class 12 education question answer // 4th semester . প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা এই পোস্টটিতে আমি তোমাদের দেখিয়েছি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দ্বাদশ শ্রেণীর চতুর্থ সেমিস্টারের এডুকেশন সাবজেক্টের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর এই প্রশ্ন উত্তর গুলি দ্বাদশ শ্রেণীর চতুর্থ সেমিস্টারের জন্য প্রযোজ্য আশা করি এই প্রশ্ন উত্তর গুলোই ভালোভাবে অনুসরণ করলেই এই অধ্যায় থেকে তোমরা পুরোপুরি কমন পেয়ে যাবে । এডুকেশন প্রশ্ন উত্তর সাজেশন // চতুর্থ সেমিস্টার // অধ্যায় – মানসিক স্বাস্থ্য // Chapter 5
class 12 education question answer
অধ্যায় – মানসিক স্বাস্থ্য ( Unit – II ) ( 2 Mark )
(১) স্বাস্থ্য বলতে কী বোঝো? WHO-এর মতে, স্বাস্থ্য কী?
উত্তর – স্বাস্থ্য: ‘স্বাস্থ্য’ কথার অভিধানগত অর্থ হল দেহ ও মনের সুস্থ অবস্থা, রোগ মুক্তি এবং যন্ত্রণার উপসম। স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিই শক্তিশালী, কর্মক্ষম এবং নীরোগ জীবনের অধিকারী হন। স্বাস্থ্যই হল সম্পদ। হাইজিন হল সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার নীতি ও নিয়ম বিষয়ক পদ্ধতি।
WHO-এর মতে, স্বাস্থ্য শুধুমাত্র রোগ বা দুর্বলতার অনুপস্থিতি নয়, বরং শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতার একটি পূর্ণাঙ্গ অবস্থা।
(২) WHO-এর পুরো নাম কী ? WHO-এর সদর দফতর কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর – WHO-এর পুরো কথাটি হল World Health Organization । এর সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অবস্থিত।
(৩) WHO কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ? এর বর্তমান সদস্য দেশের সংখ্যা কয়টি এবং বর্তমানে এর চেয়ারম্যানের নাম কী ?
উত্তর – WHO 1948 সালে 7 এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। WHO-এর বর্তমান সদস্য দেশের সংখ্যা 194 টি। বর্তমানে WHO-এর প্রধান হলেন Dr. Tedros Adhanom Ghebreyesus.
(৪) WHO-এর বর্তমান মহাসচিবের নাম কী ? তিনি কোন দেশের অধিবাসী ?
উত্তর – WHO-এর বর্তমান মহাসচিবের নাম হল Dr. Tedros Adhanom Ghebreyesus। তিনি ইথিওপিয়ার এক জনস্বাস্থ্য অধিকর্তা। তিনি 2017 সালে এই পদে বহাল হয়ে এখনও কাজ করে চলেছেন।
(৫) ‘স্বাস্থ্যবিধি’ শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে ? স্বাস্থ্যবিধির অর্থ কী ?
উত্তর – স্বাস্থ্যবিধি শব্দটি এসেছে ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Hygiene’ থেকে। যেটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘Hygieia’ থেকে। এর অর্থ হল গ্রিসের স্বাস্থ্যের ও পরিচ্ছন্নতার দেবী।
স্বাস্থ্যবিধির অর্থ হল- স্বাস্থ্যরক্ষার বিজ্ঞান, পরিচ্ছন্নতার বিজ্ঞান এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার নীতি ও নিয়ম বিষয়ক পদ্ধতি।
(৬) WHO-এর কাজ কী ?
উত্তর – WHO-এর কাজ হল- বিশ্বব্যাপী জনগণের স্বাস্থ্যরক্ষা এবং উন্নত করা। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেওয়া। মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানবিক সংকটসহ স্বাস্থ্য জরুরি করা।
(৭) মানসিক স্বাস্থ্য বলতে কী বোঝো ? J A Hadfield-এর মতে, মানসিক স্বাস্থ্য কী ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্য: মানসিক স্বাস্থ্য বলতে ব্যক্তির ব্যক্তিগত, সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং আবেগীয় সুস্থতাকে বোঝায়। এটি ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস, যোগ্যতা, পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, জ্ঞান, বুদ্ধিবৃত্তি প্রভৃতি উপলব্ধিতে সাহায্য করে।
Hadfield-এর মতে, “Mental Health is the full and harmoni-ous functioning of the whole Personality.” অর্থাৎ ব্যক্তিত্বের সুসংবদ্ধ ও পূর্ণ প্রকাশই হল মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ।
(৮) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, মানসিক স্বাস্থ্য কী ?
উত্তর – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, মানসিক স্বাস্থ্য হল এমন একটি অবস্থা, যার দ্বারা ব্যক্তি তার পারদর্শিতা উপলব্ধি করতে পারে, স্বাভাবিক মানসিক চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে, চিন্তাভাবনা-অনুভূতি-আচরণের মাধ্যমে উৎপাদনশীল কাজ করতে পারে এবং সমাজের কল্যাণসাধনের মাধ্যমে নিজের অবদান রেখে যেতে পারে।
(৯) মানসিক স্বাস্থ্যের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো ।
উত্তর – মানসিক মানসিক স্বাস্থ্যের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল ভারসাম্য বজায় রাখা, বুদ্ধিবৃত্তি এবং আবেগীয় সম্ভাবনা উপলব্ধি করার ক্ষমতা, স্বাভাবিক চাপে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষমতা, সুখী এবং স্বাচ্ছন্দ্যভাবে জীবনকে উপভোগ করার ক্ষমতা ইত্যাদি।
(১০) মানসিক স্বাস্থ্যের উপাদানগুলি কী কী ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্যের উপাদানগুলি হল –
(ক) জ্ঞানীয় স্বাস্থ্য: এর মধ্যে রয়েছে মানসিক নমনীয়তা, একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি, সতর্কতা ইত্যাদি।
(খ) মানসিক স্বাস্থ্য: এর মধ্যে রয়েছে, ব্যক্তিগত সুস্থতা, আত্মবিশ্বাস, স্বায়ত্তশাসন, যোগ্যতা, পারস্পরিক নির্ভরতা ইত্যাদি।
(গ) আচরণগত স্বাস্থ্য: এর মধ্যে রয়েছে, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, মানসিক নিয়ন্ত্রণ এবং শারীরিক সুস্থতা ইত্যাদি।
(১১) দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণগুলি কী কী ?
উত্তর – ক্রমাগত দুঃখ বা দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণগুলি হল নিজেকে ছোটো বোধ করা, মনোনিবেশ করার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, সামাজিক সংযোগ এবং জীবনের দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে প্রত্যাহার এবং খাওয়া ও ঘুমের অভ্যাসের ব্যাপক পরিবর্তন।
(১২) হ্যাডফিল্ড (Hadfield)-এর মতে, মানসিক সুস্থতার কয়টি শর্ত এবং কী কী ?
উত্তর – মনোবিদ হ্যাডফিল্ডের মতে, মানসিক সুস্থতার তিনটি শর্ত। যথা- ব্যক্তিত্বের চাহিদার পরিপূর্ণ প্রকাশ (Full expression), ন সমন্বয় (Harmonization) এবং জন্মসূত্রে প্রাপ্ত সম্ভাবনাগুলিকে সার্থক গ্রহণযোগ্য পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
(১৩) মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধির উপাদানগুলি কী কী ?
উত্তর – সুস্থ জীবনযাত্রার কিছু মূল উপাদান হল- ব্যায়াম, ভালো খাবার খাওয়া এবং ভালো রাতের ঘুম। ব্যায়াম শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ এবং প্রমাণিত হয়েছে যে, এটি মানসিক সুস্থতাও উন্নত করতে পারে, চাপ কমাতে পারে, আত্মসম্মান বৃদ্ধি করতে পারে, একাগ্রতা উন্নত করতে পারে এবং ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।
(১৪) মানসিক অসুস্থতা বলতে কী বোঝো ?
উত্তর – মানসিক ব্যাধি একটি মানসিক সিনড্রোম বা প্যাটার্ন, যা মর্মপীড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত (যেমন- বেদনাদায়ক উপসর্গের মাধ্যমে), অক্ষমতা (কার্যক্ষমতার এক বা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশে দুর্বলতা), মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি বা স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা কমে যাওয়া।
(১৫) মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কী ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্য সেবা হল মানুষকে স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করতে এবং জীবনের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে সাহায্য করা। নিজের সক্ষমতা আর দুর্বলতা বুঝতে পারা এবং সেই অনুযায়ী, মনের যত্ন নেওয়া, দৈনন্দিন চাপের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে উৎপাদনশীল থাকাই মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা।
(১৬) মানসিক স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্য ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজের সামগ্রিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ব্যক্তিজীবনে মানসিক স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ।
(১৭) শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক কী ?
উত্তর – শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য একে অপরের পরিপূরক। শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আবার ভালো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
(১৮) স্বাস্থ্য কোন কোন দিক থেকে পরিমাপ করা হয় ? WHO কীসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য উন্নয়নকে নিশ্চিত করতে চায় ?
উত্তর – ব্যক্তিজীবনে স্বাস্থ্য শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক দিক থেকে পরিমাপ করা হয়।
WHO স্বাস্থ্য পরিষেবা, নীতি নির্ধারণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বাস্থ্য উন্নয়নকে নিশ্চিত করতে চায়।
(১৯) স্বাস্থ্য নির্ধারণে পরিবেশের ভূমিকা কী ?
উত্তর – স্বাস্থ্য নির্ধারণে পরিবেশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরিবেশের গুণগত মান যেমন- পরিষ্কার বায়ু, জল এবং বসবাসের পরিবেশ স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।
(২০) মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলতে কী বোঝো ?
উত্তর – দেহের স্বাস্থ্যের মতো মনেরও স্বাস্থ্য আছে। মনের স্বাস্থ্য রক্ষার নিয়মকানুনের বিদ্যাকেই মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলে। অর্থাৎ মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলতে বুঝি সেইসব নিয়মকানুন ও শর্তাবলি, যেগুলি পালন করলে ব্যক্তির মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ব্যক্তিসত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ সুষমভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
(২১) মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য কী ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হ ল-
প্রথমত: মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা এবং সমস্যাসমাধানের উপায় খুঁজে বের করা।
দ্বিতীয়ত: মানুষের দেহ ও মনের বিকাশের স্বাভাবিক ধারাকে বজায় রাখতে সাহায্য করা।
তৃতীয়ত: মানসিক বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের উপায় অনুসন্ধান করা।
চতুর্থত: ব্যক্তি ও সমাজের মানসিক স্বাস্থ্য ও সামঞ্জস্য রক্ষায় সহায়তা করা।
(২২) মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের কয়টি দিক ও কী কী ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের তিনটি দিক। যথা –
সংরক্ষণমূলক(conservative), প্রতিরোধমূলক (preventive) এবং প্রতিকারমূলক (curative) I
(২৩) মানসিক স্বাস্থ্যবিদ্যা বিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান কবে স্থাপিত হয় ?
উত্তর – আমেরিকার কানেকটিকাট শহরে প্রথম মানসিক স্বাস্থ্যবিদ্যা সংক্রান্ত একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরে 1909 সালে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান National Committee for Mental Hygiene স্থাপিত হয়।
(২৪) মানসিক স্বাস্থ্যবিদ্যা বিষয়ক প্রথম আইন কবে প্রণীত হয় এবং এর কাজ কী ?
উত্তর – 1946 সালে আমেরিকায় প্রথম জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য আইন (National Act for Mental Hygiene) প্রণীত হয়। এর কাজ কেবল মানসিক রোগগ্রস্ত ব্যক্তিদের প্রতি দৃষ্টি আর্কষণ ও যত্ন নেওয়া নয়, মানসিক ব্যাধির প্রতিরোধ এবং নিরাময় হল এর বিশেষ কাজ।
(২৫) মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের কৌশলগুলি কী কী ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের কৌশলগুলির মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়, এমন সহায়ক পরিবেশ রচনা। স্বাস্থ্য বর্ধনকারী জনকল্যাণকর নীতি বাস্তবায়ন। যেমন- প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি। ‘স্বাস্থ্যই সম্পদ’ গণমাধ্যমের দ্বারা এই ভাবনা প্রচার। পরিবারের পিতা-মাতা এবং অন্যান্য বয়স্কদের ইতিবাচক হস্তক্ষেপ।
(২৬) ব্যক্তিগতভাবে সুস্থ থাকার কয়েকটি উপায় উল্লেখ করো ।
উত্তর – নিজের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উন্নতির জন্য নিম্মলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে। যেমন- নিষ্ক্রিয়তা বর্জন করে সক্রিয় হওয়া। আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে এবং পারিপার্শ্বিক সমবয়সিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা। লক্ষ্য স্থির করা। জ্ঞানের আলোকে প্রজ্জ্বলিত রাখা। দান, ধ্যান, পূণ্য কাজে মন দেওয়া।
(২৭) মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা কী ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা পরস্পর বিরোধী কোনো শব্দ নয়। একে অপরের পরিপূরক। মানসিক স্বাস্থ্য হল সুস্থতার একটি লক্ষণ, যা ব্যক্তিকে জীবনের চাপ মোকাবিলা করতে এবং আনন্দের সঙ্গে জীবনযাপন করতে সাহায্য করে।
(২৮) মানসিক স্বাস্থ্য প্রচার কী ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্য প্রচার হল ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীর জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি এবং তাদের মানসিক ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া। এর সাহায্যে আত্মসম্মান, সংযোগ, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
(২৯) ‘Adolescence’ শব্দটি মূল কোন শব্দ থেকে এসেছে? এর অর্থ কী ? A. T Jersild-এর মতে, নবযৌবনকাল বলতে কী বোঝো ?
উত্তর – কৈশোর কথাটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হল ‘Adolescence’। Ad-olescence কথাটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘Adolescere’ থেকে। যার অর্থ হল ক্রম পরিণতির দিকে এগিয়ে যাওয়া।
A T Jersild-এর মতে, কৈশোর বা নবযৌবন হল এমন একটি বয়ঃস্তর, যে সময় ছেলে-মেয়েরা দৈহিক, মানসিক, প্রাক্ষোভিক ও সামাজিক দিক থেকে শৈশব পেরিয়ে প্রাপ্ত বয়স্কতার দিকে এগিয়ে চলে।
(৩০) কৈশোরকাল বা নবযুবকাল বলতে কী বোঝো ?
উত্তর – বাল্যকাল এবং প্রাপ্তবয়স্ককালের মধ্যবর্তী সময়কাল হল বয়ঃসন্ধিকাল বা নবযুবকাল। শিক্ষাগত দিক থেকে এই স্তর হল মাধ্যমিক শিক্ষার কাল। মনোবিদ হারলকের মতে, 12-21 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কাল হল কৈশোরকাল। আবার আর্নেস্ট জোনস-এর মতে, 12-18 বছর পর্যন্ত সময়কাল হল নবযুবকাল।
(৩১) নবযুবকালে কী কী চাহিদা লক্ষ করা যায় ?
উত্তর – নবযুবকালের চাহিদাগুলি হল – আত্মপ্রকাশের চাহিদা, স্বাধীনতার চাহিদা, আত্মমর্যাদার চাহিদা, জীবনাদর্শের অজানাকে জানার আত্মপ্রতিষ্ঠার চাহিদা, যৌন চাহিদা, চাহিদা, চাহিদা ইত্যাদি।
(৩২) মানসিক সমস্যা হলে, কীভাবে তা শনাক্ত করা যায় ?
উত্তর – মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির সম্ভাব্য লক্ষণগুলি হল- চিন্তিত, বিষণ্ণ, অপরাধবোধ, মূল্যহীন বোধ করা বা উচ্চ বলে অতিরঞ্জিত অনুভূতি। ঘুম, ওজন, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বা স্কুল বা কর্মক্ষেত্রে কার্যকলাপের পরিবর্তন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
(৩৩) কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্বাভাবিক মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলি কী কী ?
উত্তর – কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলি হল- উদ্বেগজনিত সমস্যা (Anxiety), সমস্যা (Depression related), বিষণ্ণতাজনিত মানসিক চাপজনিত সমস্যা (Stress Related), আচরণগত সমস্যা (Behavioural problem)।
(৩৪) কিশোরদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধির কয়েকটি ধরনের উল্লেখ করো।
উত্তর – কয়েকটি মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধির ধরন হল- ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা, ADHD বা মনোযোগে ঘাটতি, উদ্বেগ বা Anxiety, সাইকোসিস ইত্যাদি।
(৩৫) উদ্বেগ কী ? কৈশোরকালে কীভাবে উদ্বেগজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয় ?
উত্তর – উদ্বেগ: উদ্বেগ হল সেই অনুভূতি, যা কোনো বিষয়ে চিন্তিত বা ভীত হলে অনুভব করা হয়। এটি ভয় বা আতঙ্কের একটি স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতি। এটি প্রায় স্নায়বিক আচরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। উদাহরণস্বরূপ, পরীক্ষা দেওয়ার আগে অথবা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন বোধ করতে পারে।
কৈশোরকালে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে স্কুলের পরীক্ষার চাপ বা পড়াশোনার চাপে উদ্বেগ সৃষ্টি হতে পারে। আবার বয়স্করা কিশোর-কিশোরীদের বয়স্কমূলক আচরণকে গুরুত্ব না দিলে, স্বাধীনতা, আত্মস্বীকৃতি, আত্মমর্যাদা, নিরাপত্তা, যৌন চাহিদা প্রভৃতি তৃপ্তি না হলে, উদ্বেগ সৃষ্টি হতে পারে।
(৩৬) উদ্বেগের লক্ষণগুলি কী কী ?
উত্তর – উদ্বেগের ফলে কতকগুলি দৈহিক এবং মানসিক লক্ষণ দেখা দেয়। যথা-
(ক) দৈহিক লক্ষণ: বুক ধড়ফড়ানি, হাত কাঁপা, পেটের যন্ত্রণা, বদহজম, জিহ্বার শুষ্কতা, ঘন ঘন পায়খানা যাওয়া, ঘেমে যাওয়া, হাত-পায়ের টান ধরা, ক্লান্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি।
(খ) মানসিক লক্ষণ: স্মৃতিশক্তির হ্রাস এবং বুদ্ধির হ্রাস পাওয়া এর প্রধান লক্ষণ।
(৩৭) ADHD বা মনোযোগে ঘাটতি বা হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার কী ?
উত্তর – মনোযোগে ঘাটতি বা হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (ADHD) হল একটি অক্ষমতা, যা একজন ব্যক্তির শেখা এবং আচরণকে প্রভাবিত করে। এই মানসিক অসুস্থতা একটি টাস্ক সম্পূর্ণ করা কঠিন করে তোলে, তারা সহজেই বিভ্রান্ত হয়, তাদের শোনার দক্ষতা কম থাকে এবং আবেগপ্রবণ আচরণ দেখা যায়।
(৩৮) সাইকোসিস কী ? উদ্বেগ কিশোর-কিশোরীদের দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলে ?
উত্তর – সাইকোসিস: কৈশোরের শেষের দিকে বা যৌবনের প্রথম দিকে এই ধরনের মানসিক ব্যাধি দেখা দেয়। এই মানসিক রোগে একজন কিশোর চাক্ষুষ এবং শ্রবণগত হ্যালুসিনেশনে ভোগে এবং বিভ্রান্তিতে বিশ্বাস করে।
উদ্বেগ কিশোর-কিশোরীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে, মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি করতে পারে এবং সামাজিক মেলামেশায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
(৩৯) কিশোর-কিশোরীরা উদ্বেগ কমানোর জন্য কী করতে পারে ? উদ্বেগ দূর করার জন্য অভিভাবকদের কী ভূমিকা থাকা উচিত ?
উত্তর – উদ্বেগ কমানোর জন্য কিশোর-কিশোরীরা ধ্যান, প্রাণায়াম, যোগব্যায়াম, শখের কাজ করা এবং পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে উপকার পেতে পারে।
(৪০) মানসিক চাপ (Stress) কাকে বলে ?
উত্তর – বস্তু এবং ক্ষমতার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার ফলে ব্যক্তির মধ্যে যে বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাকে মানসিক চাপ বলে। এটি এমন একটি স্বাভাবিক মানসিক প্রতিক্রিয়া, যা ব্যক্তিকে জীবনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই মানসিক সুস্থতা নষ্ট করে।
(৪১) কৈশোরে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে মানসিক চাপ কীভাবে বৃদ্ধি পায় ?
উত্তর – কৈশোরে ছেলেমেয়েদের মধ্যে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায় কারণ- পরীক্ষার চাপ, পড়াশোনার চাপ বা পরীক্ষায় ভালো ফল পাওয়ার আশায় অনেকসময় এরা অধিক চাপ নিয়ে ফেলে। সামাজিক নিরাপত্তার অভাব এবং পিতা-মাতার ভালোবাসার অভাব যুবক-যুবতীদের চাপের কারণ হয়। স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সামাজিক সমর্থনের অভাবে এদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়াও চাকরির সমস্যা, পারিবারিক অবস্থা, অর্থের সমস্যা, নতুন বা অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা ইত্যাদি মানসিক চাপের কারণ হয়।
(৪২) স্ট্রেসের লক্ষণগুলি কী কী ?
উত্তর – স্ট্রেসের লক্ষণগুলি হল – বিরক্তি ও রাগ, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, পরিবার ও বন্ধুদের থেকে সরে যাওয়া, দায়িত্বে অবহেলা করা, কার্য সমাধানে কম দক্ষতা, মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়া, ক্রমাগত দুঃখ বোধ করা, অশ্রুসিক্ত হওয়ার মতো মানসিক যন্ত্রণা ইত্যাদি।
(৪৩) মানসিক চাপ কিশোর-কিশোরীদের কীভাবে প্রভাবিত করে ?
উত্তর – মানসিক চাপ কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন- ঘুমের অভাব, পড়াশোনায় মনোযোগের ঘাটতি এবং হতাশা। এ ছাড়া বিপাকীয় সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্থূলতা, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, বিষণ্ণতা, ডায়াবেটিস প্রভৃতি শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
(৪৪) কিশোর-কিশোরীদের মানসিক চাপ দূর করার জন্য কী করা যেতে পারে? পিতা-মাতা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা কিশোর-কিশোরীদের মানসিক চাপ কমাতে কীভাবে সাহায্য করতে পারেন?
উত্তর – কিশোর-কিশোরীদের মানসিক চাপ দূর করার জন্য খোলা মনে কথা বলা, সময়মতো বিশ্রাম নেওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পছন্দের কাজে সময় কাটানো যেতে পারে।
কিশোর-কিশোরীদের মানসিক চাপ কমাতে পিতা-মাতা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের অনুভূতি বোঝা, সহযোগিতা করা এবং প্রয়োজন হলে কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা করতে পারেন।
(৪৫) বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন কী ?
উত্তর – বিষণ্ণতা হল কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ব্যাধি। এটি একটি মানসিক ব্যাধি, যার মধ্যে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন, ঘুমের সমস্যা, অপরাধবোধ এবং আত্মহত্যার চিন্তাসহ বিভিন্ন উপসর্গ রয়েছে। এটি গুরুতর হতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনে কাজ করার ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, এটি চিকিৎসাযোগ্য এবং বিষণ্ণতায় আক্রান্ত বেশিরভাগ ব্যক্তিই সুস্থ হয়ে ওঠে ।
(৪৬) বিষণ্ণতার লক্ষণগুলি কী কী ?
উত্তর – বিষণ্ণতার লক্ষণগুলি হল – দুঃখিত, আশাহীন বা মূল্যহীন বোধ করা, আগে উপভোগ করা কার্যকলাপে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, ঘুমের সমস্যা হওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম খাওয়া, ভালো ঘুমের পরেও ক্লান্তি বোধ করা, মনোযোগ দিতে সমস্যা হওয়া, আত্মহত্যা বা আত্ম-ক্ষতির কথা ভাবা ইত্যাদি।
(৪৭) বিষণ্ণতার প্রধান কারণগুলি কী কী ?
উত্তর – বিষণ্ণতার প্রধান কারণগুলি হল- দীর্ঘসময় ধরে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মস্তিষ্কের যে অংশ মন ও ঘটনাগুলি, যেমন- দুঃখ, চাকরি হারানো ইত্যাদি। মানসিক বা দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ব্যথা। মেজাজ, চিন্তা-ভাবনা, ঘুম, ব্যবহার ইত্যাদি পরিচালনা করে সেখানে ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি।
(৪৮) বিষণ্ণতা মোকাবিলায় কীভাবে সাহায্য করা যায়? বিষণ্ণতার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হতে পারে?
উত্তর – বিষণ্ণতা মোকাবিলার জন্য কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলা, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন করা, পেশাদার মনোবিদের সাহায্য নেওয়া এবং পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা করা গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্ণতা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব, পড়াশোনায় অমনোযোগ, সম্পর্কের সমস্যা, এমনকি আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
(৪৯) আচরণগত সমস্যা (Behavioural Problem) কী ?
উত্তর – কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আচরণগত সমস্যা বলতে এমন এক ধরনের সমস্যাকে বোঝায়, যা তাদের আচরণে অস্বাভাবিকতা বা অসংগতি সৃষ্টি করে এবং তাদের সামাজিক, মানসিক ও শিক্ষাগত বিকাশে বাধা দেয়। এটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন- অতিরিক্ত আক্রমণাত্মকতা, অবাধ্যতা, মাদকাসক্তি, আবেগ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা বা নিয়ম ভাঙার প্রবণতা।
(৫০) কেন কিশোর-কিশোরীরা আচরণগত সমস্যায় ভোগে ?
উত্তর – বয়ঃসন্ধিকাল এমন একটি সময়, যখন কিশোর-কিশোরীরা আবেগ, চিন্তা ও আচরণের পরিবর্তন অনুভব করে, যা অনেকসময় অপ্রত্যাশিত বা অবাঞ্ছিত আচরণের রূপ নেয়। শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, বন্ধুদের প্রভাব, পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব এবং সামাজিক চাপে কিশোর-কিশোরীরা আচরণগত সমস্যায় ভোগে।
(৫১) কয়েকটি সমস্যামূলক আচরণের নাম লেখো ।
উত্তর – কয়েকটি সমস্যামূলক আচরণ হল -বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যাওয়া, মিথ্যে কথা বলা এবং অন্যকে উৎপীড়ন করা ইত্যাদি।
(৫২) শ্রেণিকক্ষে সহপাঠীকে উৎপীড়নের কারণ লেখো ।
উত্তর – শ্রেণিকক্ষে সহপাঠীকে উৎপীড়নের কারণগুলি হল – (ক) অহংসতার জটিলতা: মনোসমীক্ষকদের মতে, যেসকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে অহংসত্তার জটিলতা (ego complex) দেখা যায়, তারা এই ধরনের আচরণ করে। অর্থাৎ নিজেরা অবহেলিত হওয়ার দরুন অন্যকেও তারা সহ্য করতে পারে না, বিরক্ত করে। (খ) শিক্ষকের অবহেলা: শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের থেকে যেসকল শিক্ষার্থী নিম্নমানের পারদর্শিতার জন্য, অবহেলিত হয় তারা বেশি করে অন্যদের বিরক্ত করতে থাকে। (গ) নেতৃত্বদান: শ্রেণিকক্ষে নেতৃত্বদানের বাসনা থেকেও এই ধরনের আচরণের জন্ম হয়।
(৫৩) শ্রেণিকক্ষে শিশুদের 2টি আচরণমূলক সমস্যা উল্লেখ করো ।[WBCHSE ’19, ‘15]
উত্তর – শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দুটি আচরণগত সমস্যা হল – কর্তৃত্বের মানসিকতা দেখানো, সর্বদা অন্যদের সঙ্গে ঝগড়া করা ইত্যাদি।
(৫৪) মিথ্যা কথা বলার 2টি কারণ লেখো ।
উত্তর – মিথ্যা কথা বলার 2টি কারণ হল- শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক -শিক্ষিকাদের কাছ থেকে পাওয়া শাস্তির ভয়ে শিক্ষার্থীরা মিথ্যা কথা বলতে পারে। কোনো কারণে নিরাপত্তার অভাববোধ, হীনম্মন্যতাবোধ ইত্যাদি হলেও শিক্ষার্থীরা মিথ্যা কথা বলতে পারে।
(৫৫) ADHD কী ?
উত্তর – ADHD-এর পুরো নাম হল- Attention Deficit Hyperac-Tivity Disorder। এটি হল আক্রমণধর্মিতার একটি জন্মগত কারণ। এটি এমন এক ধরনের সমস্যা, যা কোনো ব্যক্তিকে বিশেষ কোনো বিষয়ে মনোযোগ দিতে এবং ইমপালসিভ আচরণগুলিকে সংযত করতে বাধা দেয়। এই ধরনের আচরণ যাদের মধ্যে দেখা যায়, তারা সকল সময়ে চঞ্চল থাকে, কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না। এটি যে শুধুমাত্র শৈশবেই দেখা যায় তা নয়, এটি শৈশবে শুরু হয়ে কৈশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক স্তর পর্যন্তও চলতে পারে।
আরও পড়ুন –
এডুকেশন – চতুর্থ অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 5 Mark )
এডুকেশন – তৃতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark)
এডুকেশন – দ্বিতীয় অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 2 Mark)
এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর (2 mark)
এডুকেশন – প্রথম অধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর ( 10 Mark )
YouTube – Samim Sir