বুষ্ট পরে তুষ্ট), সেইসঙ্গে থাকে নানা নৈসর্গিক বস্তু (সাধারণ এবং অসাধারণ)। ব্রতকথার প্রথমে নায়ক কিংবা নায়িকার বিপদ, দুঃখ, কান্না এবং কৃচ্ছসাধনার বর্ণনা থাকে। তারপর স্বপ্নে কিংবা চোখের সামনে দেবদর্শনের বর্ণনা থাকে। অতঃপর থাকে দেবতার নির্দেশ পালন, ব্রতপূজার বর্ণনা। এ গল্পের পরিণামে, নায়ক বা নায়িকার বিপন্মুক্তি এবং দৈবকৃপা লাভের বর্ণনা থাকে। ব্রতকথা শেষ হয় শ্রবণের গুণ বর্ণনা এবং দৈবকৃপা লাভের বর্ণনা দিয়ে। ব্রতকথাও সবসময়েই মিলনান্ত। রূপকথার সঙ্গে ব্রতকথার গভীর মিল ইচ্ছাপূরণের প্রসঙ্গে আর অমিল হল দৈব-উপস্থিতির ব্যাপারে। দৈব-উপস্থিতি ছাড়া ব্রতকথা হয় না। সুতরাং, প্রতিটি ব্রতকথাতেই একটি বা একাধিক মিথ গড়ে ওঠে।
(৬) বাংলা প্রবাদে সমাজের ছবি কীভাবে ধরা পড়েছে তা কয়েকটি প্রবাদ উল্লেখ করে দেখাও । ৫
উত্তর – বিস্তৃতভাবে জীবন অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ততম সাহিত্যিক প্রকাশই হল প্রবাদ। বলা বাহুল্য প্রবাদগুলি হল “চলমান জীবনে চলচ্চিত্র”। এ জাতীয় কয়েকটি প্রবাদ হল-
(ক) কারও পৌষমাস কারও সর্বনাশ।
(খ) গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল।
(গ) গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।
প্রথম প্রবাদটির অর্থ হল-একজনের পক্ষে সুসময় অন্যের পক্ষে দুঃসময়। পৌষমাস আসলে গোলায় ধান ভরে তোলার সময় হয়। রোদে পুড়ে জলে ভিজে কৃষক সারাবছরের অন্ন এবং অর্থসংগ্রহ করে থাকে। তাই এর চেয়ে শুভ ও সুসময় কৃষিসমাজের আর হয় না। তারই প্রতিফলন এই প্রবাদে।
দ্বিতীয়টিতে, মোড়লের মান্যতা গ্রামে অবশ্য স্বীকৃত। কিন্তু কেউ মোড়ল না-হওয়া সত্ত্বেও মোড়লের মান্যতা পেতে চাইলে তাকে উপহাসের পাত্র হতে হয়।
তৃতীয়টিতে, গাছে কাঁঠাল অথচ তেলের আয়োজনের অর্থ সিদ্ধিলাভের পূর্বেই ভোগের আয়োজন। গোঁফে তৈলমর্দন চাষিভাই করেন, গৃহস্থ করেন আর্থিক সমৃদ্ধির প্রেক্ষাপটেই। অনেকেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্বেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবেই ধরে নিয়ে ভবিষ্যৎ সুখের স্বপ্ন দেখেন। এখানেও নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষের সমাজের থেকেই প্রবাদটির উৎপত্তি।
(৭) উদাহরণ-সহ ছড়ার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো ।
উত্তর – ছড়া বাংলা লোকসাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। দেশ-কাল-শিক্ষা-প্রথা অনুযায়ী বয়স্ক বোদ্ধা মানুষের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু শিশুমনের বদল হয়নি। শিশু তার সৃজন প্রবৃত্তিতে যেমন মশগুল, শিশুসাহিত্যের প্রধানতম আকর্ষণ ছড়াও তেমনি শিশুসহ সমস্ত বয়স্ক মানুষদের কাছেও সমান আস্বাদ্য। ছড়ার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এম ব্লুমফিল্ডের কথা থেকে জানা যায়-
(ক) ছড়াগুলি Poetic Primitive, কোনো বিশেষ বার্তা বা মনোভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে ছড়া লেখা নয়।
(খ) অর্থপূর্ণ সংলগ্নতার দায় ছড়ার নেই। শিশুর সদা চঞ্চল সৃষ্টির মতোই ছড়াগুলি টুকরো টুকরো পরস্পর বিচ্ছিন্ন অজস্র ছবির. সমাহারে সৃষ্টি।
(গ) ছড়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য শব্দ-ঝংকার বা ছন্দ। শিশুর কাছে এই ছন্দ-সংগীতের আবেদনই মুখ্য।
(ঘ) ছড়ার মধ্যে খেলার উপকরণও পাওয়া যায়।
(ঙ) ছড়াগুলি শৈশব-কৈশোরের অহেতুক আনন্দ, অপার বিস্ময়বোধ, অস্ফুট প্রকাশ সামর্থ্য, অসংলগ্নতার উদ্দাম ও স্বাধীন সৃজনশীলতায় জীবন্ত ও বর্ণময়।
(চ) সর্বোপরি এ কথা একবাক্যে সবাই স্বীকার করে, ছড়ার প্রথম ও শেষ বৈশিষ্ট্য অবশ্যই শিশুর মনোরঞ্জন; আর তা চার থেকে ছয় পঙ্ক্তিতেই সীমাবদ্ধ।
উদাহরণ:
আমপাতা জোড়া জোড়া / মারব চাবুক চড়ব ঘোড়া
ওরে বিবি সরে দাঁড়া, / আসছে আমার পাগলা ঘোড়া।
পাগলা ঘোড়া খেপেছে / বন্দুক ছুঁড়ে মেরেছে।
অলরাইট ভেরি গুড / মেম খায় চা বিস্কুট।
আরও পড়ুন –
তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প প্রশ্ন উত্তর
ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর
লালন শাহ ফকিরের গান প্রশ্ন উত্তর
বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর
বাংলা গদ্য প্রবন্ধের ধারা প্রশ্ন উত্তর
বাংলা কাব্য কবিতার ধারা প্রশ্ন উত্তর
বাংলা নাট্য সাহিত্যের ধারা প্রশ্ন উত্তর
উপন্যাস ও ছোটোগল্পের ধারা প্রশ্ন উত্তর
YouTube – Samim Sir